সলমন, দেব ও জিৎ
টিউবলাইট
ইউএসপি: সলমন খানের ছবিতে তিনিই সেলিং পয়েন্ট। আর কারও দরকার পড়ে না। ঈদের সময় সলমনের ছবি চলেনি এমন ‘দুর্ঘটনা’ সাম্প্রতিক অতীতে ঘটেনি।
প্রাপ্তিযোগ: ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর মতো আবেগপ্রবণ সলমনকে ‘টিউবলাইট’-এও দেখা যাবে। অ্যাকশন অবতারের বদলে সলমন এখানে ইনোসেন্ট লক্ষ্মণ সিংহ। তাঁর আর সোহেলের ব্রোম্যান্সও দর্শকের ভাল লাগবে বলেই মত।
বাজার সরকার: নিউ ইয়র্কের টাইম স্কোয়্যারেও ‘টিউবলাইট’ জ্বালিয়ে দিয়েছেন তিনি। ওভারসিজ মার্কেটে ১২০০ এবং ভারতের বাজারে প্রায় সাড়ে চার হাজার স্ক্রিন দখল করেছেন সলমন। ডিস্ট্রিবিউটরদের আশা, প্রথম দিনেই ছবি ৩০-৪০ কোটি টাকার ব্যবসা করবে। আর ঈদের দিন ব্যবসা ১০০ কোটির কাছাকাছি পৌঁছবে! কলকাতার বাজারেও ‘চ্যাম্প’, ‘বস টু’-এর চেয়ে এগিয়ে ‘টিউবলাইট’।
চ্যাম্প
ইউএসপি: রাজ চক্রবর্তী আর দেবের জুটি বরাবরই চ্যালেঞ্জিং (‘যোদ্ধা’ বাদ দিয়ে)! দেব এখানে বাঁধাধরা অ্যাকশন-ড্রামার বদলে একটু অন্য রকমের স্বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন দর্শককে। এই প্রথম দেবকে বক্সারের চরিত্রে দেখা যাবে। দেব-রুক্মিণীর রসায়নকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
প্রাপ্তিযোগ: কে না জানে আবেগপ্রবণ কাহিনি দর্শক সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। সে দিক থেকে দেখতে গেলে ‘চ্যাম্প’-এ শিবাজির জার্নি দর্শককে আকর্ষণ করতে পারে। বাংলায় অনেক দিন খেলা নিয়ে ছবি হয়নি। সারা ভারতে স্পোর্টস ফিল্মের জনপ্রিয়তা দেখে এ ছবির উপরও আশা রাখা যায়।
বাজার সরকার: ঈদ হোক কী দীপাবলি, বড় হিন্দি ছবির চাপ সব সময়েই বাংলাকে সহ্য করতে হয়েছে। পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর আশা, বাংলা ছবিকে সলমন খান মোটেই কোণঠাসা করতে পারবেন না। আইনক্স অবশ্য বলছে, মাল্টিপ্লেক্সে আগাম বুকিংয়ের নিরিখে ‘টিউবলাইট’ই এগিয়ে। আবার প্রিয়া সিনেমা হলের মালিক অরিজিৎ দত্তর কথায়, ‘‘আমার সিনেমা হলগুলোর মধ্যে ‘টিউবলাইট’ আগাম বুকিংয়ে এগিয়ে। তার পর ‘চ্যাম্প’।’’ তবে জেলা এবং মফস্সলের সিনেমা হলে লড়াইটা ‘চ্যাম্প’ আর ‘বস টু’-এর মধ্যে।
আরও পড়ুন:দেব নাকি জিত্, ইদের বক্স অফিস যুদ্ধে কাকে এগিয়ে রাখল গুগল?
বস টু
ইউএসপি: জিৎ-শুভশ্রীর ‘বস’ বক্স অফিসে সফল হয়েছিল। এই ছবি নিয়েও আগ্রহ রয়েছে। সিক্যুয়েলের গল্প ফেঁদেছেন জিৎ স্বয়ং। অ্যালান আমিনের মতো অ্যাকশন ডিরেক্টর ‘বস টু’-এর অ্যাকশন দৃশ্যের পরিকল্পনা করেছেন।
প্রাপ্তিযোগ: নাচ-গান-অ্যাকশনের জঁর যাঁদের পছন্দের তাঁদের জন্য ‘বস টু’ একেবারে আদর্শ। কারণ বাকি দুটো ছবিই একটু অন্য রকম। সেখানে আবেগের পরিমাণ বেশি। জিৎ এখানে লার্জার দ্যান লাইফ চরিত্র করছেন।
বাজার সরকার: বড় হিন্দি ছবি সাধারণত অধিকাংশ হল দখল করে নেয়। তবে জিতের মতে, তাঁর ছবির হলের সংখ্যা বেশ ভালই। জানালেন, ‘বস’-এর সময় ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ মুক্তি পেয়েছিল। তাতে জিতের ছবির সফল হওয়া আটকায়নি। দেবের ‘চ্যাম্প’ নিয়েও তিনি চিন্তিত নন। এ ছাড়া যৌথ প্রযোজনার ফলে জিতের হাতে বাংলাদেশের বাজারও আছে।
পুনশ্চ: মাল্টিপ্লেক্স এবং শহরের বিচারে ‘টিউবলাইট’ অনেকটাই এগিয়ে। তার পর রয়েছে ‘চ্যাম্প’। শেষে ‘বস টু’। কিন্তু গ্রাম এবং শহরতলিতে ‘টিউবলাইট’ খুব একটা সুবিধে করতে পারবে না বলে মত ডিস্ট্রিবিউটার শ্যামল দত্তর। বললেন, ‘‘গ্রামে আগাম বুকিং হয় না বললেই চলে। সবটাই দিনের দিন। ওখানে ‘বস টু’ আর ‘চ্যাম্প’ নিশ্চিত ভাবে ভাল ব্যবসা করবে। কোনটা বেশি ভাল করবে সেটা আর কিছু দিন পর বোঝা যাবে।’’ সলমনের অ্যাকশন ছবি গ্রামে ভাল চলে। কিন্তু ‘টিউবলাইট’-এর ঘরানা আলাদা। ‘সুলতান’ গ্রামবাংলায় ভাল ফল করেনি। সেখানকার পছন্দ অনুযায়ী সলমনের চেয়ে জিৎ-দেব দু’জনেই এগিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy