সেঁজুতি দাস, কুশল পাল ও অস্মিতা কর
সেঁজুতি দাস
আঠেরো বছরের সেঁজুতি রোজ বেলুড় মঠে দাদুর সঙ্গে সন্ধ্যারতির গান শুনতেন। তখন রিয়্যালিটি শো, মুম্বই, কিছুই মাথায় ছিল না ওঁর। শ্রুতিনন্দন-য়ে গান শিখতে শিখতে হঠাৎই প্রতিযোগিতায় নাম দিয়েছিলেন। সেখান থেকে সোজা জি-র ২০১৬ সারেগামাপা রিয়্যালিটি শো-র মঞ্চে।
রিয়্যালিটি শো: নিজেকে প্রমাণ করার এর চেয়ে ভাল জায়গা নেই। মিউজিককে কী ভাবে কেরিয়ার হিসেবে নিতে হবে, তার জন্য কী কী করতে হবে সেটাই বুঝিয়ে দেয় রিয়্যালিটি শো।
মেন্টর: প্রীতম স্যারের মতো মেন্টর পেয়ে আমার জীবনটাই বদলে গিয়েছে। উনিই বলেছেন ‘‘কলকাতায় থাকলে হবে না। মুম্বই চলে আয়। তবে প্রচুর হার্ড ওয়ার্ক করতে হবে।’’ আপাতত হারজিত নিয়ে ভাবছি না। মেন্টর না হলেও মিকা (সিংহ) স্যারের কাছে শিখেছি কোনও অবস্থাতেই নেগেটিভ কোনও কিছু না ভাবতে।
সারেগামাপায় জয়ী হতে পারেন: যশপ্রীত ভাইয়া। কানাডা থেকে এসেছেন। ভার্সেটাইল সিঙ্গার।
নিজে চ্যাম্পিয়ন হলে: প্রাইভেট অ্যালবাম করব। ঠিক মতো প্যাকেজিং হলে লোকে শুনতে বাধ্য।
প্রেম: বন্ধুবান্ধবদের তো দেখেছি, প্রেমে পড়লে গান পড়াশোনা সবই মাথায় ওঠে। ওই বোকামিটা করব না।
পছন্দের শিল্পী: লতা মঙ্গেশকর, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, সোনু নিগম, অরিজিৎ সিংহ
কলকাতা না মুম্বই: যে করেই হোক মুম্বইতে থাকতে হবে। নতুন করে ইন্সট্রুমেন্ট শেখার ইচ্ছে আছে, সুরটা যাতে সরগর হয়।
মিস করছি: বিরিয়ানি আর চিকেন।
কুশল পাল
কলকাতার রকস্টার হিসেবে মুম্বইতেও সারা ফেলে দিয়েছেন সোনারপুরের এই ছেলে।
রিয়্যালিটি শো: প্রতিযোগিতা নয়, এটা প্ল্যাটফর্ম। সেরাটা দিতে হবে। হেরে যাওয়ার ভয় নেই।
মেন্টর: ইন্ডাস্ট্রি এখন মিউজিক ডিরেক্টর নির্ভর। সেখানে প্রীতম স্যারের গাইডেন্স পাচ্ছি। ওঁর স্টুডিয়োয় গিয়ে সেই একই জায়গায় একই মাইকে গান গেয়েছি। যে মাইকে শ্রেয়া ঘোষাল গেয়েছেন কিংবা অরিজিৎ সিংহ গেয়েছেন। ব্যাপারটা স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার মতো।
সারেগামাপায় জয়ী হতে পারেন: রূপালি, যশপ্রীত, অভিজ্ঞান।
নিজে চ্যাম্পিয়ন হলে: সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াব।
প্রেম: মেয়েবন্ধু তো হবেই। তবে আজকালকার দিনে প্রেম পোষায় না। বিস্তর ঝামেলা।
পছন্দের শিল্পী: সোনু নিগম।
কলকাতা না মুম্বই: অবশ্যই মুম্বই। আমি একজন মিউজিশিয়ান তাই মুম্বই থেকেই কাজ করতে চাই। হয়তো বিশাল নাম, গাড়ি, বাড়ি নাও করতে পারি। কিন্তু গান নিয়ে তো থাকব এটাই স্যাটিসফ্যাকশান।
মিস করছি: কলকাতার আড্ডা।
অস্মিতা কর
সারেগামাপার সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী তিনি। বাংলায় সারেগামা-র ফার্স্ট রানার আপ। ইদানীং তাঁর মিষ্টি গলা শুনে অনেকেই টুইট করেছেন, তিনি নাকি চাইলে লতা মঙ্গেশকরের মতো হতে পারেন।
রিয়্যালিটি শো: গ্রুমিং ক্লাস। অ্যাডভানটেজ হল লোকে রোজ দেখতে দেখতে চিনে যাচ্ছে। আর গান নিয়ে কেরিয়ার করার জায়গায় একটা আত্মবিশ্বাসের মতো কাজ করছে এই শো।
মেন্টর: সাজিদ-ওয়াজিদ। ওঁদের কাছেই শিখেছি আগে নিজের গান নিজের ভাল লাগতে হবে তবেই অন্যের মন জয় করা যাবে। ওঁরাই গানের মানে বুঝিয়ে ট্রেনিং দেন। এই তো সেদিন এসআরকে এসে অভিজ্ঞানকে বুঝিয়ে গেলেন কী ভাবে রোম্যান্টিক গান গাইতে হবে।
সারেগামাপায় জয়ী হতে পারেন: শচীনকুমার।
নিজে চ্যাম্পিয়ন হলে: প্লে ব্যাক সিঙ্গার হব, আরও পরিশ্রম করতে হবে। জীবনে হতাশাও হয়তো আসবে।
প্রেম: আমি এ সব নিয়ে ভাবছি না।
পছন্দের শিল্পী: লতা মঙ্গেশকর।
কলকাতা না মুম্বই: মা-বাবাকে ম্যানেজ করেছি। পড়াশোনা আর গান দুটোই মুম্বইতে করতে চাই।
মিস করছি: মাছ-ভাত। তিন মাসে এক বার মাছ ভাত খেয়েছি। এটা খুব কষ্টের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy