নমিতা সেনগুপ্ত। নিজস্ব চিত্র
এক মাথা পাকা চুল। পরনে সিল্কের ছাপা শাড়ি, চোখে চশমা। বৃহস্পতিবার হনহনিয়ে মেমারি ব্লক অফিসে ঢুকে সিপিএম প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়ে বাড়ি ফিরলেন যিনি, তাঁর বয়স ৭৩!
এ বার পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিন থেকেই রাজ্য জুড়ে হিংসার ছবি যেখানে, সেখানে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি বাসিন্দা নমিতা সেনগুপ্তের এই কাণ্ডে অবাক সিপিএমের অনেকেই। নমিতাদেবীর কথায়, “আমি হার মানার মহিলা নই। দলের বিপদে ফের লড়াইয়ে নেমেছি।” মেমারির নিমো ১ পঞ্চায়েতের বৈদ্যডাঙা আসনের জন্য দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন এই স্কুল শিক্ষিকা। ১৯৮২ সালে বৈদ্যডাঙা স্কুলে যোগ দেন নমিতাদেবী। সে বছরই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হন তিনি। তারপরে ভোট-মুখো হননি। ২০০৪ সালে অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত মেতে ছিলে ছাত্রী গড়ার কাজে।
তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের পাশেই নমিতাদেবীর বাড়ি। তাঁর স্বামী, ৭৬ বছরের স্বপনবাবু বলেন, “সন্ত্রাস বা ভয়ের কাছে আদর্শ কোনও দিনই মাথা নত করবে না।” এক সময়ের সিপিএমের দুর্গ বলে পরিচিত মেমারিতে এখন তৃণমূলের মাথাব্যথা অন্তর্দ্বন্দ্ব। তবু তাদের ‘ভয়ে’ প্রার্থী পেতে সমস্যা হচ্ছে সিপিএমের। মেমারির কোনার পরিবার ছিল বর্ধমানের বামপন্থী কৃষক আন্দোলনের ‘মুখ’। সেই পরিবারেরই ছেলে, সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ কোনারের বক্তব্য, “ নমিতাদেবীর সাহসকে কুর্নিশ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy