প্রিয়ঙ্কা
তাঁদের দু’জনের হলিউডে অভিনয় নিয়ে অজস্র শিরোনাম হয়েছে।
কোন পোশাক পরে তাঁরা প্রচারে এলেন, ছবিতে কেমন দেখাচ্ছে ইত্যাদি নিয়ে তুমুল চর্চা হয়েছে। কিন্তু সবই বিফলে গেল! কারণ, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এবং দীপিকা পাড়ুকোন দু’জনেরই প্রথম হলিউড ছবি দাগ কাটতে পারল না।
তবে তুলনামূলক ভাবে দীপিকা পাড়ুকোনের ‘ট্রিপল এক্স দ্য রিটার্ন অব জেন্ডার কেজ’ বক্স অফিসে মন্দ ব্যবসা করেনি। কিন্তু দীপিকাকে নিয়ে ভারতীয়দের যে আগ্রহটা ছিল, সেটা আন্তর্জাতিক বাজারে তৈরি হয়নি। অ্যাকশন সমৃদ্ধ ছবি ছাড়া ‘ট্রিপল এক্স...’ কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি।
প্রিয়ঙ্কার ‘বেওয়াচ’-এর অবস্থা আরও খারাপ। দর্শক-সমালোচক স্রেফ নাকচ করে দিয়েছে ছবি। অথচ ‘বেওয়াচ’ নিয়ে আগ্রহ বেশ ভালই ছিল। জনপ্রিয় টিভি সিরিজের ফিল্ম ভার্সান বলে কথা। কিন্তু বড় পরদায় একেবারে গল্পটা জমাতে পারেননি পরিচালক। ডোয়েন জনসন আর তাঁর দলবলও অভিনয় দিয়ে রক্ষা করতে পারেননি। এই ছবিতে প্রিয়ঙ্কা ভিলেন ছিলেন। তাই প্রত্যাশাটাও বেশি ছিল। কিন্তু অধিকাংশ বিদেশি সংবাদমাধ্যম প্রিয়ঙ্কারও বেজায় নিন্দে করেছে। অথচ ‘কোয়ান্টিকো’র জন্য তাঁকে নিয়ে সেই সংবাদমাধ্যমগুলোই আবার উচ্ছ্বসিত!
দীপিকা
আন্তর্জাতিক মঞ্চে দীপিকা আর প্রিয়ঙ্কাকে নিয়মিত দেখা গেলেও, পুরোটাই প্রচারসর্বস্ব হয়ে যাচ্ছে। ছবি ভাল না চললে সব উচ্ছ্বাসই ব্যর্থ। প্রিয়ঙ্কা পরপর বেশ কয়েকটি নামজাদা টিভি শোয়ে ডাক পেয়েছেন। তিনি কথাও ভাল বলেন। আর তাঁর হলিউডের এজেন্ট যে বেশ ভাল, সেটাও বোঝা যাচ্ছে। নয়তো এত কম সময়ের মধ্যে তাঁকে নিয়ে আমেরিকান মিডিয়ায় এ পরিমাণ হইচই হওয়ার কথা নয়। দীপিকা সম্প্রতি কানের মঞ্চে জৌলুস ছড়ালেন। কিন্তু সেটাও তো একটি প্রসাধনী সংস্থার জন্য। সিনেমা কোথায়? প্রিয়ঙ্কা আরও একটি হলিউড ছবিতে অভিনয় করবেন। কিন্তু সেটাও কোনও নামজাদা প্রোডাকশনের নয়।
এখন প্রশ্ন, স্রেফ ফ্যাশন আর স্টাইল দিয়েই আন্তর্জাতিক দরবারে কত দিন টিকে থাকতে পারবেন এঁরা, যদি না ছবিটা ভাল ব্যবসা করতে পারে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy