এর আগে বিমল গুরুঙ্গ নিজেই ঘোষণা করেছিলেন, ৩০ অক্টোবর দার্জিলিঙে পা রাখবেন। কিন্তু পরে সেই ‘পরিকল্পনা’ বদলেছে। তবে কৌতূহলটা রয়েই গিয়েছে। শুক্রবার তাকেই উস্কে দিল দার্জিলিঙের চকবাজার এবং কালিম্পঙের ডম্বরচকে লাগানো পোস্টার। সেখানে বলা হয়েছে, ৪ নভেম্বর (অর্থাৎ, আজ শনিবার) দার্জিলিং পাহাড়ে ফিরছেন গুরুঙ্গ।
এই পোস্টার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সকলেরই প্রশ্ন, সত্যিই কি শনিবার পাহাড়ে দেখা যাবে গুরুঙ্গকে? যদিও পুলিশ বা বিনয় তামাঙ্গ শিবির, কেউই একে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। পুলিশের দাবি, পাহাড়ে বিশৃঙ্খলা ছড়াতেই এ সব পোস্টার লাগানো হচ্ছে। যে দু’টি এলাকায় বন্ধ দোকানের ঝাঁপের উপরে ওই হাতে লেখা পোস্টার সাঁটানো হয়েছে, সেই সব এলাকায় থাকা ক্লোজড সার্কিট টিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করছে তারা।
বিনয় তামাঙ্গ, অনীত থাপাও জানিয়েছেন, এমন পোস্টার দিয়ে গোলমাল বাঁধানোর চেষ্টা আরও কিছু দিন চলবে। অনীত বলেন, ‘‘এ সবে গুরুত্ব দিচ্ছি না। তবে সতর্ক আছি। মনে হচ্ছে, পাহাড়ের উন্নয়নে বাধা দিতেই নানা ছক কষা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: আড়াল থেকেই কি মুকুলের পাশে যাওয়ার বার্তা
জিটিএ-র দায়িত্ব পেয়েছেন মাসখানেক আগে। এ দিন বোর্ডের দায়িত্ব বিলি করলেন বিনয়। নিজের হাতে রেখেছেন জিটিএ প্রশাসন, অর্থ, পূর্ত, শিল্প, কর্মসংস্থান-সহ ১৬টি দফতর। অনীতকে দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরী বিভাগ-সহ ৭টি দফতর। কেয়ারটেকার বোর্ডে থাকলেও মন ঘিসিঙ্গকে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
এ দিন জিএনএলএফ অনুমোদিত প্রাক্তন সেনাকর্মীদের অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গঙ্গারাই দেওয়ান বলেছেন, ‘‘২১ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাব। পাহাড়ের স্থায়ী সমাধানের জন্য ষষ্ঠ তফসিল প্রয়োজন, সে কথা জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy