Advertisement
১১ মে ২০২৪
ঋতু গুহ স্মরণে

যে গানে ভালবাসার ছায়া

ঋতু গুহ কোনও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি সর্বদাই প্রচারের অন্তরালে থাকতে ভালবাসতেন। এই শিল্পীরই মৃত্যুদিনে তাঁরই ছাত্র রাহুল মিত্র কলামন্দিরে আয়োজন করেছিলেন ‘ওগো বিদায়’ শীর্ষক একক গানের আসর। গান নির্বাচন ঘিরে ছিল গভীরতর ভাবনা। মৃত্যু অমোঘ যা মুছেও মোছে না।

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

ঋতু গুহ কোনও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি সর্বদাই প্রচারের অন্তরালে থাকতে ভালবাসতেন। এই শিল্পীরই মৃত্যুদিনে তাঁরই ছাত্র রাহুল মিত্র কলামন্দিরে আয়োজন করেছিলেন ‘ওগো বিদায়’ শীর্ষক একক গানের আসর। গান নির্বাচন ঘিরে ছিল গভীরতর ভাবনা। মৃত্যু অমোঘ যা মুছেও মোছে না। গানের মাধ্যমেই তিনি জানিয়েছেন, ‘শোকে হিয়া জরজর’ (কী দিব তোমায়)। বলতেই হবে সে তো শ্রোতাদেরও মনের কথা। আমাদের অন্তরেও প্রতিধ্বনিত হয় ‘আছ হৃদয় মাঝে’ (সকল জনম ভরে)। সূচনাটি সুন্দর ভাবে ধরিয়ে দিয়েছিলেন ‘তোমারি নামে নয়ন মেলিনু’ গানের মাধ্যমে। তার পরে দুটি পর্ব মিলিয়ে এসেছে ছত্রিশটি গান। সবগুলিই যে সর্বদা সতেজ ছিল সে কথা বলা যায় না। ‘খেলার সাথি’, ‘বিদায়দ্বার তো খোলো’, ‘কেমন ফিরিয়া যাও’, ‘ওকে বাঁধিবি কেরে’ বা ‘যাওয়া আসারই এই কী খেলা’ তো বিচ্ছেদের মর্মবাষ্পে অনুভূতির উদাসীন যাতায়াত। ‘তোমার সোনার বালায় সাজাব আজ’ গানে চিত্তের যে প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় তা তাঁর আছে বলেই অমন গভীরে যেতে দিয়েছে। পূজা পর্যায়ের গানে এক ধরনের নিবেদনের শর্ত থাকে, সেই ভাবটিই অমন যে মর্মস্পর্শী ‘দিন ফুরানো হে সংসারী’ তাকেও শ্রোতার অন্তরে প্রবেশ করিয়ে দেয়। শেষ গানটি ছিল প্রকৃতি বসন্ত পর্যায়ের। বুদ্ধির প্রখরতায় এক মর্মভেদী নিবেদন যেখানে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন ‘ফুরায় ফুল ফোটা পাখিও গান ভোলে। দখিনবায়ু সেও উদাসী যায় চলে’ (চরণরেখা তব)। শেষ পঙক্তি ‘স্মরণ তারো কিগো মরণে যাবে ঠেকি’ তিনি যখন গাইছেন তখন আমাদের মনে পড়ে যায় কবির আরও এক বলা কথা পূজা পর্যায়ের শেষ গানে ‘অচিন কূলে পাড়ি দেব/আলোকলোকে জন্ম নেব/স্মরণরসে অলখঝোরায় প্রাণের কলস ভরতে’।

বারীন মজুমদার

মৃত্যুর পরেও

এক সময়ে বাদল সরকারের ‘পাগলা ঘোড়া’ নাটকটি অভিনয়ে প্রাণ পেয়েছিল বহুরূপীর প্রযোজনায়, শম্ভু মিত্রের নির্দেশনায়। বহু দিন পরে সেই নাটকই কোনও সম্পাদিত আধুনিক চেহারায় নয়, বরং ঐতিহ্য রেখেই মঞ্চস্থ হল সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশনায়।

পাগলা ঘোড়া মৃত্যুর নাটক, আবার জীবনেরও। শ্মশানে এক তরুণীর মৃতদেহ পুড়ছে। আর চারজন শ্মশানবন্ধু সময় কাটাচ্ছে তাস খেলে, মদ খেয়ে আর নিজেদের জীবনের ব্যর্থ প্রেমের গল্পের বর্ণনায়। সাতু, হিমাদ্রি, শশী আর কার্তিক। সেই সব গল্প শুনছে চার পাশে ঘুরে বেড়ানো তরুণীর অতৃপ্ত আত্মা। মৃত্যুর পরেও কি জীবনের প্রতি মায়া, অতৃপ্ত বাসনা থেকে যায়? এই নাটকের শিল্পীরা এবং দর্শক খুব কম জনই বহুরূপীর আগের প্রযোজনার স্বাদ পেয়েছেন। তাই পুনরাবৃত্তি বা মিলিয়ে দেখার কোনও সুযোগ ছিল না। সুতপা একই সঙ্গে ওই মৃত তরুণীর ভূমিকায় অভিনয় ও পরিচালনার দায়ভার বহন করেছেন। তাঁর প্রশংসা করতেই হয়। কার্তিক ও সতুবেশী অলোকনাথ দে ও সৌম্য মজুমদার বেশ ভাল। আরও একটু মনোযোগী হতে হবে দীপঙ্কর হালদার ও প্রবীর আদিত্যতে। লছমি চরিত্রে আদিত্য দাশগুপ্তকে সুন্দর মানিয়েছে। বাকি দুই মহিলা চরিত্র কিছুটা আড়ষ্ট।

শিখা বসু

রাগের বাহার

সম্প্রতি ব্রাহ্ম সমাজ আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই সুনন্দা ঘোষ শোনালেন ‘মহাবিশ্বে মহাকাশে’। ইমন কল্যাণ রাগে তেওড়া তালে গানটি শিল্পীর কণ্ঠে অন্য মাত্রা পায়। পরে গাইলেন ধামার তালে বাহার রাগে ‘এত আনন্দধ্বনি উঠিল কোথায়’।

রাগ ছায়ানট একতালে ‘সত্য মঙ্গল প্রেমময় তুমি’ শোনালেন তিনি।

পাঠে ছিলেন অমলেন্দু ভট্টাচার্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ritu Guha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE