এই স্টেন্ট হৃদ্রোগ সমাধানে ব্যবহৃত হয়নি। ব্যবহার হয়েছে মস্তিষ্কের ধমনীতে জমাট বাঁধা রক্ত সরিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করতে। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলে ‘এন্ডোভাসকুলার মেকানিক্যাল স্টেন্ট অ্যাসিস্টেড থ্রম্বেক্টমি।’ স্টেন্টের মাধ্যমে জমাট রক্ত বার করাকে বলে ‘থ্রম্বো অ্যাসপিরেশন।’ ৫ জুলাই উডল্যান্ডস মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালে এই ভাবে মস্তিষ্কের জমা রক্ত সরিয়ে প্রাণ বাঁচানো গিয়েছে রাঁচির বাসিন্দা ৩৩ বছরের এক তরুণীর। চিকিৎসকদের দাবি, দেশের খুব কম হাসপাতালেই থ্রম্বেক্টমি এবং থ্রম্বো অ্যাসপিরেশন একসঙ্গে সাফল্যের সঙ্গে করা গিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, দ্বিতীয় বার গর্ভপাত হয়েছিল ওই তরুণীর। তার দু’দিন পরেই মাথায় যন্ত্রণা শুরু হয়। চিকিৎসকেরা দেখেন, মাথার ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে। ইন্টারভেনশন্যাল নিউরোলজিস্ট দীপ দাস জানান, রোগী ক্রমশ সংজ্ঞা হারান ও তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। তখনই ‘এন্ডোভাসকুলার মেকানিক্যাল স্টেন্ট অ্যাসিস্টেড থ্রম্বেক্টমি’ করার সিদ্ধান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘পায়ের ধমনী দিয়ে স্টেন্ট ঢুকিয়ে ক্যাথিটারের মাধ্যমে সেই স্টেন্ট মাথার ধমনীতে প্রবেশ করিয়ে জমাট বাঁধা রক্ত বার করা হয়।’’
চিকিৎসকদের মতে, ওই তরুণী ‘অ্যান্টি ফসফোলিপিড সিনড্রোম’ নামে এক ধরনের বিরল শারীরিক অবস্থায় রয়েছেন। এতে ধমনীর ভিতর রক্ত আপনা থেকেই অনেক সময় জমাট বেঁধে যায়। তিনি অন্ত্বঃসত্ত্বা হওয়ার পরে প্লাসেন্টার ভিতরের রক্ত জমাট বেঁধে ভ্রূণের শরীরে রক্তচলাচল বিঘ্নিত হত এবং গর্ভপাত হয়ে যেত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy