শান্তনু চক্রবর্তী
লালমাটির পথের বাঁকে বাঁকে শুধুই ইতিহাস আর মন্দির। মন্দিরনগরী বললেও ভুল হবে না।
পাহাড়ি সান্নিধ্য, আখের খেত, আদিবাসীদের অসম্ভব সুন্দররংচঙে মাটির ঘর, অযোধ্যা হিলটপ— এসব পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম সৌন্দর্যখনি কয়রাবেড়ায়, যেটা এই সফরে আমার গন্তব্য এবং রাত্রিবাসের ঠিকানা।
ডান দিকে বিংসি গাড বা অসি গঙ্গার উপর একটা কাঠের পুল পেরিয়ে নদীর ডানতটে পাহাড়িয়া গ্রাম্য পথ। হালকা চড়াইপথ। অসি গঙ্গার ধারে ধারে বনের মধ্যে দিয়ে চলার পথে ছোট ছোট ঝর্না দেখতে পাবেন।
লাল মোরাম বিছানো পথের দু’পাশে জঙ্গল। আলোয় ঝলমল করছে চারপাশ। মাঝেমধ্যে খোয়াই। রয়েছে দেউল-সহ নানা পুরাকীর্তি। লিখছেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়
এককথায় পঞ্চকেদার। অতি জনপ্রিয় তীর্থস্থান দেখার পাশাপাশি পায়ে হেঁটে ও গাড়িতে প্রবেশ করুন গাড়োয়াল হিমালয়ের অন্দরে। সন্ধান দিচ্ছেন রতনলাল বিশ্বাস। আজ চতুর্থ পর্ব।
আমাদের হোম স্টে-র ব্যবস্থা করা ছিল। সবুজ রঙের কাঠের দো’তলা ডুকপা ট্রেকার্স হাট আমাদের আশ্রয়স্থল। সামনে উন্মুক্ত দিগন্ত। সবুজ পাহাড়, ছোট ছোট গ্রাম, সোপান খেত, নদীধারা, বৃক্ষরাজি।
এমনই একটি জায়গা আউশগ্রামের মাচান। শালপিয়ালের বনের মাঝে একাকিত্বের স্বাদ নেওয়ার জন্য অথবা প্রিয়জনের সঙ্গে অরণ্যের মাঝে দু’-এক দিন কাটিয়ে নিতে ভাল্কীর কাছাকাছি এই মাচানের জুড়ি মেলা ভার।
সমীর দত্ত
সেখানে রয়েছে নিভৃত নিসর্গ। পাখির কাকলি আছে। মোটরগাড়ির কাশি নেই। শীতের ঝরা পাতা বিছিয়ে রয়েছে। আলুভাজার ফাঁকা প্ল্যাস্টিকের প্যাকেট নেই। প্রকৃতিকে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁদের রুটম্যাপে এই ঝর্নাকোচার নাম তুলতে এ বারে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।
রেশমী প্রামাণিক
হইচই-নাচগান-পার্টি আর বনভোজনে মেতে ওঠার সময় এসে পড়েছে। সবার জন্য রইল একগুচ্ছ পিকনিক স্পটের হদিশ।
ভরসা ছিল ঝাড়খণ্ড। কিন্তু সেখানেও সমস্যা। ঘাটশিলায় এক বন্ধুকে ফোন করতে, তার সপাট জবাব, ঘাটশিলা, গালুডির বুকিং এখন আর সম্ভব নয়।
পর্যটনে হেরিটেজ শব্দটা অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে আছে। আর হেরিটেজ ট্যুর ভারতের অন্যান্য রাজ্যে যে ভাবে প্রচলন আছে আমাদের রাজ্য তেমন ভাবে নেই। কথা হচ্ছিল সম্রাট চৌধুরীর সঙ্গে। তাঁর লেগাসি অব বেঙ্গল দীর্ঘ দিন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে কী ভাবে, বাংলার এই ঐতিহ্যকে পর্যটকদের কাছে উৎসাহিত করা যায়।
বর্তমানে হিমালয়ের অন্তঃপুরে অনেক স্থানেই গাড়িপথ পৌঁছ গিয়েছে। এই চার ধাম যাত্রায় এখন সামান্যই হাঁটতে হয়। গাড়িপথ পৌঁছে গিয়েছে গঙ্গোত্রী ও বদ্রীনাথে।
প্রায় ত্রিশ বিঘা জমির উপরে তৈরি হয়েছে জঙ্গল। এর পিছনে মূল ভূমিকা ছিল তন্ময় ঘোষের। তন্ময়বাবু মূলত চিত্রগ্রাহক। তন্ময়বাবু জানান, পৃথিবীতে সংরক্ষিত অরণ্যে বাস করে প্রায় ৬০ শতাংশেরও বেশি প্রাণী। সেখানে প্রাণীরা নিশ্চিন্তে বসবাস করে।
এ পথের জন্য মালবাহক বা পথপ্রদর্শকের প্রয়োজন হয় না। সর্বত্রই থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। লিখছেন রতনলাল বিশ্বাস। আজ দ্বিতীয় পর্ব।
রতনলাল বিশ্বাস
ট্রেনে হরিদ্বার। তারপর বাসে যোশীমঠ (দূরত্ব ২৭৮ কিমি)। যোশীমঠ থেকে মালারিগামী জিপে ৮০ কিলোমিটার দূরে জুমা গ্রাম। জুমা থেকে সে দিনই হাঁটা শুরু হয়ে যায়।
নির্মল জানা
মধ্যযুগে শ্ৰীবাটী বিখ্যাত ছিল চন্দ্ৰ-বংশের জন্য। ঘটনার প্রেক্ষাপট আজ থেকে আড়াই-তিনশ বছর আগের। নদী-বিধৌত শস্য-শ্যামলা বাংলায় তখন ভিড় জমাতে শুরু করেছে নানা জায়গা থেকে আসা ভাগ্যান্বেষীরা।
মধুছন্দা মিত্র ঘোষ
নিছক নদী পরিবহণকে আঙিনায় রেখেই বহুমাত্রিক সবুজে সাজিয়ে গুছিয়ে রোপণ করে গড়ে তোলা কৃত্রিম এই জঙ্গলে দিনমান পাখিদের কিচিরমিচির। সবুজের বুনোট মিলেমিশে গিয়েছে নদী সঙ্গমের ভাঁজে। তাই নিয়েই প্রিয় গড়চুমুক।
আলো এখনও পরিষ্কার নয়। কিছুটা কুয়াশা কিছুটা ধোঁয়াশায় দিন এখনো পুরোপুরি আত্মপ্রকাশ করতে পারেনি। পথের দুধারে ঝোপঝাড়, গাছপালা আর নিচু জমি। মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাতাঝরা গাছের সারি।
আপার আর লোয়ার, দু’ভাগে শহরের বিস্তার। আপার ম্যাকলয়েডগঞ্জে দলাই লামার আবাস। বাসস্ট্যান্ড থেকে তিন কিমি দূরে ভাগসুনাথ মন্দির। অন্দরমহলে রয়েছে পবিত্র কুণ্ড। কাছেই দলাই লামার বুদ্বমন্দির।
পথের সৌন্দর্য অসাধারণ। রাস্তার একপাশে কখনও গভীর খাদ, আবার কখনও নকশাদার চাষজমিন। আর তারই কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে শ্লেটপাথরের ছাদওয়ালা পাথুরে দেওয়ালের ছোট ছোট গ্রাম। নিমন্ড, সেঞ্চ।
কল্পার অপার্থিব সৌন্দর্যে বুঁদ হয়েও এগিয়ে চলুন আরও আশ্চর্য রুক্ষতা ও সৌন্দর্যের নাকো-টাবো ও কাজার পথে।
হিমাচল প্রদেশ, দেবতাদের আপান আবাস। তাই দেবভূমি। পর্বতমালা, আপেল বাগান, বরফ, মন্দির, কুয়াশা আর প্রকৃতির অকৃপণ দানে ভরে থাকা এক অপরূপ ক্যানভাসে স্বপ্নসফর শান্তনু চক্রবর্তীর। আজ প্রথম পর্ব।
নিজস্ব প্রতিবেদন
প্রকৃতির যে সমস্ত শোভা সব সময়ই মুগ্ধ করে আমাদের। তার মধ্যে অন্যতম হল জলপ্রপাত। গ্যালারিতে রইল ভারতেরই এমন কিছু জায়গা, যেগুলো জলপ্রপাতের জন্য বিখ্যাত।
বিতান সিকদার
ব্রজভূমের এ এক ভিন্নতর নগরকীর্তন। আজ দ্বিতীয় তথা শেষ পর্ব।
রাজীবাক্ষ রক্ষিত
ডিব্রু-শইখোয়া জাতীয় উদ্যানের অনেকটা অংশই জল। তাতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির স্বর্গরাজ্য। আছে মেঘলা চিতাবাঘ, হরিণ, স্লো লরিস, বুনো মোষ, বুনো কুকুর, হাতি ও অন্যান্য বুনো। জলে দেখা মিলবে ডলফিনদের।
বিতান সিকদার
খানিক পর বৃন্দাবনের মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে কয়েক হাজার দর্শনার্থীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছি। সামনে মূর্তি পর্দা দিয়ে ঢাকা। কী ব্যাপার? “বেশিক্ষণ দেখলে হয় আপনি অজ্ঞান হয়ে যাবেন, না হয় বিহারিজী আপনার প্রেমে পড়ে যাবে। তাই থেকে থেকে পর্দা সরান হয়। কিছুক্ষণ দর্শনের পর আবার ঠাকুর ঢেকে দেবে। একে ‘ঝাঁকি দর্শন’ বলে।
রাজীবাক্ষ রক্ষিত
গত কয়েক বছরে পর্যটকের ঢল নেমেছে অসমে। কিন্তু সিংহভাগের বাঁধা রুট গুয়াহাটি-কামাখ্যা-কাজিরাঙা-শিলং-চেরাপুঞ্জি। অথচ তার বাইরেও হাতছানি দিচ্ছে আরও বড়, আরও আকর্ষণীয়, আরও রোমাঞ্চকর জল-জঙ্গল-পাহাড়ের পসরা। আজ প্রথম পর্ব।
সায়ন্তনী সেনগুপ্ত
‘এক শাহেনশাহ নে বানওয়াকে হাসিন তাজমহল, সারি দুনিয়াকো মহাব্বত কী নিসানি দি হ্যায়...।’ মৃদু বাজছে গানটা। ভেসে যাচ্ছে হালকা হাওয়ায়। মশলা গলির গন্ধ, বাজারের হট্টগোল, পথচলা ফেরিওলার সুর, ব্যস্তসমস্ত ঘোড়ার গাড়ি একযোগে আঁকছে শহরের ছবি।
রাজীবাক্ষ রক্ষিত
ঘুরে আসুন জিয়া ভরালি নদীর পারে নামেরি অরণ্যে। চলে যান কাজিরাঙা। দেখুন অচেনা শিবসাগর। অসম ভ্রমণের আজ দ্বিতীয় পর্ব।
আবার যাঁরা কর্পোরেটে কাজ করেন, তাঁরা পুজো ছাড়া টানা ছুটি তো তেমন পানই না। তাই পুজোর সময় একই সঙ্গে হাওয়া ও মনবদলের জন্যে তাঁরা বছরভর হা-পিত্যেশ করে বসে থাকেন।
শান্তনু চক্রবর্তী
উৎসবের দিন আগত। অসাধারণ এক সাগরবেলায় কাটিয়ে আসুন কয়েকটি দিন।
বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন
বালি সাগরের ঠিক কোল ঘেঁষে যেন স্বমহিমায় বিরাজ করছে এই দ্বীপ। দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৫,৭৮০ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ৪২ লক্ষের কাছাকাছি। দ্বীপটির সৌন্দর্য্যতাই বার বার মানুষকে এখানে টেনে আনে।
আমরা এখন ইংল্যান্ড স্কটল্যান্ড-এর বর্ডার ক্যাম্বরিয়ার (যে জায়গাটি লেক ডিস্ট্রিক্ট নামে সুপরিচিত) ন্যাশনাল পার্কের গভীর জঙ্গলের মধ্যে এক টুকরো নুড়ি বিছানো জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। এখানেই চার দিনের জন্য আমাদের কটেজ বুক করা রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
ভারতের আনাচে কানাচে লুকিয়ে রয়েছে নাম না জানা এমনই ছোট বড় বহু দ্বীপ বা দ্বীপপুঞ্জ। কোথায় আছে সে সমস্ত দ্বীপ? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
সারা সপ্তাহ নানা কাজের চাপ কাটাতে দিন দুয়েক ঘুরে আসুন হেনরি আইল্যান্ড। দেখে নিন সবুজ ক্যানভাস আর জলরাশির কোলাজ। লিখছেন শ্রেয়সী লাহিড়ী
ত্রিপুরা ভ্রমণের এই পর্বে থাকুন ইতিহাস ও মনভোলানো প্রকৃতির সাক্ষী হয়ে। লিখছেন সন্দীপন মজুমদার
সৌম্যশান্ত শাসমল
দ্বিতীয় পর্বের ভ্রমণসূচি আয়তনে বড়। প্রথম পর্বের সঙ্গে জুড়তে হবে আরও কয়েকটি দিন। তাই সময় আর অর্থ, দু’য়েরই জোগান চাই পর্যাপ্ত। প্রথম পর্বের বিস্তারিত বিবৃতিগুলি এখানে আর দু’বার করে বলার অবকাশ নেই। তাই সোজা ঘোরার কথায় চলে আসি।
সৌম্যশান্ত শাসমল
হালফিলে ভারতের এই সবুজ দ্বীপপুঞ্জ পর্যটনে সম্ভাবনার নতুন দিশা খুলে দিয়েছে। শুধু বিদেশি নয়, ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। পর্যটন দৃঢ় হচ্ছে। স্থানীয় মানুষদের রুটি-রুজির এক স্থায়ী সমাধান রেখা ফুটে উঠছে আন্দামান ভ্রমণের হাত ধরে।
সংবাদ সংস্থা
দেশের ভ্রমণপ্রিয় নাগরিকদের কাছে বরাবরই পছন্দের হলিডে ডেস্টিনেশও এই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এই দ্বীপপুঞ্জ সম্বন্ধে চমকে দেওয়া কিছু তথ্য।
সন্দীপন মজুমদার
ত্রিপুরা নামটি কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে অবশ্য দ্বিমত আছে। অনেকে বলেন, ‘টুই’ (অর্থাৎ,জল) ‘প্রা’ (অর্থাৎ, কাছে), মানে জলের কাছে। এই শব্দ থেকেই ত্রিপুরা নামের সৃষ্টি। আবার অন্য মতে, এখানকার ত্রিপুরাসুন্দরী (৫১ সতীপীঠের অন্যতম) মাতার নাম থেকেই এই রাজ্যের নামটি এসেছে।
শ্রীমা সেন মুখোপাধ্যায়
ঘরের বেশ কাছেই। অথচ, কত যেন দূরের। সেই দূরত্ব এ বার ঘুচিয়ে বেড়িয়ে আসুন মিজোরাম। অনিন্দ্যসুন্দর প্রকৃতি আপনার হাতের নাগালে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
বর্ষা এলেই মনটা পালাই পালাই করে। সারা দিন বৃষ্টি, মেঘলা আকাশের মন খারাপ করা দিনগুলোয় রোজকার একঘেয়ে জীবন যেন আরও অসহ্য হয়ে ওঠে। এই সময় কয়েক দিন ছুটি কাটিয়ে এলে কেমন হয়?
তারাপদ সাঁতরা
শোভাবাজার স্ট্রিট, পশ্চিমে গঙ্গার ঘাট অবধি প্রসারিত। এ রাস্তায় বাঁ-হাতি পড়বে বিখ্যাত ঔষধবিক্রেতা বটকৃষ্ণ পালের তিনতলা বাড়ি, যেটিকে দেশি ও বিদেশি স্থাপত্যশৈলীর সংমিশ্রণে গঠিত এক অভিনব অট্টালিকা বলা চলে। পালমশায়ের নির্মিত অনুরূপ স্থাপত্যের আর একটি দোকান বাড়ি দেখা যায় বনফিল্ডস লেনে।
শান্তনু চক্রবর্তী
ভয়ঙ্কর, অবাধ্য এই ষোড়শী সুন্দরীর নাম, শরাবতী। অঝোর শ্রাবণের ধারা আর সোহাগী রোদ্দুরের পেলব স্পর্শে শরাবতীর যৌবনে এসেছে পূর্ণতা।
গীতা পালিত
কচ্ছ জেলার ভুজ শহর থেকে শুরু হোক গুজরাত ভ্রমণের পরের পর্ব। দেখে নিন বিশ্বখ্যাত লিটল রণ। আজ দ্বিতীয় তথা শেষ পর্ব।
গীতা পালিত
ইতিহাসের ঘ্রাণ নিয়ে, সুপ্রাচীন ও নানা স্মৃতিবিজড়িত সৌধ ও ধর্মস্থান দেখে, জঙ্গল ও বন্যপ্রাণের স্পর্শ নিয়ে ঘুরে দেখুন গুজরাত। আজ প্রথম পর্ব।
দেবাশীষ দেব
রামুর ছোট্ট লজটা ভারী সুন্দর। জ্যোৎস্নার আলোয় খোলা উঠোনে বসে মনটা যেন কোথায় উধাও হয়। ন্দাকফু ট্রেকের আজ চতুর্থ তথা শেষ পর্ব।
অরুণাভ দাস
উত্তরের মতো দক্ষিণ গোয়ার মুখ্য আকর্ষণ কয়েকটি সমুদ্রসৈকত। কয়েকটি সকলের চেনা, আবার নিজের আবিষ্কার করে নেওয়ার মতো মানচিত্রের বাইরের জায়গাও কম নেই। কোলভা থেকে পালোলেম দক্ষিণ গোয়ার চেনা-অচেনা সৈকতগুলি রূপে গুণে উত্তরের চেয়ে কোনও অংশে কম যায় না।
দেবাশীষ দেব
গুটিসুটি হয়ে বসে গল্পগুজব করে, পায়ের কাছে রাখা থাকে জ্বলন্ত কয়লা ভরা বড় কাংড়ি। আলো বলতে বাইরের চালা থেকে ঝুলন্ত একটা টিমটিমে সোলার ল্যাম্প-ঘরের ভেতরটা প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন, বড় জোর একটা-দুটো মোমবাতি, চোরাগোপ্তা হাওয়ার চোটে যেগুলো বেশি ক্ষণ জ্বালিয়ে রাখা অসম্ভব।
তারাপদ সাঁতরা
কুমোরটুলিই ছিল সেকালের নানাবিধ প্রতিমার গড়ন ও চালচিত্র বা সরা-পিঁড়ি চিত্রাঙ্কণের ডাকসাইটে শিল্পকেন্দ্র।
শ্রেয়সী লাহিড়ী
অনন্ত বৃষ্টিধারাস্নাত চেরাপুঞ্জি, এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাওলিনং, প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকা জয়ন্তিয়া পাহাড়ের অপরূপ নারটিয়াং। মেঘালয় ভ্রমণের দ্বিতীয় তথা শেষ পর্ব।
শ্রেয়সী লাহিড়ী
গারো পাহাড়, খাসি পাহাড়, জয়ন্তিয়া পাহাড়— এই তিন অঞ্চলকে নিয়েই গড়ে উঠেছে দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের এই ছোট্ট রাজ্যটি। মিশনারিদের প্রভাবে রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ খ্রিস্টান।
দু’পাশে খাড়া পাহাড় আর জঙ্গল। মাঝখানে দোতলা কাঠের বাড়ি, সামনে টানা বারান্দা। চুপচাপ বসে থাকলে মনে হবে এত শান্তি আর কোথাও নেই। বাঁদিকে শুরু হয়ে গিয়েছে সিঙ্গালিলা রেঞ্জ। অনেকে এই বনবাদাড়ের মধ্যে দিয়ে আসতে পছন্দ করে— কপাল ভাল থাকলে এক-আধটা ভল্লুক বা রেড পন্ডার দেখা পাওয়া কিছু আশ্চর্যের নয়। হিসেব মতো গৈরীবাস হল প্রায় অর্ধেক রাস্তা। এর পর থেকে শুধু চড়াই।
বিশ্বজিৎ সেন
সুইজারল্যান্ড আমার কাছে চিরকালের এক স্বপ্নের দেশ। যে দেশে আছে বরফ ঘেরা উঁচু উচুঁ পাহাড়, সবুজ ঢালু আলপাইন উপত্যকা। আর সেই উপত্যকায় দাঁড়িয়ে ‘সাউন্ড অফ মিউজিক’-এর মারিয়া গান গেয়ে ওঠে ‘পাহাড়গুলো আজ যেন জীবন্ত- সঙ্গীতের মূর্ছনায়’।
কোনওকালের সাহেববাড়িতে লাগানো ফলকটি হাতফিরি হয়ে স্থান পেয়েছে এই ভবনে, মালিকের অলঙ্করণ প্রীতির নিদর্শন হিসেবে।
দেবাশীষ দেব
মানেভঞ্জন শহরটা ক্রমেই ছোট হয়ে এল...তার পর একটা বাঁকের পরেই ভ্যানিশ! আজ প্রথম পর্ব।
মধুছন্দা মিত্র ঘোষ
পশ্চিমঘাট পাহাড়ের ঢালে নিরালা অভিজাত নব্য ‘হ্রদশহর’ লাভাসা। পাহাড়স্থলী-ওড়াসগাঁও হ্রদ-উপত্যকা-কেতাদুরস্ত এলাকাটি নিজস্ব বিনিময়ে অপরূপ। ওড়াসগাঁও লেক— ২০ কিমি লম্বা হ্রদটিকে ঘিরেই পাখির বাসার মতো লাভাসা। ছবির মতো হ্রদ-উপত্যকা, চারপাশে প্রকৃতি বসে জাপটে ধরে।
তারাপদ সাঁতরা
শুরু করেছি বাগবাজারের খাল ছাড়িয়ে আরও উত্তর থেকে। চিৎপুরের খাল অর্থাৎ বাগবাজারের খাল কাটা হয় ১৮৩৩ নাগাদ। খালের মুখে কলের দরজা— স্লুইস গেট। হুতোম বলেছেন, এক সময় দর্শনীয় ছিল সেই দরজা খোলা আর বন্ধ করা।
মধুছন্দা মিত্র ঘোষ
প্রত্যেকটা ভ্রমণই এক একটা দারুণ গল্পকথার জন্ম দেয়। দেশের পশ্চিম মুলুক মহারাষ্ট্রের রাজকাহিনি, স্থানমাহাত্ম্য, নদী-আরবসাগর-পাহাড়-হ্রদ-প্রস্রবণ-জঙ্গল-গুহাকন্দর— এই রাজ্যকে ভিড়ের থেকে আলাদা করেছে। আজ প্রথম পর্ব।
অরুণাভ দাস
১৯৬১ সালের ডিসেম্বর মাসে গোয়া ‘অপারেশন বিজয়’-এর ভেতর দিয়ে পর্তুগিজ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে ভারতভুক্ত হলে কী হবে, অতি অল্প সময়ের ভেতরে দেশের সর্বাধিক ট্যুরিস্ট ফ্রেন্ডলি স্টেট হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে।
সায়ন্তনী সেনগুপ্ত
আদিলাবাদ জেলার মুখ্য আকর্ষণ নানা জলপ্রপাত৷ তেলঙ্গানার নির্মল শহর থেকে ৪০ কিমি দূরে গভীর জঙ্গলের মধ্যে অনন্যসুন্দর কুন্তলা জলপ্রপাত৷ কদম জলাধারের জল ছাড়ার ওপর এই জলপ্রপাতের প্রবাহ নির্ভর করে। বর্ষা এবং তার পরবর্তী সময়ে এর রূপ হয় অসাধারণ।
জয়দীপ মিত্র
স্বকীয়তা বা আইডেন্টিটি একটা ঠুনকো শব্দ, নেহাতই ভঙ্গুর। তাকে লালন করতে হয়, নচেৎ মহামানবের সাগরতীরে বিলীন হওয়া ঠেকানো যায় না। আইডেন্টিটি ধরে রাখার লড়াইটা শুরু এই বৃদ্ধাশ্রমটা যেখানে, ঠিক সেখানেই। কর্নাটকের বাইলাকুপায়। ১৯৬০ সালের ডিসেম্বর মাসে। বাইলাকুপা মহীশূর থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।
সায়ন্তনী সেনগুপ্ত
সাতবাহন, ইক্ষবাকু, কাকাতীয়, বাহমনি, কুতুবশাহি, মোগল ও নিজামদের দীর্ঘ শাসনকালকে সঙ্গী করে গড়ে উঠেছে তেলঙ্গানার ইতিহাস৷ শিল্প, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের অন্যতম পীঠস্থান রাজ্যটি৷ এর সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অফুরন্ত ভাণ্ডার৷
শ্রয়ণ সেন
আগের দিন লিখেছিলাম উত্তর কেরল নিয়ে। আজ দক্ষিণ কেরলের কথা। বাঙালিদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই দক্ষিণ কেরল। খাঁড়ি, সমুদ্র, পাহাড়, জঙ্গল মিলিয়ে এক অনন্য স্থান। কোচি দিয়ে ভ্রমণ শুরু করুন। সেখান থেকে মুন্নার, পেরিয়ার, আলাপুঝা (আলেপ্পি), কোল্লম (কুইলন) হয়ে তিরুঅনন্তপুরমে শেষ করুন।
জয়দীপ মিত্র
পালদেন, সোনম, নামগিয়াল ইত্যাদি মনে রাখা কঠিন এমন সব নাম। বয়স অধিকাংশেরই নব্বুই-টব্বুই। তিব্বতে আয়ুটা একটু বেশিই। এখানেও তাই। কারণ অন্য আর একটা দেশে হলেও এই এলাকাটা ঘোর তিব্বত। অথবা হাড়মাস কালি করা পরিশ্রমে ও অশেষ যত্নে গড়ে তোলা তিব্বতের বিভ্রম।
বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন
এই সপ্তাহের শেষে আপনি পাচ্ছেন আরও একটা লম্বা ছুটি। শনি-রবি উইকেন্ডের পরে সোমবার ঈদের ছুটি। আর এই ছুটিতেই আপনি ঘুরে আসতে পারেন আপনার পছন্দসই জায়গা থেকে।
শ্রয়ণ সেন
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া কেরল ভ্রমণ শুরু করতে পারেন উত্তর কেরল থেকে। পর্যটকদের কাছে দক্ষিণ কেরল যতটা জনপ্রিয়, উত্তর কেরল ততটা নয়। কিন্তু রাজ্যের এই প্রান্তও পর্যটন বৈচিত্রে ভরপুর। শুধুমাত্র উত্তর কেরল ভ্রমণের জন্যও কলকাতা থেকে সরাসরি ট্রেন রয়েছে। এক বার দেখে নেওয়া যাক এখানকার কিছু দর্শনীয় স্থান।
তারাপদ সাঁতরা
যানবাহন ও লোক পারাপারের চাপে যখন যানজট নিয়ত চলতে থাকে সে সময়েই দ্বিতীয় হুগলী সেতুর পরিকল্প গ্রহণ করা হয় এবং বর্তমানে তৈরি করা হয়েছে প্রিন্সেপ ঘাটের কাছ বরাবর বিদ্যাসাগর সেতু।
তারাপদ সাঁতরা
তবে সেতুর স্থান সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত আপাতত মুলতুবি রেখে আদেশ দেওয়া হল, নদীর যে অন্তমৃত্তিকার উপর সেতুর থাম বসানো হবে তার প্রকৃতি সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিলেতের দুজন অভিজ্ঞ বেধনকারীকে পাঠানো হবে কলকাতায়।
লাল টুকটকে ইটের বুড়ো হওয়া বাড়িগুলোর ভিতরে সেই প্রথম পা রাখা। বৌবাজার থানার ঠিক পিছনে যে পাঁচিলঘেরা চিলতে খেলার মাঠ, তার মুখোমুখি সেই আয়ত ক্ষেত্রাকার চত্বর। গ্রীষ্মের বিকেলে এ তল্লাট এখনও হকিস্টিকের ঠোকাঠুকিতে জমজমাট হয়ে থাকে। চৌহদ্দিটা ঘিরে লাল ইটের বাড়ির দু’খানা সারি। এটাই কলকাতার বিখ্যাত বো ব্যারাক মহল্লা।
শান্তনু চক্রবর্তী
উত্তরবঙ্গের পাহাড় পরিভ্রমণ অসম্পূর্ণ থাকে অচেনা মিরিকের হাতছানিতে সাড়া না দিলে। সঙ্গে আছে মেঘের চাদরে মোড়া পালমাজুয়া।
পৃথ্বীরাজ ঢ্যাং
কার্গিল থেকে শঙ্কু প্রায় ৪০ কিলোমিটার। সেখান থেকে পাশের পথ ধরে খানিক গেলে সরু জলের ধারার পাশে খাড়া পাথরের গায়ে খোদিত আছে মুলবেকের মতোই একটি দণ্ডায়মান মৈত্রেয় মূর্তি, তবে এটি মুলবেকের মূর্তির থেকে কয়েক ফুট ছোট। সেটিকে দেখে মূল পথে ফিরে সুরু নদীর তীরে পানিখার প্রায় ২৪ কিলোমিটার
সায়ন্তনী সেনগুপ্ত
সকালে ঘুম থেকে উঠে হোটেলের জানলা খোলা মাত্র গঙ্গার দামাল হাওয়া ঘরে ঢুকে এলোমেলো করে দিল সব। নদী অনেকটাই প্রশস্ত এখানে। জানলা থেকে একটু ঝুঁকেই দেখা যাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া গাছের সারি। মাটি লাল হয়ে রয়েছে আগুন রং ফুলে। চলতে চলতে হঠাৎই পাড় ভেঙে ছোট্ট একটা বাঁকের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে নদীর জল।
অরুণাভ দাস
উত্তরের মতো দক্ষিণ গোয়ার মুখ্য আকর্ষণ কয়েকটি সমুদ্রসৈকত। কয়েকটি সকলের চেনা, আবার নিজের আবিষ্কার করে নেওয়ার মতো মানচিত্রের বাইরের জায়গাও কম নেই।
সৃজন দে সরকার
ভারতের সামগ্রিক উন্নতির জন্য তিনি সবসময় সচেষ্ট ছিলেন। স্ত্রীর সান্নিধ্য এবং উৎসাহ পেয়েছেন কাজের ব্যস্ততার মাঝেই। এই উপমহাদেশে তিনিই প্রথম কাগজের মুদ্রার প্রচলন করেন। মাতলা নদীর তীরে একটি আধুনিক বন্দর তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি।
শান্তনু চক্রবর্তী
চা-বাগান, জঙ্গল, ডুয়ার্স ঘুরে এ বার যাওয়া যাক উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পাহাড়ি গন্তব্যে। আজ প্রথম পর্ব।
সুদীপ জোয়ারদার
ভেলোর দুর্গে জলকণ্টেশ্বরের মন্দির রাস্তা থেকে কিছুটা নীচে। পুরোটা ঘুরে দেখতে বেশ অনেকটা সময় লাগে। এই মন্দিরও বিজয়নগর রাজ্যের তৈরি। জলকণ্টেশ্বর মনে শিব। এখানে জলের মধ্যে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেই নাকি পুজো চালু হয়েছিল। সে জন্যই শিব এখানে ওই নামে পূজিত। কারুকার্যময় মন্দির। ঘাড় উঁচু করে মন্দিরের মাথা দেখতে হয়।
বনভূষণ নায়ক
স্পিতি উপত্যকার প্রাণকেন্দ্র কাজা (৩৬০০ মিটার) থেকে পঁয়ত্রিশ কিমি দূরে কুংরি যেতে হলে তখন হয় পয়দল না হলে গাড়ি ভাড়া করা ছাড়া অন্য উপায় ছিল না। দু’দিন অপেক্ষা করার পর একটা সরকারি ট্রাকে করে আতারগো গিয়ে সেখান থেকে পায়দলে এগারো কিমি যাওয়ার পর হতাশ হতে হল।
তারাপদ সাঁতরা
১৮৫৪ সালেই কর্নেল গুডউইন সাহেব বিলেতের ‘কোর্ট অফ ডাইরেক্টরস্’-এর কাছে প্রস্তাব দিলেন হুগলী-ভাগীরথীর উপর একটা ‘সাসপেনশন’ ধরনের সেতু নির্মাণ করা যেতে পারে। তদুপরি সেতু নির্মাণ বাবদ এই বিরাট অঙ্কের টাকা আসবে কোথা থেকে তারও একটা ইঙ্গিত দিলেন।
তারাপদ সাঁতরা
সে সময়ের লর্ড এলেনবরোর সরকার জানিয়ে দিল যে, এ কাজে সরকারের পুরোপুরি সমর্থন থাকলেও কার টেগোর অ্যান্ড কোম্পানিকে কোনও আর্থিক অনুদান বা ঋণ মঞ্জুর করা এই অবস্থায় সম্ভব নয়।
সন্দীপন মজুমদার
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে হি-পাতালের দূরত্ব ১৫১ কিলোমিটার। রিজার্ভ করলে পুরো গাড়ির ভাড়া পড়বে ৪০০০-৪৫০০ টাকা। কম খরচে আসতে চাইলে শিলিগুড়ি এসএনটি স্ট্যান্ড থেকে ছাড়া জোরথাং-এর শেয়ার জিপ ধরে জোরথাং পৌঁছন।
দেবারতি গুপ্ত
হ্যাঁ সেলুকাস। আজও এ কথা সে দিনের মতোই সমান সত্য। বড় বিচিত্র এ দেশ। এই দেশেতেই অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড তৈরি হয়েছে। আবার এই দেশেতেই পুরাকালে গড়ে উঠেছিল খাজুরাহো। ভারতদর্শন সম্পূর্ণ করতে গেলে হয়তো একটা গোটা জীবন লেগে যাবে আর সেই তালিকায় যদি খাজুরাহো না থাকে তা হলে আসমুদ্র হিমাচল চষে ফেললেও ভারতবর্ষকে পুরোটা চেনা হবে না।
সন্দীপন মজুমদার
উপভোগ করুন উত্তর সিকিমের অত্যন্ত জনপ্রিয় এই সব পর্যটনস্থল। আজ সিকিম ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব।
তারাপদ সাঁতরা
হাওড়ায় রেললাইন তখন বসেনি, কিন্তু খ্রিস্টীয় উনিশ শতকে কলকাতার সঙ্গে হাওড়ার যোগাযোগ রাখতে রয়েছে নানাবিধ ব্যবসা-বাণিজ্যের আকর্ষণ-বিকর্ষণের টানে। তাই কলকাতা থেকে হাওড়ার এলাকার পা রাখতে গেলে অতি অবশ্যই ভাগীরথীর উপর দিয়ে নৌকা বা ডিঙি সহযোগে পার হয়ে আসতে হবে, কেন না তখনও পর্যন্ত কোনও সেতু নির্মিত হয়নি।
সৃজন দে সরকার
১৯০১-এ রানির মৃত্যুর পর মূলত কার্জনের উদ্যোগেই শুরু হয়েছিল এই স্মৃতিসৌধ তৈরির কাজ। ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের সবচাইতে দৃষ্টিনন্দন অংশ হল এই স্থাপত্যের ঠিক মধ্যভাগের একটি ডোম বা গম্বুজ। এই ডোমটির ঠিক নীচের ঘরটিকেই বলা হয় ‘কুইন’স হল’।
পুজো আসতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। সারা বছর কাজের চাপে সময় না পেলেও এই সময়টাতে নিশ্চয়ই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু বেরিয়ে পড়ার আগে কয়েকটি জিনিস মনে রাখা জরুরি। ট্রেন বা প্লেন ছাড়ার আগে এক বার চোখ বুলিয়ে নিন।
সন্দীপন মজুমদার
নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে যাঁরা দীর্ঘ গাড়িযাত্রা করে পেলিং হি-পাতাল রাবংলা এক দিনে পৌঁছতে চাইবেন না, তাঁদের পক্ষে আদর্শ জায়গা হবে রাস্তার মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা এই সামাটার। সুন্দরী রঙ্গিতের নিবিড় সান্নিধ্যে একটা রাত কাটিয়ে পর দিন পাড়ি দিতে পারেন অন্য গন্তব্যে।
সায়ন্তনী সেনগুপ্ত
যানজট, অসহ্য গরম, ঘর্মাক্ত কলকাতা। পিচ গলা রোদ্দুর, তপ্ত, পুড়ে যাওয়া কলকাতা। এক পা এগোলেই লোকের সঙ্গে ঠোকাঠুকি, জনসমুদ্র, দমবন্ধ কলকাতা। এই বৃষ্টি, হঠাৎ বৃষ্টি, প্যাচপ্যাচে কাদা আর জল জমার কলকাতা। সত্যি, মাঝে মাঝে পাগলের মতো ভিড়, দমবন্ধ ইটকাঠ, পাথর আর কংক্রিটের শহর থেকে মন পাড়ি দেয় অন্য কোথাও।
পৃথ্বীরাজ ঢ্যাং
লেহ থেকে এ বার যাওয়া যাক কারগিলের দিকে, লেহ-শ্রীনগর সড়কপথ ধরে। এই পথের সৌন্দর্য, প্রাচীন গুম্ফা আর পর পর ছবির মতো ছোট-বড় জনপদের শোভা অত্যন্ত মনোরম। পথ গিয়েছে সিন্ধু নদের তীর বরাবর। প্রথমেই কিসক বোকুলা রিমপোচে বিমানবন্দর এবং তার প্রায় লাগোয়া স্পিতুক গুম্ফা।
শান্তনু চক্রবর্তী
দু’টি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ বললেই মন চলে যায় উত্তরবঙ্গের নয়নভোলানো চা বাগানে। তেমনই কয়েকটি চা বাগান যেখানে থাকার স্বপ্ন আপনার অনেক দিনের? স্বাদ ও সাধ্যের মধ্যে তারই সুলুক সন্ধান।
পৃথ্বীরাজ ঢ্যাং
ঘন নীল আকাশের পটভূমিকায় ভেসে থাকা সাদা মেঘের টুকরো, সোনালি, হলুদ, বাদামি রঙের পর্বতের সারি, সামনে সাদা স্তূপ আর চোরতেন-এর দৃশ্যে লাদাখ এখন আমাদের সুপরিচিত। রুক্ষ পার্বত্য উপত্যকা, উচ্ছ্বল নদী, পর্বতের গায়ে ঝুলে থাকা গুম্ফা, তুঁতে নীল জলের সুবিশাল হ্রদের বিস্তার আর সহজ সরল মানুষের আতিথেয়তা দুর্গম এই অঞ্চলকে পর্যটক মহলে করে তুলেছে জনপ্রিয়।
সন্দীপন মজুমদার
বাংলার প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে সিকিম বোধহয় বাঙালির কাছে এখন সবচেয়ে প্রিয় গন্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা-সহ অন্যন্য তুষার শৃঙ্গরাজির অনবদ্য রূপ, উচ্ছল নদী ও ঝর্না, নয়নাভিরাম সরোবর, চোখজুড়োন অর্কিড ও ফুল, নানা রঙের পাখি, গা ছমছমে অরণ্য— সব মিলিয়ে ছোট্ট রাজ্যটির এই বিপুল সম্ভার সারা বছর পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
সন্দীপন মজুমদার
শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য, প্রকৃতির অনাস্বদিত রূপের স্বাদ নিতে হলে আসতেই হবে ছুজাচেন। উচ্চতা ৩৫০০ ফুট। রংগলি বাজার থেকে মাত্রই আড়াই কিলোমিটার দূরে (রোলেপ যাওয়ার রাস্তায়) অবস্থিত এই জায়গাটি। দূরে চোখে পড়বে গাতি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।
পরবর্তী পর্যায়ে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে উত্তর দিকে নতুন করে এর সংলগ্ন আরও একটি ভবন নির্মাণ করা হয় এবং পরবর্তী ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ দিকে হাইকোর্ট ভবনের বর্তমান স্থাপত্যের সঙ্গে সমতা রেখে আর একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
পৃথ্বীরাজ ঢ্যাং
লেহ-র আশপাশে রয়েছে ছোট কয়েকটি গ্রাম, পর দিন চাইলে লেহ-তে অলস ঘোরাঘুরি কেনাকাটা আর লাদাখি গ্রামের ঘরবাড়ি জীবনযাত্রা ফসলের ক্ষেত দেখে বিশ্রাম নিয়ে কাটানো যেতে পারে। যেতে পারেন উপরের শঙ্কর বা সমকর গুম্ফাতে, দেখে নিতে পারেন তিব্বতি শরণার্থীদের বাজার।
শান্তনু চক্রবর্তী
পাহাড়-নদী-জঙ্গল-সমুদ্রের এক রামধনু মিশেল পশ্চিমবঙ্গ। উত্তরের হিমালয় থেকে দক্ষিণের বঙ্গোপসাগর— প্রকৃতি তার ভাণ্ডার উজাড় করে দিয়েছে এখানে। অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া এই রাজ্যের নানা প্রান্তের হালহদিস কয়েকটি পর্বে। প্রথম পর্বে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে জঙ্গলযাত্রা।
তারাপদ সাঁতরা
খ্রিস্টীয় আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময়ে কলকাতার সবচেয়ে উঁচু অট্টালিকা কোনটি— এ প্রশ্নের জবাবে বলতে হবে, কলকাতার ‘ব্ল্যাক জমিনদার’ গোবিন্দরাম মিত্রের নবরত্ন মন্দির; যেটি উচ্চতায় ছিল ১৬৫ ফুট। অবশ্য ‘ব্ল্যাক জমিনদার’-কৃত সে সময়ের এই ব্ল্যাক প্যাগোডাটি প্রতিষ্ঠার বছর সাতেকের মধ্যেই ঝড় আর ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ে।
সব্যসাচী চক্রবর্তী
পেছনে তাকিয়ে দেখি আমাদের হাত ছয়েক দূরে একটি বাঘিনি হেঁটে বেরোলো ঝোপঝাড়ের ভেতর দিয়ে। মহারাষ্ট্রের বাঘ-বন ঘুরে কলম ধরলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। শুধুমাত্র আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের জন্য।
সৌমিত্র বিশ্বাস
আদিবাসী অধ্যুষিত ওড়িশার কান্ধামাল জেলায় ইস্টার্ন ঘাট পাহাড়ের কোলে প্রায় ৩০০০ ফুট উচ্চতায় দারিংবাড়ি। আমাদের গাড়ি গোপালপুর ছাড়িয়ে কলকাতা-চেন্নাই রাজপথ ধরে কিছুটা এগিয়ে ব্রহ্মপুর (পুরনো নাম বেরহামপুর)-এর পথ ধরে।
কলকাতার সব থেকে নামজাদা লাল বাতি পল্লির উল্টো ফুটে দেখা মেলে সেই বিগতযৌবনার। চড়া মেকআপের বাহুল্য নেই। বরং বয়সকে থোড়াই কেয়ার স্পর্ধা। অগোছালো, অকুতোভয়। ব্যস্ত রাজপথের অকিঞ্চিৎকর ল্যান্ডমার্ক বয়ে আনছে সেই পোড়খাওয়া ধ্রুপদী সুরভি।
সৃজন দে সরকার
কলকাতায় নাকি ডাইনোসর আছে! আছেই তো, কিন্তু কোথায় সেটি বোধহয় জানা নেই অনেকরই। কেউ কেউ হয়তো বলবেন, কেন, ভারতীয় জাদুঘরে। আসলে তা নয়, জাদুঘরে ডাইনোসর নেই, সেটি আছে বরাহনগরের ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটে।
সন্দীপন মজুমদার
লালমাটির রোমান্টিক রাস্তা ধরে পাহাড়ি নিসর্গকে দু’চোখে রেখে দিকশূন্যপুরের দিকে যেতে যেতেই হঠাত্ থমকাতে হয় এক অপূর্ব লেক দেখে! গাঢ় নীল রঙা সে লেক দেখে মন যেমন বিমোহিত হয়, সৌন্দর্যসুধা আকণ্ঠ পান করে তৃপ্তির আধারও ভরে কানায় কানায়!
ইদানীং সময়ের উল্লেখ করতে গিয়ে প্রায়ই আমার ভুল হয়ে যায়। তবে এখানে যে ঘটনার কথা বলব সেটা খুব সম্ভবত অষ্টাশির জুন-টুন হতে পারে। একটা জায়গা থেকে ঘুরে এসে অন্য একটা দলের জন্য মানালিতে অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ দে-দার সঙ্গে দেখা। এই দে-বাবুটি এক্কেবারে ‘উঠল-বাই-তো-কটক-যাই’ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।
ছোটবেলায় আমি ছিলাম কার্টুন আর ফেয়ারি টেলস্-এর প্রবল ভক্ত। ভাবতাম, টিভির পর্দা কিংবা বইয়ের পাতা থেকে ওই সব চরিত্রেরা উঠে এসে যদি এক বার দর্শন দিয়ে যায়, তা হলে বুঝি জীবন সার্থক হয়ে যাবে! শৈশবের সেই কল্পনাকে বাস্তবের রং দেওয়ার একটা সুযোগ এসে গেল বড়দিনের ছুটিতে। ডিসেম্বরের মিশিগানে হাড় হিম করা ঠান্ডায় যখন আমরা কর্তা-গিন্নি কোনও গরম জায়গায় যাওয়ার প্ল্যান করছি, হঠাত্ই মাথায় এল ফ্লোরিডার কথা।
জগন্নাথ ঘোষ
কলকাতা শহর থেকে মাত্র ১৬০ কিমি দূরে নিখাদ একটি গ্রাম। গ্রামটির প্রাচীনত্ব তার শিকড় অনুসন্ধানেই প্রকাশ পাচ্ছে। আনুমানিক দশম-একাদশ খ্রিস্টাব্দে এক জন সামন্ত রাজা এখানে তাঁর রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। কিংবদন্তি, রাজার চেহারার সঙ্গে লোমশ ভাল্লুকের সাদৃশ্য থাকায় তাঁর নাম ছিল ভাল্লুপদ, এবং রাজ্যটির নাম ভাল্কি। রাজা তাঁর প্রজাদের জলকষ্ট নিবারণে রাজ্যে সাড়ে তিনশো পুষ্করিণী খনন করিয়েছিলেন যার মধ্যে একশোটি এখনও প্রাণবন্ত।
পাশ দিয়ে এক নৌকো স্কুলফেরত পড়ুয়া। কেউ হাত নাড়ে। কেউ আবার ফিরেও তাকায় না, বন্ধুর আঁকার খাতা দেখতে ব্যস্ত। নিজেদের স্কুলফেরত পুলকারের আড্ডার কথায় মশগুল তখন বড় নৌকোটা। ইতিমধ্যে ধীরে ধীরে পেরিয়ে যাচ্ছে ভাসমান স্কুল, সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক। বিদেশি পর্যটকদের নৌকোটা তখন ওই পড়ুয়াদের গাঁয়ের ভিতরে ঢোকার চেষ্টায় বেজায় জোরে পিছনের দিকে ঠেলে চলেছে কম্বোডিয়ার টোনলে সাপ লেকের জল। তার উপরেই ভাসমান গ্রামের নাম ক্যামপং ফ্লুক। লিখছেন সুচন্দ্রা ঘটক
নিজস্ব প্রতিবেদন
ঘড়ি কাঁটা ধরে অফিস বেরনো। না হলেই যে ট্রেন মিস। আর দিনের শেষে ধুঁকত ধুঁকতে বাড়ি ফেরা।