—ফাইল চিত্র।
২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে শুক্রবারই মেয়ো রোডে গাঁধীমূর্তির পাদদেশে সমাবেশ করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। দলের ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলগুলি আদালতে মামলা করায় ৬৫ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগ আটকে রয়েছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন অভিযোগ করলেন। আগামী কালই যদি মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, তা হলে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ৬৫ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়ে যাবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী এ দিন জোর গলায় দাবি করেছেন। আর কী কী বলেছেন মমতা? দেখে নিন:
• ছাত্রদের স্কলারশিপ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় ছাত্র সমাবেশ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল নেত্রী।
• আধার কার্ড না থাকলে বৃত্তি বা স্কলারশিপ মিলবে না, জানিয়েছে কেন্দ্র। সেই প্রসঙ্গেই কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতার।
• কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতিতেই পশ্চিমবঙ্গে এখনও ৪০ শতাংশ মানুষ আধার কার্ড পাননি, অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
• ‘বাংলার সর্বনাশ করেছে সিপিএম। সিপিএমের দেনা শোধ করতেই সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
• ‘কেন্দ্রীয় সরকারও রাজ্যের সঙ্গে আর্থিক বঞ্চনা করছে। বঞ্চনা করে বাংলার উন্নয়নের গতি রোধ করা যাবে না।’ বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
• ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ মমতার।
• ‘সিপিএম নিজেও কাজ করেনি, অন্য কাউকে কাজ করতেও দেবে না। কিছু করার চেষ্টা করলেই মামলা করে দিচ্ছে।’
• ‘সব ব্যাপারেই কোর্টে গেলে কী করে কাজ হবে?’
• কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে আর্থিক বঞ্চনা করছে বলে ফের অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
• ‘ডিপ্রেশনে ভুগবেন না। ডিপ্রেশন আমাদের শত্রু। ডিপ্রেশন হলে হাঁটবে। হাঁটলে অবসাদ কেটে যায়। শরীর ভাল থাকে।’ ছাত্রদের উদ্দেশে পরামর্শ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
• ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে দলের ছাত্র সংগঠনের প্রতি শৃঙ্খলার বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
• ‘শিক্ষকরা দেশের সম্পদ, বিশ্বের সম্পদ। শিক্ষকদের সম্মান করুন। তাঁদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখুন।’
• ‘পড়ার সময় পড়াশোনা করুন, পড়ার শেষে অন্য কাজ করুন।’ বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
• কংগ্রেসের সমর্থনে বামেদের বন্ধের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা মমতার।
• ‘বাংলায় কোনও বন্ধ করতে অ্যালাউ করব না।’
• ‘বন্ধের নামে কোনও হুজ্জতি বরদাস্ত করব না।’
• ‘বন্ধের দিনে দোকানপাট খোলা থাকবে, গাড়ি চলবে।’
• ‘বন্ধে দোকান খোলা হলে যদি ভাঙচুর হয়, সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে।’
• ‘বন্ধে রাস্তায় গাড়ি বার করলে যদি ক্ষতি হয়, সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে।’
• ‘কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বার থেকে বিজ্ঞান মেলা আয়োজন হবে।’
• ‘শিক্ষক দিবস পালনে টাকা দেবে সরকার। প্রত্যেক কলেজকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।’
• ‘ছাত্রদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য টাকা দেওয়া হবে।’
• ‘এত দিন ছিল যুবকল্যাণ দফতর, এ বার ওই দফতরের নাম হচ্ছে ছাত্র ও যুবকল্যাণ। ছাত্র কল্যাণ জুড়ে দিলাম।’
•‘শিক্ষকদের সম্মান করুন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে ভাল রাখুন।’
•‘ছাত্রদের বলছি, ভাল রেজাল্ট করলেই একটা চাকরি নিয়ে বাইরে চলে যাওয়ার কথা ভাববেন না। রাজ্যে থেকে কাজ করুন। রাজ্যটাকে ভুলে যাবেন না।’
• কংগ্রেস আর সিপিএম বিজেপির কাজকে সমর্থন করছে। তারা দেশকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করার চেষ্টা করছে।’
• ‘বিজেপি এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরু গুনছে। মানুষ গুনছে না, গরু গুনছে।’
•‘বাংলায় কংগ্রেস-সিপিএম আন্দোলন করতে ভুলে গিয়েছে। রাজ্যের নাম বদলেও আপত্তি করছে তারা।’
• ‘কংগ্রেস আর সিপিএম দুই নারদ হয়েছে। কিছু করতে গেলেই মামলা করে দেয়।’
• ‘রাস্তা করবেন? চলে গেল কোর্টে। চাকরি দেবেন? চলে গেল কোর্টে। হাসপাতালে কাজ করবেন? চলে গেল কোর্টে।’
• ‘রাজ্য সরকার ৬৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য রেডি হয়ে বসে রয়েছে। কিন্তু মামলা করে নিয়োগ আটকে রেখেছে। কাল মামলা তুলুন। ১৫ দিনের মধ্যে ৬৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করব।’
আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠা দিবসে কামাই কেন? টিএমসিপি-র ধমকে অসুস্থ কলেজ শিক্ষিকা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy