Advertisement
০৩ মে ২০২৪

সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি, হাইকোর্টে কংগ্রেস

বিজেপি যখন দিল্লিতে শোরগোল তুলছে, তখন পিছিয়ে নেই রাজ্য কংগ্রেসও। রাজ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ নেই, এই অভিযোগে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:০২
Share: Save:

বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের উত্তাপ ছড়াল দিল্লিতে।

ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে এ দিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য বিজেপি দাবি করল, তাদের প্রার্থীদের পুলিশ নিরাপত্তায় মনোনয়ন পেশ করতে দেওয়া হোক এবং ভোট হোক কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্যে। বিজেপির আর্জির ভিত্তিতে কাল, শুক্রবারই শুনানিতে সম্মত হয়েছেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। পাশাপাশি এ দিনই অমিত শাহের নির্দেশে বাংলার সঙ্গে জড়িত দলীয় নেতারা রাজঘাটে বিক্ষোভ দেখান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের দ্বারস্থ হন। কাল তাঁরা ধর্না দেবেন সংসদে গাঁধী মূর্তির সামনে।

এ দিন দুপুরে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বাবুল সুপ্রিয়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, জর্জ বেকার, স্বপন দাশগুপ্তরা রাজঘাটে বিক্ষোভ দেখান। তার আগে বিজেপি দফতরে তাঁদের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে তৃণমূল। খুন হচ্ছেন বিজেপি নেতা। পুলিশের মদতেই সব হচ্ছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ভাবে ভোট করানোর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুপারিশ করলেও মমতা তা খারিজ করেছেন। এমনকী ৩৪০ জন পর্যবেক্ষক চাইলেও রাজ্য দিয়েছে অর্ধেক।

বিজেপি যখন দিল্লিতে শোরগোল তুলছে, তখন পিছিয়ে নেই রাজ্য কংগ্রেসও। রাজ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ নেই, এই অভিযোগে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ যাতে আদালত দেয়, সেই আর্জিও জানানো হয়েছে কংগ্রেসের আবেদনে। হাইকোর্টে এখন আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছে। দলের আইনজীবী-নেতা ঋজু ঘোষালকে সঙ্গে নিয়ে এ দিন হাইকোর্টে যান অধীরবাবু। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে আজ, শুক্রবার শুনানি হওয়ার কথা। অধীরবাবু জানিয়েছেন, তিনি নিজেই আবেদনের পক্ষে সওয়াল করবেন।

আগামী লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসন সংখ্যা বাড়াতে চাইছেন অমিত শাহ। তার আগে পঞ্চায়েত ভোটে দাগ কাটতে চাইছেন তিনি। মনোনয়ন পেশ নিয়ে ধুন্ধুমার এবং তৃণমূলের পরেই সংখ্যার বিচারে বিজেপি উঠে আসায় দল আশাবাদী। তাই চাপ বাড়াতে দিল্লিতে সরব বিজেপি। এই ভোট রাজ্য নির্বাচন দফতরের অধীনে হলেও কেন্দ্রীয় স্তরে রাজ্যে দলকে সব রকম সাহায্য করছেন অমিত শাহরা। সুপ্রিম কোর্টে বিজেপির হয়ে লড়বেন মোদী সরকারের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি। সোমবার, ৯ এপ্রিল মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। তাই প্রধান বিচারপতির কাছে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির আইনজীবী ঐশ্বর্যা ভাটি। তাঁর যুক্তি, বিজেপি গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দল। তা সত্ত্বেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে বিডিওদের ভোটের আধিকারিক হিসেবে নিয়োগ করেছেন, তাঁরা বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রই দিচ্ছেন না। তৃণমূলের হামলায় ইতিমধ্যেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিজেপির দাবি, নির্বাচন কমিশনকে তাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র দিতে এবং জমা নিতে বলা হোক। প্রয়োজনে ই-মেলে মনোয়নপত্র জমার ছাড়পত্র দেওয়া হোক। প্রার্থীদের জন্য পুলিশি নিরাপত্তা এবং ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE