প্রতীকী ছবি।
কর্মরত অবস্থায় কোনও শিক্ষকের মৃত্যুতে মানবিক কারণে চাকরি পেতে হলেও এ বার থেকে তাঁর পোষ্যকে ‘টিচার এলিজবিলিটি টেস্ট’ বা টেট দিতে হবে। সোমবার এ কথা জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এত দিন এই ধরনের চাকরির ক্ষেত্রে পরীক্ষা দিতে হতো না। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম মেনে টেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানান পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। পাশাপাশি ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন বা এনসিটিই-র নিয়ম মেনে সমস্ত যোগ্যতাও থাকতে হবে বলে জানান তিনি। মানিকবাবু বলেন,‘‘ টেট উত্তীর্ণ হতে গেলে সাধারণ প্রার্থীদের যেখানে ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হয়, সেখানে ওই প্রার্থীরা ৫৫ শতাংশ পেলেই উত্তীর্ণ হতে পারবেন। যাঁদের এই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকবে না তাঁদের স্কুলের অন্য পদে নিয়োগ করা হবে।’’
মানিকবাবু জানান, আজ মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর থেকে টেট-এর আবেদন গ্রহণ করা শুরু হচ্ছে। এ দিন সকাল দশটা থেকেই www.wbbpe.org এবং www.wbsed.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে পারবেন চাকরীপ্রার্থীরা। টাকা জমা দিতে হবে অনলাইনে।
২৯ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। এনসিটিই-র নিয়ম মেনে এ বার উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর এবং প্রশিক্ষণ থাকা বাধ্যতামূলক। রাজ্যের সমস্ত প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের দিয়েই শূন্যপদ পূরণ করা যাবে বলেই আশা তাঁর।
তবে এ দিন সল্টলেকে পর্ষদের অফিসে মানিকবাবুর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান একদল যুবক। তাঁদের দাবি, জুন মাসে তাঁদের দু’বছরের প্রশিক্ষণ কোর্স শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শংসাপত্র না দেওয়ায় টেট-এর জন্য আবেদন করতে পারছেন না। মানিকবাবুর অবশ্য পাল্টা দাবি, ওই প্রার্থীদের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা এখনও হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy