Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

রং-রেখার কৃষ্ণায়ন কথা

তুলনায় খুব ছোট কিন্তু অতি কাব্যিক রেখা ও মিতবর্ণের কোমলতা ড্রয়িংসদৃশ কৃষ্ণের বিভিন্ন মুহূর্তকে বাঙ্ময় করে তোলে। কৃষ্ণের নানা চিত্রের মধ্যেই মহাভারতের মুহূর্ত, বিশেষ ঘটনাবলিকে বিন্যস্ত করেছেন বিস্তৃত পটের কম্পোজিশনে।

স্বতন্ত্র: সিদ্ধার্থ সেনগুপ্তের একটি কাজ। সম্প্রতি, বিড়লা অ্যাকাডেমিতে

স্বতন্ত্র: সিদ্ধার্থ সেনগুপ্তের একটি কাজ। সম্প্রতি, বিড়লা অ্যাকাডেমিতে

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

‘রঙে রেখায় শ্রীকৃষ্ণ আমার কাছে একাকার। কিছুতেই তাঁকে ছাড়া ছবি ভাবতেই পারি না। বারে বারে তাঁর কাছেই ফিরে যাই।’ এক যুগ আগে শিল্পী সিদ্ধার্থ সেনগুপ্ত রোগশয্যায় থাকাকালীন কিছু ড্রয়িং করেন, যা ছিল ‘কৃষ্ণযাপন’ সিরিজ। তখনই তিনি জানান এ কথা। সম্প্রতি বিড়লা অ্যাকাডেমিতে হয়ে গেল ‘কৃষ্ণায়ন’। ১৯৯৯ থেকে টানা কৃষ্ণ-সিরিজ নিয়ে ছবি করে চলেছেন সিদ্ধার্থ।

তাঁর ছবির পরিসর, বিশেষত পটের বিস্তার এক বিরাটত্বের দাবি রাখে। তুলনায় খুব ছোট কিন্তু অতি কাব্যিক রেখা ও মিতবর্ণের কোমলতা ড্রয়িংসদৃশ কৃষ্ণের বিভিন্ন মুহূর্তকে বাঙ্ময় করে তোলে। কৃষ্ণের নানা চিত্রের মধ্যেই মহাভারতের মুহূর্ত, বিশেষ ঘটনাবলিকে বিন্যস্ত করেছেন বিস্তৃত পটের কম্পোজিশনে।

তাঁর এ প্রদর্শনীর সব কাজই লাইন ড্রয়িং ও জলরঙের। শিল্পী জলরংকে আত্মস্থ করেছেন এক আশ্চর্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দীর্ঘকাল ধরে। বাংলার বরেণ্য চিত্রীদের অতি ঐতিহ্যপূর্ণ ‘ওয়াশ’ ছবির যে মোহময় জগৎ, তার পরম্পরাকে স্মরণে রেখেও তিনি নিজে এক ধরনের জলরঙের মায়াকে উপলব্ধি করিয়েছেন সম্পূর্ণ ওয়াশ টেকনিক বা বিধৌত পদ্ধতির বদলে— নিজস্ব করণকৌশল ও স্বতন্ত্র রূপারোপের ব্যঞ্জনায়, পটে রঙের নানা স্তরের ওভারল্যাপিংয়ের মধ্যে। আলো ও অন্ধকারকে নাটকীয় ভাবে এক আশ্চর্য বৈপরীত্যের মধ্যে রেখেও অবয়বগুলিকে যেন বা রঙের মায়াবী সমীকরণে প্রাণ দিয়েছেন! এই শরীরী বিভঙ্গের মধ্যে ড্রয়িংয়ের গভীরতা ও ব্রাশিং সেই অভিব্যক্তিকে যে কাব্য-সুষমায় লালিত করেছে, এক কথায় তাকে ‘বর্ণ, রেখা ও বিষয়ের ত্রিবেণী-সঙ্গম’ বলতেই হয়।

স্বচ্ছ বা প্রথাগত জলরং নয়, জলরঙের সঙ্গে রঙিন কালি মেশানো ধৌত পদ্ধতি একান্ত তাঁর নিজের। পরতে পরতে লাগানো রং, অনেক জায়গায় স্প্রে করে, ধুয়ে ধুয়ে রং লাগানোর যে টেকনিক, সেখানে কাগজের টেক্সচারের ক্ষুদ্র নিম্নাংশে জমে থাকা রং উপরের আপাতনরম রঙের মসৃণতাকে একটি অন্য মাত্রার বৈপরীত্যে নিয়ে যাচ্ছে, সেখানেও আলোকিত মোহময় মুহূর্ত তৈরি হচ্ছে। অনেক জায়গায় স্বচ্ছতার পাশাপাশি অনচ্ছ রঙের মাধ্যমে তৈরি টেম্পারা-ছবির মুহূর্তকেও টের পাওয়া যায়। এই আলোর জাদু তৈরি করেছেন বারবার ধুয়ে, রঙের আস্তরণ তৈরি করে। রং তুলে নিয়ে টেক্সচারকে বের করে আনার মাধ্যমে।

সিদ্ধার্থর কম্পোজিশনের কৃষ্ণ তো অনেকটাই সেই গাঁ-গঞ্জের কৃশকায় আদুল গায়ের ছেলেটি। কখনও গবাদি পশুর মাঝে বাঁশি হাতে, তো কখনও চন্দ্রালোকিত রাতে প্রিয়তমা রাধার সঙ্গে। কখনও ভীষ্মের শরশয্যার পাশে রথের নীচে, আবার কখনও অর্জুনকে নির্দেশরত অবস্থায়...

সিদ্ধার্থর ছবির কম্পোজিশন অতি সরলীকরণ নয়। বরং এত যে অবয়ব, তা সত্ত্বেও জটিলতা নেই কোথাও। উপাদানগুলি বিচ্ছিন্ন ভাবে হলেও তা তাঁর ছবির মধ্যে নীরবে আত্মগোপন করে থাকে, যা প্রকাশের কোনও চিহ্ন নেই।

নিয়ন্ত্রিত রেখা, বিশাল জায়গা জুড়ে বিভিন্ন রঙের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য— পুরাণ, ইতিহাস বা আরও বহু পিছনের ঘটনা ও কল্পনার মিশেল তাঁর পটকে আচ্ছন্ন করে রাখলেও, কম্পোজিশনের গুণে একটুও সামঞ্জস্যহীন হয়নি। শূন্য স্পেসকে রং ও তার বিন্যাস, সমান্তরাল ও উল্লম্ব ফর্ম তৈরির রূপারোপ, কাহিনিনির্ভর না হয়ে পড়া— এ সব মাথায় রেখেছেন। রথের চাকা বসে যাওয়া, বুদ্ধরূপী কর্ণ, কৃষ্ণ-নির্দেশে অর্জুনের কর্ণবধ, উপরে গোল চাঁদের নীচে কর্ণের ছিন্ন মাথার সামঞ্জস্য, উপরের ডান দিকে রথারূঢ় গণেশ, চাঁদের ঠিক নীচে নীলাবয়ব কৃষ্ণ, উপরে বাঁ দিকে জোড়া শ্বেতশুভ্র অশ্বের আস্ফালন— সব মিলিয়ে দৃষ্টি অর্ধ বর্তুলাকার এক প্যাটার্নে ধরা। চমৎকার কম্পোজিশন। যেমন ‘বিভোর’ ছবিটি। নীল পটভূমি, নেশাচ্ছন্ন মানুষেরা বিভোর হয়ে আছে ও গড়াগড়ি খাচ্ছে। উপরে সমান্তরাল হাল্কা লাইনসদৃশ ব্রাশিংয়ে মন্দিরের স্থাপত্য। সমগ্র নীলের একঘেয়েমি কাটিয়ে নীচের আলোকিত শূন্যতায় একটি কলসি চমৎকার ভারসাম্য রক্ষা করছে। ‘দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ’-এ তিনি দ্রৌপদীকে দেখিয়েছেন চার হাতের গেরুয়া বসনধারী ও খোলা চুলের ভারতমাতা হিসেবে।

আপাতদৃষ্টিতে আধ্যাত্মিকতা বা ধর্মীয় দর্শনে তিনি মোহাবিষ্ট হলেও, চিত্রকর আঙ্গিক প্রকাশে ছবি তৈরির করণকৌশল, বিষয়কে রং ও রেখার সমাহারের গভীরতাই আসল। দ্বিমাত্রিক পটকে নিজের আয়ত্তে এনে পূর্ণাঙ্গ চিত্রসৃষ্টির সার্থকতায় তিনি যে সম্পূর্ণ সফল, তাতে সন্দেহ নেই।

অতনু বসু

নির্মল হাস্যরসে উনিশ শতকের কমেডির ছায়া

নাটকের দৃশ্য

পাইকপাড়া ইন্দ্ররঙ্গ প্রযোজিত ‘অদ্য শেষ রজনী’ নাটকের নায়ক অমিয় চক্রবর্তীর একটি সংলাপ কোনও কোনও দর্শকের হয়তো মনে থাকতে পারে—‘সাধারণ দর্শক যাতে নাটক দেখে হেসেকেঁদে এ-ওর গায়ে গড়িয়ে পড়তে পারে, তার ব্যবস্থা করা দরকার।’ এ কালের গড়পড়তা দর্শক, ব্যবসায়িক থিয়েটারের অভিনয় নিয়ে যাঁদের কোনও অভিজ্ঞতাই নেই, তাঁরা উত্তর কলকাতার থিয়েটারি দর্শন—তথা ‘মনোরঞ্জনের নিমিত্ত থিয়েটার’ ব্যাপারটি ঠিক কেমন যদি বুঝতে চান, তবে সায়ক প্রযোজিত ‘প্রেমকথা’ দেখুন।

‘প্রেমকথা’ দর্শক-মনোরঞ্জনের উপযোগী সব রকম উপাদানে ঠাসা। সপ্তদশ শতকের ফরাসি নাট্যকার মলিয়্যেরের ‘লা-আভরে’ অবলম্বনে চন্দন সেনের এই নাট্যরূপে রয়েছে গত শতকের ব্যবসায়িক থিয়েটারের উপযোগী কাহিনি। পরিবারের প্রধান কর্তা তথা পিতা প্রাণকেষ্ট পোদ্দারের (মেঘনাদ ভট্টাচার্য) অর্থলালসা, কৃপণতা ও স্বেচ্ছাচারিতা কী ভাবে তার পুত্রকন্যা ও দোকান-কর্মচারীদের তটস্থ করে রাখে, তার হাস্যকর সব উপাদান আছে। এমনকী, নিজের পুত্রের প্রেমিকাকে দেখে তাকে বিবাহ করার জন্য খেপে ওঠার সাবেকি ছক রয়েছে। এ রকম স্বেচ্ছাচারী দুশ্চরিত্র পুরুষকে জব্দ করার জন্য পুত্র-কন্যা, তাদের প্রেমিকা ও প্রেমিক, কর্মচারী প্রমুখের একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করার উনিশ-শতকীয় কমেডির ছায়াপাত রয়েছে। রয়েছে মিষ্টি প্রেমের গান, তার সঙ্গে প্রেমিক-প্রেমিকার উপভোগ্য নাচ।

প্রায় প্রতিটি সংলাপেই আছে কিছু না কিছু হাসির উপাদান। কাহিনির একনায়কত্ব অনুসারে হাসির উপাদানগুলির প্রধান ধারক-বাহক স্বয়ং প্রাণকেষ্ট পোদ্দার! সুতরাং তার অভিনয়ে কমেডিসুলভ কতকগুলি ধাঁচ বর্তমান। এবং যেহেতু দলপতির ভূমিকাভিনেতা কমেডি অভিনয়ের নির্দিষ্ট ছাঁচটি প্রস্তুত করেছেন, তাই সহ অভিনেতারাও মনেপ্রাণে সেই ছক অনুসরণ করেছেন। আট জনকে জোকারের সাজে সজ্জিত করে মাঝেমধ্যেই মঞ্চে তোলা হয়েছে, চরিত্রের আশেপাশে মূকাভিনয় করে যাঁরা তবলার বাঁয়ার ভূমিকা পালন করেছেন। প্রতীক চৌধুরীর সংগীত, সৌমিক-পিয়ালির মঞ্চ, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের আলো ও সুকল্যাণ ভট্টাচার্যের কোরিয়োগ্রাফি—সমস্তই নির্দেশক ও প্রধান অভিনেতা মেঘনাদ ভট্টাচার্য তথা সায়ক-এর নাট্যদর্শনের নিমিত্ত নিবেদিতপ্রাণ। সম্ভবত সে কারণেই মধুসূদন মঞ্চের প্রায় ভর্তি হলের দর্শকদের নাটক চলাকালীন এ-ওর গায়ে হেসেকেঁদে হুবহু গড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল বহু বারই!

মলয় রক্ষিত

কত্থকের সঙ্গে মিলিয়ে

সম্প্রতি আইসিসিআর-এ আশাভরী মজুমদার নিবেদন করলেন কত্থক নৃত্যের অনুষ্ঠান। কনটেম্পোরারি নৃত্যের আঙ্গিকেই এই কত্থক, যা উপভোগ করলেন শ্রোতারা। শাস্ত্রীয় নৃত্যে কিছু বাঁধাধরা নিয়ম থাকে। কিন্তু কনটেম্পোরারি নৃত্যে কোনও ব্যাকরণগত নিয়ম থাকে না। শিল্পী খুব সুন্দর ভাবে তাঁর পরিকল্পনাকে কত্থকের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন। অনুষ্ঠানের শেষ নিবেদন ছিল ‘কোন গলি গ্যয়ি শ্যাম’। ঠুমরির তালে নৃত্যটি নিপুণ ভাবে পরিবেশিত হয়েছে। শিল্পীরা ছিলেন সুশান্ত ঘোষ, মোনালিসা চট্টোপাধ্যায়, বিনোদ দাস, আশাভরী প্রমুখ।

পলি গুহ

কণ্ঠের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হৃদয়

সম্প্রতি বিড়লা অ্যাকাডেমিতে প্রথিতযশা গীতিকবিদের একগুচ্ছ গানের ডালি নিয়ে উপস্থিত হন নূপুরছন্দা ঘোষ। তাঁর গানের তালিকায় ছিল দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুলপ্রসাদ সেন, রজনীকান্ত সেন ও নিশিকান্তের কথায় দিলীপকুমার রায় সুরারোপিত গান। প্রতিটি গানেই ছিল আন্তরিকতার ছোঁয়া। গানের মধ্য দিয়ে তিনি স্রষ্টার সৃষ্টিকে যথাযথ ভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। ভাল লাগে রজনীকান্ত সেনের ‘প্রাণের পথ চেয়ে’, অতুলপ্রসাদ সেনের ‘শুধু একটি কথা কহিলে মোরে’, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকের গান ‘বেলা বয়ে যায়’ ও ‘আজি এসেছি— আজি এসেছি বঁধু হে’। তাঁর গাওয়া শেষ গান ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ শ্রোতাদের মনে বিশেষ অনুভূতির সঞ্চার করে। যন্ত্রসংগীতে সহযোগিতা করেন দীপঙ্কর আচার্য, ঋতম বাগচী ও অলোক রায়চৌধুরী। দ্বিতীয়ার্ধে মঞ্চে আসেন পাশ্চাত্য সংগীতে দীক্ষিত পিয়ানোশিল্পী মারেক বিলিমোরিয়া। পিয়ানোয় তিনি পাশ্চাত্য সংগীতের সুর পরিবেশন করেন।

কাশীনাথ রায়

অনুষ্ঠান

• নিউ টাউনের রবিতীর্থে সম্প্রতি তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হল ‘আনন্দ বসন্ত সমাগমে’। আয়োজন করেছিল ইজেডসিসি। তিন দিনের অনুষ্ঠানে সংগীতে ছিলেন মনোময় ভট্টাচার্য, নন্দিনী চৌধুরী, শুভমিতা, শ্রাবণী সেন, শৌণক চট্টোপাধ্যায় এবং সৌরভ মণি। ভাষ্য পাঠ করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সরোদ বাজিয়েছিলেন রাজীব চক্রবর্তী। বেহালায় ছিলেন ভায়োলিন ব্রাদার্স দেবশঙ্কর এবং জ্যোতিশঙ্কর।

• শিশির মঞ্চে ইন্দ্রধনু আয়োজন করেছিল ‘চৈতি ফুলের রাখী’। উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশন করেন ইন্দ্রাণী। আবৃত্তিতে ছিলেন সাগ্নিক ও সমৃদ্ধ। সংগীত পরিবেশন করেন মৌসুমী কর্মকার, শিখা মজুমদার, দীপ্তি চন্দ্র, অরুন্ধতী চট্টোপাধ্যায়, সচ্চিদানন্দ ঘোষ, কুমকুম বন্দ্যোপাধ্যায়, মিষ্টি মুখোপাধ্যায়, শুভাশিস সাহা, অরুণিমা সাহা, অরূপ ঘোষ প্রমুখ।

• সম্প্রতি আইসিসিআর-এ সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে নান্দনিক আয়োজন করেছিল একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের। অংশগ্রহণ করেছিলেন পৌষালী চট্টোপাধ্যায়, গৌরী দত্ত, তমান্না রহমান, রিখিয়া বসু, দেবাঞ্জনা রায়, কৃষ্ণকলি দাশগুপ্ত, দেবাঞ্জলি বিশ্বাস, প্রিয়াঙ্কা তালুকদার, মালবী চৌধুরী, মৌমিতা মজুমদার গঙ্গোপাধ্যায়, শামবন্তী চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন কলাবতী দেবী, গৌতম দে, অলকা কানুনগো, দেবযানী চালিহা প্রমুখ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE