আগামিকাল, বুধবার থেকে কাজ শুরু করবে রাজ্যের নবগঠিত স্বাস্থ্য কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম রায়ের নাম চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষিত হলেও এখনও তাঁর নিয়োগ সংক্রান্ত প্রশাসনিক কাজকর্ম সম্পূর্ণ হয়নি। তাই ভাইস-চেয়ারম্যান আইএএস অফিসার অনিল বর্মার নেতৃত্বে বসবে বুধবারের প্রথম বৈঠক।
সোমবার নবান্নের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘বুধবার কমিশন তাদের প্রথম বৈঠক করবে। ভাইস চেয়ারম্যানই আপাতত কমিশনের দায়িত্ব সামলাবেন।’’
বিবাদী বাগে কমিশনের পৃথক অফিস হবে। সেখানেই ১১ জন সদস্যের বসার ব্যবস্থা হবে। তবে বাড়িটি এখনও কাজের উপযুক্ত নয়। তাই কমিশনের প্রথম কয়েকটি বৈঠক বসবে স্বাস্থ্য ভবনে। কোনও রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে যথাযথ বিধি মানা হয়েছে কি না, বাড়তি খরচ নেওয়া হয়েছে কি না, রোগীর অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে তাঁকে প্রতারণা করা হয়েছে কি না এবং বিভিন্ন ভাবে লুকনো খরচের মাধ্যমে বিল বাড়ানো হয়েছে কি না— এ সবই খতিয়ে দেখবে কমিশন। প্রয়োজনে অভিযুক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনি ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে কমিশনকে।
শাস্তি কী হবে, তার জন্য কমিশনকে নির্দিষ্ট বিধি তৈরি করতে হবে। সেই বিধি তৈরি করাটাই এখন কমিশনের সামনে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা বলেন, ‘‘আপাতত ঠিক হয়েছে, কমিশন বেসরকারি হাসপাতালে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার খরচের ঊর্ধ্বসীমা ঠিক করে দেবে। সে ক্ষেত্রে হাসপাতালের পরিকাঠামো, চিকিৎসকদের গুণগত মান খতিয়ে দেখে কয়েকটি শ্রেণিতে হাসপাতালগুলিকে ভাগ করা হতে পারে।’’ ওষুধ দেওয়া, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসার অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিটি পদক্ষেপে স্বচ্ছতা আনার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম করে দেওয়া হবে। এর পর সেই মাপকাঠিতেই কমিশন ভবিষ্যতে কাজ করবে।
স্বাস্থ্য ভবনের ওই কর্তার কথায়, ‘‘ডাক্তারদের অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে আগে যে ভাবে মেডিক্যাল কাউন্সিলে অভিযোগ জানানো যেত, এখনও তাই হবে। এই কমিশনের কাছে অভিযোগ এলে তা কাউন্সিলেই পাঠানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy