প্রতীকী ছবি।
কাজের ব্যস্ততা থেকে কিছু দিনের ছুটি নিয়ে ভুটান গিয়েছেন শাহিদ কপূর। শনিবাসরীয় দুপুরে ইনস্টাগ্রামে বেড়ানোর সেই ছবি পোস্ট করেছেন ‘কবীর সিংহ’। মেঘলা আকাশ আর পাহাড়ে মোড়া ভুটানে যে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন তিনি, ছবিগুলি সে কথা বলে দিচ্ছে। কখনও বিলাসবহুল রিসর্টের সুইমিং পুলের সামনে, কখনও আবার উঁচু টিলার উপর দাঁড়িয়ে উদাসীন ভঙ্গি— শুটিং ফ্লোর, ছবির প্রচার, রোজের রুটিন থেকে বিরতি নিয়ে অন্য ভাবে সময় কাটাচ্ছেন শাহিদ।
জৈষ্ঠ্যে পেরিয়ে আষাঢ় মাস পড়লে গরম কমার কোনও লক্ষণ নেই। তীব্র দহন থেকে বাঁচতে শাহিদের মতো আপনিও পাড়ি দিতে পারেন ভুটানে। বেশি দূর যেতেও হল না, আবার কম খরচে বিদেশ ঘোরাও হল। উঠল বাই তো ভুটান যাইও সম্ভব। বৈধ পাসপোর্ট থাকলেই ভুটান চলে যেতে পারবেন। আলাদা করে ভিসা করানোর ঝক্কি নেই। এক দিকে হিমালয়ের দিগন্ত বিস্তৃত রূপ আর অন্য দিকে আধ্যাত্মিকতা, ভুটানের মূল আকর্ষণ। এ ছাড়া সোনালি ধানক্ষেত, তিরতিরে নদী, নানা রঙের অর্কিড, ছোট ছোট রঙিন কাঠের বাড়ি— ভুটান যেন স্বপ্নের দেশ। রঙিন দেশ। যেখানে গেলে মন ভাল হয়ে যেতে বাধ্য।
ভুটানের পরিবেশ বেশ নিরিবিলি। গরমকালে ভুটান যাওয়ার একটি ভাল দিক হল, এই সময়ে প্রচুর অজানা পরিযায়ী পাখি আসে এখানে। পাখিদের কিচিরমিচিরে মন চঞ্চল হয়ে উঠবে। তবে ভুটানে গিয়ে শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশে মুগ্ধ হয়ে গেলে হবে না। এ দেশের কিছু উল্লেখযোগ্য জায়গাও চষে ফেলতে হবে। দ্রামেতস গোয়েম্বা, গোম্ফু কোরা, চোরতেন কোরা, খোমা গ্রামের, মতো প্রাচীন স্থাপত্য এবং ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ জায়গাগুলি অবশ্যই দেখে আসতে হবে। ভুটানের থিম্পু, পুনাখা ও পারো শহরের পর্যটন কেন্দ্রগুলি দেখতে বছরের বিভিন্ন সময় হাজির হন পর্যটক।
কী ভাবে যাবেন?
সড়কপথে ভুটান যাওয়ার বেশ কিছু রাস্তা রয়েছে। তাতে খরচ কিছুটা কম হলেও সময় লাগবে বেশি। ভ্রমণও হবে ঝক্কির। তার চেয়ে বিমানে চেপে ভুটান গেলে যাত্রা হবে আরামদায়ক।
কোথায় থাকবেন?
ভুটানের হোটেল ভাড়া অনেকটাই বেশি। শাহিদের মতো বিলাসবহুল কোনও রিসর্টে থাকতে হলে খরচের পরিমাণও বাড়বে। তবে আপনি যদি অনলাইনে একটু খোঁজাখুঁজি করেন, তুলনায় কম বাজেটের হোটেলও পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া, প্রচুর ধর্মশালাও রয়েছে। সেখানেও কিন্তু থাকতে পারেন। হোটেলের মতো সব রকম সুযোগ-সুবিধা না পাওয়া গেলেও, সাশ্রয় হবে অনেকটাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy