Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ওখানেই নিয়ে গিয়েছিল স্বামীরে

অ ঘ্রাণের বিকেলে, হেড়োভাঙার বাদাবন থেকে উত্তুরে হাওয়া দিতে শুরু করলেই তুষের চাদরটা গায়ে জড়িয়ে নেন সাবিত্রী। সবুজ ট্রাঙ্কে পাট করে রাখা চাদরে ন্যাপথলিনের গন্ধ। গায়ে জড়ালেই হারানো মানুষটার ওম ফিরে আসে।

ছবি: কুনাল বর্মণ

ছবি: কুনাল বর্মণ

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

অ ঘ্রাণের বিকেলে, হেড়োভাঙার বাদাবন থেকে উত্তুরে হাওয়া দিতে শুরু করলেই তুষের চাদরটা গায়ে জড়িয়ে নেন সাবিত্রী। সবুজ ট্রাঙ্কে পাট করে রাখা চাদরে ন্যাপথলিনের গন্ধ। গায়ে জড়ালেই হারানো মানুষটার ওম ফিরে আসে।

চার-খুঁটির উপরে রংচটা ত্রিপল। খান তিনেক আধময়লা হ্যাজাক ঘিরে অগুনতি রাত-পোকার ভিড়। মাঘ-রাতে বনবিবির পালা বসেছে ঝড়খালির স্কুল মাঠে— ‘দুখে যাত্রা’। চাদর-কাঁথায় মুড়িসুড়ি দেওয়া ভিড় পালা গিলছে, শুধু তাঁর দু’চোখ ঝাপসা। এক কোণে বসা, ক্ষয়াটে সেই চাদরের খুঁটে থেকে থেকেই চোখ মোছেন সাবিত্রী মণ্ডল। ক্যানিং বাজার থেকে কিনে এনে চাদরটা তাঁর গায়ে জড়িয়ে দিয়ে মানুষটার সে কী বকবকানি! ‘বাদাবনের জার (ঠান্ডা) হেই বার পালাতে পথ পাবে নাকো!’ বনবিবির পালা ফুঁড়ে যেন ফিরতে থাকে মানুষটা!

এই শীতে চার বছর হল। সাবিত্রী বলেন, ‘অমন জুয়ান মাইনস্যের দেহডা যখন নিয়ে এল, এক্কেবারি ন্যাতা হয়ি গ্যাছে। বড় মিঞা ছুঁলি আর কিস্যু করবার থাকে না গো!’ ঘাড়ে দুটো ফুটো আর ঈষৎ খোলা চোখ, সতেরো বছর ঘর করা স্বামী প্রভাত মণ্ডলের সেই মরা মুখটাই মনে আছে সাবিত্রীর।

ঊষা কাটুলিয়ার তো এখনও মনে হয়, উঠোনে দাঁড়িয়ে এই বুঝি হাঁক পাড়বে মানুষটা, ‘কই গো পাত পাড়ো, ডিঙা ভাসাইতে হইব যে!’ সেই দুপুরে জাল আর হাঁড়ি নিয়ে ডিঙি নৌকায় ভেসে গিয়েছিল তার গোটা সংসারটাই। চামটার জঙ্গলে স্বামীর থুবা জালে গেঁথে যাওয়া খান বিশেক নোনা-কাঁকড়া হাঁড়িতে করে সঙ্গীরা গ্রামে ফিরিয়ে এনেছিলেন। মানুষটার আর ফেরা হয়নি। ‘দক্ষিণ রায়’ টেনে-হিঁচড়ে বাদাবনের এমন গহনে নিয়ে গিয়েছিল, হাড়-মাস কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধু ন্যাতাকানি হয়ে যাওয়া নীল-সবুজ ডুরে লুঙ্গিটা ছাড়া।

আগামী শীতে তেরো বছর হবে— বন দফতরের খাতায় ‘টাইগার-কিল’ হয়ে যাওয়া বাসুদেব রায়ের। কিন্তু নদী উজিয়ে, হেড়োভাঙার জঙ্গলে ‘দক্ষিণ রায়’ এক বার হাঁকাড়ি পাড়লেই মালতীর মনে পড়ে যায় সেই সব দিনরাত্রি। ‘মানুষটা সব সময় বলত, বাঘে আমারে ছোঁবে না। সেই দক্ষিণ রায়েই নিল তারে!’ কপালে দু’বার হাত ঠেকান প্রৌঢ়া, ‘অসময়ে ‌এমন করি আর কাওরে যেন ছুঁতি না পারে বড় শেয়াল!’

‘বড়ে মিঞা’, ‘বড় শেয়াল’, কদাচিৎ ‘দক্ষিণ রায়’। কখনও ‘বাঘ’ নয়। গ্রামীণ মহিলারা অমোঘ বিশ্বাসে বলেন, ‘আপনি না দ্যাখলে কী হবে, উনি কিন্তু আপনারে দ্যাখতেছেন।’ নাম নেওয়ার গোনা (পাপ) কেউ করে! গোসাবার স্কুলশিক্ষক আব্দুর গাজি ধরিয়ে দিচ্ছেন, ‘বাঘের সঙ্গে ঘর করে, তার নাম নেবে, সোঁদরবনের মানুষের এমন সাহস আছে!’ হেড়োভাঙা, চামটা, দোবাঁকি, হলদিবাড়ির জঙ্গলে তাঁদের ‘বাঘে টানা’ স্বামী-স্বজনের কথা উঠলেই, হননকারীর নামটা তাকে তুলে রাখেন দ্বীপের আপামর বাসিন্দা। মানুষগুলোর ক্ষতবিক্ষত স্মৃতিই শুধু ছটফট করে।

কাঠ-কাঁকড়া কিংবা মাছ-মধুর ফরেস্ট পারমিট থাকলে ক্ষতিপূরণ একটা মেলে বটে। কিন্তু তাও সহজে নয়। উলেমা বিবি বলছেন, ‘দক্ষিণ রায় ছুঁলি হাজারও হ্যাপা। ক্ষতিপূরণ পাইতে বৎসর ঘুরি যায়।’ মাতলার তীরে ক্যানিং ঘাটে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের দোতলা দফতর। কাচ ঢাকা টেবিলের ও পারে কলম ঠুকছেন বন কর্তা, ‘সময় তো একটু লাগবেই ভাই, খোঁজখবর না করে ক্ষতিপূরণটা দেব কী করে!’

মউলি বা মেছো, মধু, মাছ কিংবা কাঠের খোঁজে বাদাবনের যে কম্পার্টমেন্টে পা রেখেছিলেন, সে বনের পারমিট ছিল কি না, পারমিটের মেয়াদ ফুরিয়েছিল কি না— দীর্ঘ যাচাইয়ের পর, কর্তাদের সইসাবুদ শেষে ক্ষতিপূরণের খাম পাড়ি দেয় ভুটভুটিতে। জোয়ার-ভাটা ঠেলে নদী উজিয়ে দ্বীপের ঘাটে আসতে মাস গড়িয়ে ভাদুরে মেঘ এসে পড়ে আকাশে। তত দিনে বাঘে টানা মানুষটার স্মৃতি ফিকে হয়ে এসেছে।

বাদাবনের ছায়ায় সাগর মোহনা জুড়ে শ’খানেক ছোট-বড় দ্বীপ। ৫৪টি দ্বীপে মানুষের বসত, বাকিটা দক্ষিণ রায়ের নিরঙ্কুশ রাজ্যপাট। আমলামেথি, লাহিড়িপুর, সাতজেলিয়া, দয়াপুর— গ্রামগুলোকে একে অন্যের থেকে আলাদা করা দুষ্কর। হাঁস-চরা পুকুর, বাঁশঝাড় আর তাল-তবলার বুনো ঝোপ। গ্রামের সীমান্তে মাটির বেড় দিয়ে দেড়-দু’মানুষ উঁচু বাঁধ— নদীর উচ্ছ্বাস আর দক্ষিণ রায়ের আনাগোনা সামাল দিতে। মানুষের যাপনচিত্রেও কোনও বদল নেই। মধু, কাঁকড়া কিংবা মাছের খোঁজে বাদায় গিয়ে তাদের কেউ ফিরে আসে হপ্তা তিনেকের রোজগার নিয়ে, কেউ আবার কোনও দিনই ফেরে না। দক্ষিণ রায়ের সাম্রাজ্যে এটাই নিয়ম।

নেতিধোপানির রাধারানি মণ্ডলের দ্বীপের বাইরে ভেসে যাওয়ার সুযোগ কোথায়! বাঘে টানা পরিবারগুলোর উঠোনে দক্ষিণ রায়ের মতোই পা টিপে টিপে এসে জড়ো হয় অভাব আর নিরন্ন দুপুর। যখন ঘটিবাটি বন্ধক রেখেও কুলোয় না, সাবিত্রী-উলেমাদের কাজের খোঁজে ভেসে পড়তে হয় ক্যানিং কিংবা কলকাতায়। অচষা জমি ভরে ওঠে আগাছায়। ছেলেমেয়েগুলোর পড়াশোনায় দাঁড়ি পড়ে। আর যাঁরা এই ঝাপট সামাল দিতে পারেন না, লাহিড়ীপুরের ডাকসাইটে গুনিন ইসমাইল মোল্লা তাঁদের নিদান দেন, ‘বিষিন্যা’ (বিষন্নতা) রোগে ধরেছে। কীটনাশক কিংবা গরানের ডালে শাড়ির ফাঁসে মুক্তি খোঁজেন তাঁরা। লগি ঠেলে জোয়ার-ভাটা উজিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সুযোগও মেলে না। জেমসপুরের জাঁদরেল হাতুড়ে ইন্তাজ আলি বলেন, ‘বাদাবনের মানুষ বড় আজব, বাঁচার জন্য যেমন লড়াই করতে পারে, তেমনই পট করে মরে যায়। এই আছে, এই নাই।’

ঝড়খালির স্কুল মোড়ে মেরেকেটে ফুট পাঁচেক লম্বা একটা টেলিফোন বুথ। মোবাইলের রাজপাটে তেমন কদর নেই, তবু আকুল বিশ্বাসের দোকান অষ্টপ্রহর খোলা। যার যেমন দরকার ফোন করে ফিরে যান। কেউ রেখে যান দুটো টাকা, কেউ তাও নয়। দৃষ্টিহীন আকুলের তাতে হেলদোল নেই। কুমির, কামট, বাদাবনের বড়ে মিঞা আর তাদের হানায় ক্ষতবিক্ষত পরিবারগুলোকে নিয়েই তাঁর দিবারাত্রির কাব্য, এই আপিস ঘরে। নতুনগ্রাম, ত্রিদিবনগর, সর্দারপাড়ার ৪২ জন স্বজনহারা মহিলার ‘বিষিন্যা’ রোগ ঝেড়ে ফেলেছেন আকুল। চার বছর ধরে তাঁদের নিয়েই আকুলের ‘সবুজ বাহিনী’। পাখিপড়া করে ওঁদের বোঝান, ‘বাদাবনের ছুরত (সুরত) ফুরোলেই আমরা শ্যাষ, এইটা মনে রাখতি হবে!’ হেতাল, গরান, সুন্দরীর মতো গাছ মাটির গভীরে শেকড় চালিয়ে দ্বীপগুলোকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। ওরা যত দিন বেঁচেবর্তে আছে, বনবিবির দেশের আয়ু তত দিন। সবুজ বাহিনীর সদস্যদের ফরমান জারি করেছেন তিনি, নদীর পাড়ে রোজ একটি করে বাদাবনের গাছের বীজ পুঁততেই হবে।

বাঘে টানা পরিবারগুলোকে বাঁচাতে আকুল চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কপি গিয়েছে বনমন্ত্রীর দফতরেও। সর্দারপাড়ার দাওয়ায় গোল হয়ে বসা জনা ত্রিশ মহিলাকে আকুল বলছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীরে লিখেছি, সোঁদরবনে বাঘ-কুমির দেখতে আসা বাবুদের এ বার থেকে তোমরাই জঙ্গল ঘুরিয়ে দেখাবে। চিনিয়ে দেবে গাছগাছালি। ঘরের মানুষটাকে কী ভাবে নিয়ে গেল দক্ষিণ রায়, বলবে সেই কাহিনি।’

বাঘ-কুমিরের দাপাদাপির খোঁজে আসা মরশুমি পর্যটনবাবুদের কাছে ‘বাঘে টানা’ পরিবারগুলির কাহিনি যে আয়ের একটা রাস্তা খুঁজে দেবে, আকুল বোঝেন। হোক না আটপৌরে মহিলা গাইড, বাদাবনের কোল ঘেঁষে যাওয়া লঞ্চ থেকে তিনি যখন নিজেই চিনিয়ে দেবেন— ওই হল গিয়ে কুলতলির ট্যাঁক (নদীর বাঁক), আমার স্বামীরে ওইখানেই বাঘে ধরেছিল, মনখারাপের আড়ালে শহুরে মানুষের কাছে তার রোমাঞ্চ কি কম! কলকাতার নামী পর্যটন সংস্থাগুলির আকুলের আইডিয়া মনে ধরেছে। তবে আকুল সতর্ক, আগে বন দফতরের ছাড়পত্র আসুক, পরে ওই সব সংস্থার সঙ্গে কথা বলা যাবে।

পরিজনহারাদের নিয়ে এ পর্যটন চালু হলে সুদূর কেনিয়ার ডেভিড শেলড্রিক-এর সঙ্গে এক সুতোয় জড়িয়ে যাবেন সুন্দরবনের আকুল। কেনিয়ার নাইরোবিতে অনাথ হস্তিশাবকদের একটি ক্যাম্প চালান শেলড্রিক। ইউরোপের পর্যটকদের সাফারিতে পাঠানোর সময়ে তিনি গাইড হিসেবে গাড়িতে তুলে দেন স্থানীয় গ্রামের মহিলাদের। সিংহ-চিতা-জলহস্তীর হানায় নিজেদের স্বজনহারা জীবনের দুঃসহ সব গল্প বলেন ওঁরা। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। প্রতি বছর শুধু পর্যটকের সংখ্যাই বাড়ছে না, খান তিনেক সংগঠনও গড়ে উঠেছে। যারা ইউরো এবং ডলারে নিয়ম করে সাহায্য পাঠান স্থানীয় আদিবাসীদের।

গোসাবার ‘বালি’ দ্বীপে সে বছরও ফলন হয়নি তেমন। সুবল সর্দারকে তাই রুজির টানে ভেসে পড়তে হয়েছিল বস্তাবুড়ির খালে। তাঁর স্ত্রী গীতা বলছিলেন, ‘বাড়িতে এক দানা চাল ছিল না। মানুষটা দু’কেজি চাল ধার করে এনে ঘরে নামিয়ে বলল, ভাত বসাও, দুপুরেই ফিরব। আর ফিরল না।’ বাদাবনের খালে মাছ ধরার সময় খেয়ালই করেননি, বাঘ তাঁর ডিঙিতে সেঁধিয়ে গিয়েছে। আশেপাশের মাঝি-মাল্লারা বোঝার আগেই বড়ে মিঞা টেনে নিয়ে গিয়েছিল বাদাবনে। পাখিরালয়ের কৌশল্যা মণ্ডলের সংসারটাও এমনই এক দুপুরে ফালাফালা হয়ে গিয়েছিল বাঘের নখে।

শোকে ছারখার হয়ে যাওয়া এই সব পরিবারের উঠোনে নিশ্চুপে পৌঁছে গিয়েছিলেন অমল নায়েক। বাসন্তী হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক। কখনও বীজতলা, কখনও এক জোড়া ছাগল কিংবা মুরগি উঠোনে নামিয়ে বাঘে টানা পরিবারগুলিকে সাহস জুগিয়ে চলেছেন তিনি, ‘শোকে পাথর হয়ে গেলে চলবে, নিজের পায়ে দাঁড়াও দেখি!’

মাস্টারপাড়ার সুপ্রিয়া বলের স্বামী অশোককে বাঘে টেনেছে দু’বছর আগে। দুটো ছেলেমেয়ে নিয়ে কোনও রকমে সংসারটা চলছিল বটে, গোল বাধল মেয়ের মাধ্যমিকের ফি দেওয়া নিয়ে। বারোশো টাকা! সে টাকা স্কুলে গিয়ে জমা দিয়ে এসেছিলেন অমল। এ বার মাধ্যমিকে বসেছে প্রণতি বল।

এমনই অন্তত জনা চল্লিশ ছেলেমেয়ের পঠনপাঠন চলছে অমল ছায়ায়। কেউ গ্রামের স্কুলেই ক্লাস সিক্স, কেউ বাসন্তীর ছাত্রাবাসে ক্লাস এইট। তাদের পড়াশোনা, কেয়ার অব ‘সেভ টাইগার অ্যাফেকটেড ফ্যামিলি’ (স্টাফ), অমলের বাঘে টানা পরিবারগুলির জন্য গড়ে তোলা সংগঠন।

স্কুল ছুটির পরে অমলের বিকেল-সন্ধে কাটে এদেরই উঠোনে। একটাই মন্ত্র, পরিবারগুলিকে স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে। অমল বলছেন, ‘দ্বীপের মানুষ বাইরে যাবে কেন? পেটের দায়ে সুন্দরবন ছেড়ে গিয়েছে যাঁরা, তাদেরও ফিরিয়ে আনব। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে এবং সেটা এই নোনা মাটিতেই!’ আদ্যন্ত বাদাবনের মানুষজন নিয়ে গড়া পর্যটন প্রয়াসটা তাই নাড়া দিয়েছে ওই স্কুলশিক্ষককে। আকুলের গলাতেও বিশ্বাস, ‘আজন্ম জল-জঙ্গলে বড় হয়েছেন ওঁরা। বড়ে মিঞার পদচিহ্ন কিংবা কাদাখোঁচার পালক, কোনটা ওঁদের কাছে অচেনা শুনি!’ ঝড়খালির লক্ষ্মী ঢালিও সায় দিচ্ছেন, ‘স্বামীরে বাঘে নেওয়ার পরে পেটের টানে আমি তো নিজেই বনে যাই। বাদাবনরে না চিনে উপায় আছে আমাদের!’

সেই বাদাবন, নদীর পাড়, খাঁড়ি। মরা মানুষটার মুখ যেখানে তিরতির কাঁপে, আকুলের দৃষ্টিহীন চোখও সেই কাঁপুনি
টের পায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE