দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের পথে বাঁয়ে বাঁক নিয়ে চলে গিয়েছে উস্তিতে পৌঁছনোর পথ। ছবি: এক্সপিডিয়া
শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে চান, কিন্তু হাতে বেশি সময় নেই। অগত্যা বেছে নিতে হবে এমন কোনও জায়গা, যেখানে পৌঁছে যাওয়া যায় সহজে, গ্রাম্য পরিবেশে কাটিয়ে দেওয়া যায় একটি বেলা কিংবা একটা গোটা দিন। যাঁরা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে চড়ুইভাতি করতে চান, তাঁরা তো বটেই, এমনকি যাঁরা নিভৃতে ছুটি নিতে চান, তাঁরাও এক দিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থেকে। রবীন্দ্রনাথের ‘সহজ পাঠ’-এ উল্লেখ রয়েছে এই অঞ্চলের। রবি ঠাকুরের বিশেষণে উস্তি এক ‘প্রাচীন বসত’।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের পথে বাঁয়ে বাঁক নিয়ে চলে গিয়েছে উস্তিতে পৌঁছনোর পথ। গ্রাম্য জীবনের তুলনায় একটু ব্যতিক্রমী ভাবে এখানে গড়ে উঠেছে রিসর্টও। আধুনিক জীবনের সব সুযোগ-সুবিধাই পাওয়া যায় এখানে। আগে থেকে যোগাযোগ করলে রিসর্টে চড়ুইভাতি করার বন্দোবস্তও করে দেন কর্তৃপক্ষ। বাইরে থেকে খাবার নিয়ে যেতে হয় না। মাথাপিছু ১৪০০-১৫০০ টাকার বিনিময়ে এখানে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। রয়েছে বোটিং, রক ক্লাইম্বিংয়ের মতো বিনোদনের ব্যবস্থাও। তবে আগে থেকে ফোন করে বুক করে নিতে হবে।
যদি রিসর্ট বা উদ্যানের বদলে নদীর পার পছন্দ করেন, তবে চলে যেতে পারেন ডায়মন্ড হারবারের দিকে কেল্লার মাঠে। ব্রিটিশ আমলের কেল্লা কালের নিয়মে প্রায় বিলীন হয়ে গিয়েছে নদীগর্ভে। কিন্তু যেটুকু অবশিষ্ট আছে, তাকেই রক্ষনাবেক্ষণের ভার নিয়েছে ডায়মন্ড হারবার পুরসভা। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে, হুগলি নদীর রূপ দেখতে দেখতে একটি দিন কাটিয়ে দিতে পারেন।
কী ভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে যেতে চাইলে সড়কপথে যাওয়াই সহজ। ডায়মন্ড হারবার রোড অথবা উস্তি রোড ধরে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় গন্তব্যে। কলকাতা থেকে সময় লাগে সর্বোচ্চ দু’ঘণ্টা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy