রাজ্যের সফল শিল্প সংস্থা ও গোষ্ঠীগুলিকেই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি বিপণনে নামতে চাইছে রাজ্য সরকার। ২০১৮-র জানুয়ারিতে গ্লোবাল বিজনেস সামিটের আগে সোমবার রাজ্যের প্রায় তিরিশটি শিল্প সংস্থার শীর্ষ কর্তার সঙ্গে বৈঠকের পরে এ কথা জানান শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা পশ্চিমবঙ্গে সফল, তাঁরা নিজেদের সাফল্যের গল্প অন্যদের বললে তার মূল্য অনেক বেশি হয়। তাতে অন্য লগ্নিকারীরাও আগ্রহী হয়।’’ তাঁর দাবি, চার-পাঁচ বছরে রাজ্যের শিল্প ক্ষেত্রে সফল গল্পের অভাব নেই।
শিল্প মহলের অনেকেই মন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা এ প্রশ্নও তুলেছেন— প্রতি বছর গ্লোবাল বিজনেস সামিটে কোটি-কোটি টাকা বিনিয়োগের মউ স্বাক্ষর হয়। সেগুলি কতখানি বাস্তবায়িত হয়েছে? রাজ্যের জমি নীতি ও ‘সেজ’ নীতি এখনও লগ্নি টানার অনুকূল নয়। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে খামতির অভিযোগ তুলে বহু সংস্থা এখনও পশ্চিমবঙ্গকে এড়িয়ে চলছে। সে সবের কী হচ্ছে?
এ দিন বিকেলে আলিপুরে বসেছিল শিল্পপতিদের নিয়ে আলোচনার আসর। মধ্যমণি ছিলেন অমিত মিত্র। ছিলেন রাজ্যের বেশ কিছু দফতরের সচিব ও আধিকারিকরা। রাজ্যের প্রায় সব ক’টি শিল্প সংস্থার শীর্ষ কর্তা বা পদাধিকরীরাই হাজির ছিলেন। গ্লোবাল বিজনেস সামিটের আগে এটা ছিল স্টিয়ারিং কমিটির প্রস্তুতি বৈঠক।
ছিলেন সিইএসসি-র চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েন্কা ও আইটিসি-র কর্তা নাজিব আরিফ। চর্ম, বস্ত্র, ফাউন্ড্রি, হোসিয়ারি ও নির্মাণ শিল্পের প্রতিনিধিরাও এসেছিলেন। এ দিন তাঁরা নিজেদের সাফল্যের কথা শুনিয়েছেন। রাজ্যকে পরামর্শও দিয়েছে। তার পরেই অমিতবাবু এ দিন লগ্নি টানার নতুন কৌশল হিসেবে সফল শিল্প সংস্থাগুলির গল্পকেই বেছে নিতে চাইছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy