প্রতিবেদন: স্রবন্তী , সম্পাদনা: ঋতুরাজ
ছোটবেলা থেকেই দস্যি, ঝাঁকড়া চুলের মেয়ে তিনি। চুল নিয়ে হাজার ঝামেলা। সিঁথি করা যায় না। ঠিক মতো সামলানো যায় না। তাই এক দিন কাঁচি দিয়ে মাঝের সব চুল কেটে দিয়ে লম্বা রাস্তা বের করেছিলেন নিজের বুদ্ধিতে। মাঝের চুল সব সাফ করায় আবার বাবা-মা তাঁকে নেড়া করে দেন। বাবা-মা সারা ক্ষণ তটস্থ, এই বুঝি স্কুল থেকে নালিশের ডাক আসবে। শুনতে হবে কার সঙ্গে মারপিট করেছে মেয়ে।পড়াশোনা করতে ভাল লাগত না। তবে রান্নায় আগ্রহ ছিল বরাবর। ঐন্দ্রিলার হাতের কষা মাংস একবার খেলে কেউ আর ভুলতে পারে না। খরচের দিকেই মন ছিল। যখন যা ইচ্ছে সেটাই কিনে ফেলতেন। প্রসাধন সামগ্রী হলে তো কথাই নেই। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে ‘সঞ্চয়’ শব্দটি মনে ধরেছে। শব্দের গুরুত্ব বুঝিয়েছেন মনের মানুষ সব্যসাচী। এখন তিনি সঞ্চয়ী।‘বোজো’ আর ‘তোতো’ দুই সারমেয়ই হল তাঁর প্রাণ। ওদের মন্দারমণি বেড়াতে নিয়ে যাওয়া থেকে জামাকাপড় কিনে দেওয়ার মধ্যেই সবচেয়ে আনন্দ খুঁজে পান তিনি। যে মারণরোগই সামনে এসে দাঁড়াক, ঐন্দ্রিলা তাকে জয় করে আনন্দে পথ চলেছেন। এ বারও সেই চলার অপেক্ষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy