জমি-জটে মুর্শিদাবাদের নসিপুরের রেল সেতু নির্মাণ থমকে যাওয়ায়, কলকাতা-নয়া দিল্লি যোগাযোগের নব্য রেলপথটির ভবিষ্যৎ যে ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে, তা আবারও পরিষ্কার করে দিলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার রামকুমার গুপ্ত।
মঙ্গলবার কলকাতায় একটি বণিকসভার অনুষ্ঠানে তিনি জানান, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেও সমাধান সূত্র মেলেনি। তিনি জানান, জিয়াগঞ্জের ওই রেলপথ তৈরি হলে দিল্লি-কলকাতা যোগাযোগের নব্য একটি ‘পথ’ও হবে। ওই রেল কর্তা বলেন, “ওই সেতু তৈরির জন্য জমি জট কাটাতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কয়েক বার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সমাধন সূত্র বেরোয়নি।” তিনি জানিয়ে রাখছেন, নসিপুরের ওই সেতুই নয়, জমি জটের ফাঁসে রাজ্যের কয়েকটি রেল-প্রকল্পের ভবিষ্যৎও অস্পষ্ট।
নসিপুরের ওই প্রকল্পটির শিলান্যাসের ‘বয়স’ দশ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। ২০০৪ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। সে দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। ২০০৬ সালে মুকুন্দবাগ পঞ্চায়েত এলাকায় সেতু নির্মাণ শুরু হয়। চার বছরের মধ্যেই অধিকাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয় বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই খরচ হয়ে গিয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। উদ্বোধনের কথা ছিল ২০১০-এর এপ্রিলে। জমি-জটের সূত্রপাত তখনই। স্থানীয় চরমহিমাপুর মৌজার ৪.৪৪ একর এবং মাহিনগর দিয়ার মৌজার ৩.১৪ একর জমি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। রেলের দাবি মাত্র ৪৬৬ মিটার জমির জন্য থমকে রয়েছে ওই রেলপথ। রেল কর্তারা জানান, প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে কলকাতা থেকে গঙ্গা পেরিয়ে আজিমগঞ্জ ছুঁয়ে উত্তরবঙ্গও সুগম হবে। কিন্তু সাকুল্যে ৪৬৬ মিটার জমি জোগাড়ে বাধা কোথায়?
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও অবশ্য দ্রুত ওই জমি জট কাটানোর আস্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “জমিদাতাদের অনেকেই প্রশাসনের কাছ থেকে জমির দাম বাবদ চেক নিয়েছেন। কিন্তু অনিচ্ছুকদের সংখ্যাও কম নয়। তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy