Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

মেডিক্যাল প্রবেশিকার ফল থমকে আদালতে

সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে চালু হয়েছে মেডিক্যালের সর্বভারতীয় অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা বা ‘নিট’। আবার আদালতের নির্দেশেই আটকে যাচ্ছে তার ফলাফল। নিট ফল হিসেবে অনিশ্চয়তার গভীর জলে পড়েছেন ডাক্তারি পড়তে আগ্রহীরা।

পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৭ ০৪:৪৪
Share: Save:

সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে চালু হয়েছে মেডিক্যালের সর্বভারতীয় অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা বা ‘নিট’। আবার আদালতের নির্দেশেই আটকে যাচ্ছে তার ফলাফল। নিট ফল হিসেবে অনিশ্চয়তার গভীর জলে পড়েছেন ডাক্তারি পড়তে আগ্রহীরা।

বিস্তর টানাপড়েনের পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিভিন্ন রাজ্যের পৃথক ডাক্তারি জয়েন্ট এন্ট্রান্স বাতিল হয়ে অভিন্ন প্রবেশিকার ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু ৭ মে ওই পরীক্ষার পর থেকে ফের তুমুল হয়েছে বিতর্ক। পরীক্ষাটা অভিন্ন, অথচ ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় আলাদা প্রশ্নপত্র কেন, সেই প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শুরু হয় বিভিন্ন রাজ্যে। তামিলনাড়ুর কয়েক জন ছাত্রছাত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৪ মে নিটের ফল প্রকাশের উপরে ৭ জুন পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ। ফলে পরীক্ষার ফল কবে বেরোবে অথবা গোটা পরীক্ষাটাই বাতিল হবে কি না, শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে দেরি হলে পাঠ্যক্রমই বা শেষ হবে কী ভাবে— বড় হয়ে উঠেছে সেই সব প্রশ্ন।

একই পরীক্ষায় ভিন্ন প্রশ্নপত্র হল কেন, সেই বিষয়ে সিবিএসই বোর্ড (পরীক্ষার আয়োজক), মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (এমসিআই) ও স্বাস্থ্য মন্ত্রককে হলফনামা জমা দিতে বলেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। ইংরেজিতে পরীক্ষা দিয়েছেন, তামিলনাড়ুর এমন কিছু আবেদনকারীর অভিযোগ, তামিল ভাষার প্রশ্ন ইংরেজি প্রশ্নের থেকে সহজ হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলায় নিট দিয়েছেন, এমন প্রায় ২০০ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা মিলে একটি ফোরাম গঠন করেছেন। মামলা করতে চলেছে ওই ফোরামও। তাদের অভিযোগ, বাংলা প্রশ্ন হিন্দি ও ইংরেজির থেকে কঠিন হয়েছে। তাই নিট বাতিল করে নতুন পরীক্ষা
নেওয়া হোক। ফোরামের প্রধান সোমা বিশ্বাসের কথায়, ‘‘এতে ছাত্রছাত্রীরা অনিশ্চয়তায় পড়বে। কিন্তু অন্য কোনও উপায় নেই। আমাদের ছেলেমেয়েরা তো বাংলায় পরীক্ষা দিয়ে দোষ করেনি। তাদের কেরিয়ার এ ভাবে নষ্ট হবে, এটা বরদাস্ত করা যায় না।’’

স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যের তরফ থেকে সিবিএসই-কে একটি চিঠি দেওয়া ছাড়া রাজ্য সরকারকে সরাসরি আর কোনও পদক্ষেপ করেনি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘মামলা হোক। ক্ষতি কী? আদালত যদি রাজ্য সরকারের মতামত জানতে চায়, আমরা জানিয়ে দেব।’’

এই টানাপড়েনে প্রায় সাড়ে বারো লক্ষ প্রার্থী ঘোর অনিশ্চয়তার মুখে। কী বলছে সিবিএসই?

সিবিএসই-র জনসংযোগ আধিকারিক রমা শর্মা জানান, তাঁরা এখন কোনও মন্তব্য করবেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE