ডিউটি ফ্রি দোকান থেকে কী কিনবেন?
বিমানে করে আর্ন্তজাতিক ভ্রমণ করলে ‘ডিউটি ফ্রি’ দোকানগুলি আপনার চোখে নিশ্চয়ই পড়ে। সাধারণত ‘ডিউটি ফ্রি’ দোকানগুলি থেকে কোনও জিনিস কিনলে তার উপর কর বসানো থাকে না। তাই সাধারণ বাজার মূল্যের তুলনায় অনেকটা সস্তায় জিনিস কেনার সুযোগ পান যাত্রীরা। তবে সেই দোকানগুলি থেকে জিনিস কেনার সময়ে আপনাকে পাসপোর্ট আর বোর্ডিং পাস দেখাতে হবে, তবেই মিলবে জিনিস।
বিমানবন্দরে শুল্কমুক্ত কেনাকাটা করার সময় আপনি কতটা সাশ্রয় করবেন তা নির্ভর করে কোন দেশের বিমানবন্দর থেকে আপনি জিনিস কিনছেন, সেখানকার মুদ্রা বিনিময় হার এবং আপনি কোন পণ্য কিনছেন তার উপর। এই দোকানগুলি থেকে জিনিস কিনলে প্রায় ২৫ শতাংশ মতো সাশ্রয় করা যায়।
যাত্রীরা কোন বিমানে ভ্রমণের সময় কোন কোন জিনিস ‘ডিউটি ফ্রি’ দোকানগুলি থেকে বেশি কেনেন?
১) চকোলেট: বিদেশে গেলে সে দেশের চকোলেট নিয়ে আসবেন না, তা আবার হয় নাকি! কোথাও ঘুরতে গেলে লোকাল বাজার থেকে নয়, বিমানবন্দরের ‘ডিউটি ফ্রি’ দোকান থেকে চকোলেট কিনলে অনেকটা সাশ্রয় হয়।
২) ব্যাগ ও ঘড়ি: বিভিন্ন নামী-দামি সংস্থার ব্যাগ কিংবা ঘড়ি কিনতে হলে কোনও দেশের শপিং মল নয়, বিমানবন্দরের ‘ডিউটি ফ্রি’ দোকানগুলি হতেই পারে আপনার গন্তব্য। খুব বড় সম্ভার না পেলেও দাম কিন্তু অনেকখানি কম হয়।
৩) মদ: ‘ডিউটি ফ্রি’ দোকানগুলিতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে মদের। সাধারণ বাজারের তুলনায় মদ এই দোকানগুলিতে অনেকখানি সস্তা। তবে আপনি কটা মদের বোতল নিয়ে বিমানে চড়তে পারবেন, সেইটা ভাল করে জেনে নিয়ে তবেই কেনা উচিত।
৪) উপহার: কোথাও ঘুরতে গেলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘোরাঘুরি শেষে প্রিয়জনেদের জন্য কিছু উপহার কেনার সময় থাকে না। বিমানবন্দরের ‘ডিউটি ফ্রি’ দোকানগুলিতে আপনি উপহার দেওয়ার মতো অজস্র জিনিজ কিনতে পারেন। দামটাও অনেকখানি কম পড়বে।
৫) প্রসাধনী সামগ্রী: বিদেশ থেকে অনেকেই নামী-দামি সংস্থার প্রসাধনী সামগ্রী কিনে আনেন। সুগন্ধি, রূপচর্চার নানা সামগ্রী, মেকআপের সামগ্রী চাইলে আপনিও বিমানবন্দরের ‘ডিউটি ফ্রি’ দোকানগুলি থেকে কিনতে পারেন। পকেটের উপর টান কম পড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy