Advertisement
১১ মে ২০২৪

ব্যোমকেশ বনাম ব্যোমকেশ

এমন হয়নি কখনও। একই শহরের হলে দুটো ব্যোমকেশ! একজন ব্যোমকেশ সেজেছেন প্রথম। অন্যজন এই নিয়ে চারবার। তবু তুলনা উঠছে কে বেশি ভাল? আনন্দplus তদন্তে নামাল দুই গোয়েন্দা শঙ্করলাল ভট্টাচার্য ও জাগরী জাগরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ধুতি-পাঞ্জাবিতে ব্যোমকেশসুলভ আঁটসাঁট ভাব আছে আবীরের। যিশুর ধুতি-পাঞ্জাবি সে তুলনায় বেশি শৌখিন। চেহারায় গোয়েন্দা-সুলভ কাঠিন্য কম।

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:২২
Share: Save:

শঙ্করলাল ভট্টাচার্য

বিশ্বাসযোগ্যতা

ধুতি-পাঞ্জাবিতে ব্যোমকেশসুলভ আঁটসাঁট ভাব আছে আবীরের। যিশুর ধুতি-পাঞ্জাবি সে তুলনায় বেশি শৌখিন। চেহারায় গোয়েন্দা-সুলভ কাঠিন্য কম।

অভিনয়

আবীরের অভিনয় চমৎকার। যিশুর অভিনয় ও সংলাপে ব্যোমকেশের বুদ্ধির প্রখরতা ও ব্যক্তিত্বের ধার আসেনি।

বাঙালিয়ানা

পাঞ্জাবির ওপর বাঙালি কোট, চুলের ঢং, সাবেক ফ্রেমের চশমায় ওর চেহারায় বাঙালিয়ানার ঠাঁট আছে। যিশুর ব্যোমকেশ-এর মধ্যে, তিন দিনের না-কাটা দাড়ির মধ্যে কোনও বাঙালিয়ানা নেই, ফ্যাশন আছে। তখনকার বাঙালি হয় ক্লিন শেভন হবে, নয় দেড় ইঞ্চির দাড়ির।

গ্ল্যামার

আবীরের গ্ল্যামারটা শৈল্পিক। যিশুর রোম্যান্টিক। যিশুর ব্যোমকেশ তো আবার কাজের মেয়ের (মোহিনী)সঙ্গেও রোম্যান্টিক টোন-এ কথা বলে ফেলেছিল। এই হিরো-হিরো ব্যাপারটাই কিন্তু ব্যোমকেশের ক্ষেত্রে অ্যান্টি-গ্ল্যামার।

কণ্ঠস্বর/ব্যক্তিত্ব

আবীরের কণ্ঠস্বর ব্যোমকেশ-সুলভ। বেশি রূ়ঢ় নয়। আবার অতিরিক্ত রোম্যান্টিকও নয়। যিশুর কণ্ঠস্বর বেশ গোল, ভারী এবং রোম্যান্টিক; কিন্তু কঠিন কথা কঠিন ভাবে বলার মতো নয়। তাই এখানেও সামান্য হলেও আবীরকেই এগিয়ে রাখতে হচ্ছে। ভয়েস মড্যুলেশনে আর একটু মনোনিবেশ করতে হবে যিশুকে।

জাগরী বন্দ্যোপাধ্যায়

বিশ্বাসযোগ্যতা

দু’জনকেই একই নম্বর দিতে হচ্ছে। কিন্তু এটা মনে রাখতেই হবে, আবীর কিন্তু টানা ‘ব্যোমকেশ’ করেছে। সে দিক থেকে যিশুর অ্যাচিভমেন্ট অনেক বেশি। প্রথম ‘ব্যোমকেশ’য়ে চমকে দিয়েছে। যদিও এখনও অবধি যিশুকে এগিয়ে রাখাটা হঠকারিতা হবে।

অভিনয়

যিশু অবশ্যই আবীরের থেকে বেটার অভিনেতা। পাশাপাশি ‘ব্যোমকেশ’ হিসেবে যিশুর অভিনয়ে রয়েছে অনেক বেশি বৈচিত্র এবং স্বতঃস্ফূর্ততা। আবীর সেখানে বড্ড বেশি আড়ষ্ট।

বাঙালিয়ানা

দু’জনকেই ধুতি-পঞ্জাবি পরে দারুণ লেগেছে। যদিও বাংলা উচ্চারণের ব্যাপারে দু’জনের মনোযোগী হওয়া উচিত।

গ্ল্যামার

যুবক-যুবতীদের মধ্যে আবীরের ফ্যান সংখ্যা বেশি। যদিও ‘বয় নেক্সট ডোর’ হিসেবে যিশুর একটা আলাদা ফ্যানবেস রয়েছে, যেখানে একটু বয়স্ক মানুষেরা যিশুকে বেশি পছন্দ করে। তাই কোনও ভাবে কাউকে এগিয়ে রাখা যাবে না।

কণ্ঠস্বর/ব্যক্তিত্ব

গোয়েন্দাদের যে স্টিরিওটাইপ ইমেজ — লম্বা, চোয়াল শক্ত — তার সবটার সঙ্গে বেশি মিল আবীরের। আর অন্য দিকে যিশুর গলা হয়তো গোয়েন্দার তুলনায় একটু বেশি মিষ্টি। তাই হয়তো সামান্য এগিয়ে থাকবে আবীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE