Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

মানুষ বাঁচাব, না রিপোর্ট দেব!

অথচ অসম, বিহার-সহ অন্যান্য রাজ্য তা পাঠিয়েছে।’’ রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মমতা সরকারের কেউ দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলেও দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। রাজ্য যে রিপোর্ট পাঠায়নি, তা পরোক্ষে মেনে নিয়েছেন মমতা।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৭ ০৩:২৪
Share: Save:

বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষকে আগে বাঁচাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, আপাতত সেটাই রাজ্য সরকারের প্রথম কর্তব্য। কেন্দ্রকে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পাঠানোর কথা আসবে তার পরে।

শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এ বারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসম, বিহার-সহ কয়েকটি রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুধু অসম ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলায় মোদীর বিরুদ্ধে ‘বৈষম্যমূলক আচরণে’র অভিযোগ এনেছে এ রাজ্যের শাসক দল। খবর না-নেওয়ার পাশাপাশি বন্যা-আক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্র কোনও রকম সাহায্য করছে না বলেও অভিযোগ তুলেছে মমতার সরকার। এর কারণ ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু সোমবার বলেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য, যারা বন্যার তথ্য কেন্দ্রকে পাঠায়নি। অথচ অসম, বিহার-সহ অন্যান্য রাজ্য তা পাঠিয়েছে।’’ রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মমতা সরকারের কেউ দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলেও দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। রাজ্য যে রিপোর্ট পাঠায়নি, তা পরোক্ষে মেনে নিয়েছেন মমতা।

আরও পড়ুন: আইপিএস পরিচয়ে প্রতারণা, ধৃত যুবক

বুধবার নবান্ন থেকে বেরোনোর সময়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেউ কেউ বলছেন, কেন্দ্রকে জানানো হয়নি। আগে আমরা মানুষকে বাঁচাব, না রিপোর্ট দেব! জল নেমে গেলে চাষ, রাস্তা, সেতু, ঘরবাড়ির কত ক্ষতি হল— তা হিসেব করা হবে। তার পরে তো রিপোর্ট।’’ এই সময়ে কিছুটা স্বগতোক্তির ভঙ্গিতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘পাঠিয়েই বা কী হবে? ওরা তো কিছু দেয় না।’’ মমতা জানান, গত সপ্তাহে দিল্লি সফরের সময়েই প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিস্তারিত ভাবে সব জানিয়েছিলেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE