‘গোঁসাইবাগানের ভূত’-এর পর এ বার বুদ্ধু-ভুতুম। উপন্যাস থেকে পুরোপুরি রূপকথায় পাড়ি দিতে চলেছেন শিল্পনির্দেশক নীতীশ রায়।
রুপোলি পর্দার জন্য তিনি এ বার পরিচালনা করছেন ‘ঠাকুরমার ঝুলি’র গল্প।
কেন হঠাৎ রূপকথা? রূপকথা মানেই বিরাট খরচ, প্রযুক্তির চমক, সেই সঙ্গে সেট সেটিংয়ের জাঁকজমক। কী ভাবে সামাল দেবেন তিনি সেই সব? নীতীশ বললেন, ‘‘এ পার বাংলা–ও পার বাংলা দুই জায়গাতেই ছবি রিলিজ হবে। এবং এই ভাবেই ছবির খরচ উঠে আসবে আশা করছি।’’
নীতীশের বরাবরই পছন্দ ছোটদের গল্প। কিন্তু আজকের শিশু কিশোরেরা তো ‘হ্যারি পটার’, ‘অ্যালিস ইন দ্য ওয়ান্ডারল্যান্ড’ দেখতে অভ্যস্ত। সেই ছবির জাঁকজমকের কাছে বাংলা ছবির আবেদন কি ম্রিয়মাণ মনে হবে না? নীতীশ বলছেন, ছবির সেটে থাকবে বৌদ্ধ স্থাপত্য, গান্ধার আর্টের প্রভাব, সেই সঙ্গে কম্পিউটার গ্র্যাফিক্সে, অ্যানিমেশনে ব্যবহার হবে উন্নত মানের প্রযুক্তি।
কিছুটা কল্পনা কিছুটা আধুনিক সময়ের মিশেল থাকছে পোশাক পরিকল্পনায়। ‘‘এমন ভাবে পোশাক পরিকল্পনা করছি যা আজকের বাচ্চাদের চোখে আধুনিক বলে মনে হবে। তারা নিজেদের পোশাক আসাকের সঙ্গে ‘কানেক্ট’ করতে পারবে।’’
গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। সঙ্গীত পরিচালনায় সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
বলিউডে বহু ছবিতে শিল্প নির্দেশনার পর কেন নীতীশ নিজে ছবি বানাতে বারবার ফিরে আসেন বাংলায়? বললেন, ‘‘বাংলা আমার মাতৃভাষা। বাংলায় ছবি করতে তাই ভাল লাগে। এর পরেও ছবি করলে বাংলাতেই করব।’’
ছোট পর্দায় ‘অরুণ বরুণ কিরণ মালা’ তো ভালই চলছে।
কিন্তু বুদ্ধুভূতুম কি পারবে হলিউডি রূপকথার সঙ্গে পাল্লা দিতে? শিল্পনির্দেশক নীতীশের উপস্থাপনায় এই ছবি শিশু-কিশোরদের মন জয় করলে বুঝতে হবে বাংলার শিশু চলচ্চিত্র নতুন করে প্রাণ পেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy