ভোজ: দলিত বাড়িতে দুপুরের ভোজে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। শনিবার হাওড়ায়। ছবি:দীপঙ্কর মজুমদার।
রেলের পরিষেবা নিয়ে যাত্রীরা তিতিবিরক্ত। কিন্তু শনিবার হাওড়া স্টেশনে একটি অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর বক্তব্যে রেল পরিষেবা নিয়ে কার্যত কোনও কথাই শোনা গেল না! উল্টে এ রাজ্যের সংস্কৃতি, ব্যবসা, আচার-আচরণ নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বললেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে রেলের পরিকাঠামো উন্নয়নে যা করা প্রয়োজন, সেটা করা হবে।’’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও রেলের ঢালাও প্রশংসা করেন। তাঁর কথায়, ‘‘রেলমন্ত্রী বাংলার জন্য অনেক কিছু করছেন। আমরা খুশি। ওঁর জন্য হাততালি দিন।’’
রেলমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘উন্নয়নে কোনও রাজনৈতিক রং দেখা হবে না।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, পশ্চিমবঙ্গের উন্নতি হলে তার হাত ধরে গোটা পূর্বাঞ্চলের উন্নতি হবে। এমনকী পড়শি দেশ নেপাল, ভুটান, মায়ানমারের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়বে। তাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক সুবিধা হবে।’’
অনুষ্ঠানের গোড়ায় রেল পরিষেবা, আর্থিক অবস্থা ও পরিকাঠামো নিয়ে বলতে গিয়ে রেলমন্ত্রী জানান, যে হারে যাত্রী বাড়ছে, তাতে পরিকাঠামো উন্নয়ন ছাড়া পরিষেবার উন্নতি সম্ভব নয়। এর পরেই এ রাজ্যের ভাষা থেকে ব্যবসা, মানুষের আচার ব্যবহার, এমনকী রবীন্দ্রনাথের গানের কথা উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংস্কৃতিক দলকে তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবার অনুরোধও জানান।
অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব এবং মেট্রো রেলের নতুন রেললাইন পাতা থেকে শুরু করে ওভারব্রিজ তৈরি, স্টেশন সংস্কার, প্ল্যাটফর্ম শেড তৈরি, এলইডি আলো-সহ একাধিক নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। হাওড়ার সাংসদ তাঁর কাছে শালিমার ও রামরাজাতলায় দু’টি ফুটওভার ব্রিজের আবেদন করেন। রেলমন্ত্রী তাও মঞ্জুর করে দেন। পরে সংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আশ্বাস দেন, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় যে সব বাধা রয়েছে, অবিলম্বে কেটে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy