প্রতিবেদন: প্রচেতা ও সৌরভ, চিত্রগ্রহণ: শুভ, সম্পাদনা: সুব্রত
মার্চের শুরুতেই পর পর তিনটি সভা করে গিয়েছেন। কিন্তু ভোটের দিন ঘোষণার পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানের মঞ্চে উত্তরবঙ্গের তিন প্রার্থীকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। ভাষণ শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কৃতজ্ঞতা’ জানিয়ে। বললেন, “আগের বার আমি যখন এখানে সভা করতে এসেছিলাম, মাঠের মাঝে মঞ্চ বানিয়ে উনি ময়দান ছোট করে দিয়েছিলেন। এ বার তেমন কিছু করেননি।” এ দিনের সভা থেকে বার বার তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন মোদী। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তাঁর হুঁশিয়ারি “এর ফল ভুগতে হবে তৃণমূলকে।” তৃণমূলের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগের পাল্টা তাঁর দাবি, “বাংলায় আমরা অনেক টাকা পাঠিয়েছি। এখানকার সরকারের বাধায় অনেক কাজ আটকে গিয়েছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এ রাজ্যে কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প চালু করতে দেয়নি বলেও কোচবিহারের সভা থেকে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ দিন কোচবিহারের সভায় ওই কেন্দ্রের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার আসনের প্রার্থী মনোজ টিগ্গা এবং বালুরঘাটের প্রার্থী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিশীথ এবং মনোজের সমর্থনে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে রাজবংশী ভোটের কারণে। জেলার রাজবংশীদের সমর্থন পাওয়ায় জন্য ঝাঁপিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদল। রয়েছেন নমঃশূদ্রেরাও। এ দিনের সভামঞ্চে মোদীর মুখে স্বাভাবিক ভাবেই সিএএ-র প্রসঙ্গ। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তৃণমূলের পাশাপাশি বামেদেরও নিশানা করেন তিনি। মোদী বলেন, “বিজেপি সরকার সিএএ নিয়ে এসেছে। প্রতি পরিবারকে নাগরিকত্ব দেওয়া মোদীর গ্যারান্টি। বাংলার প্রতি পরিবারকে বলব, তৃণমূল, বামেরা আপনাদের ভয় দেখাতে পারে। কিন্তু আপনারা ১০ বছর আমার কাজ দেখেছেন। মোদীর গ্যারান্টির উপর ভরসা রাখুন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy