স্কুলের সামনে ঝাঁকা কাঁধে হাজির হতেন। কিশোরীর কুলফিতে মজেছিল যে কিশোর, সে এখন প্রৌঢ়। এখনও কিশোরী আসেন তাঁর পাড়ায়। নাতি-নাতনিকে কিনে দিতে গিয়ে নিজেও চেখে দেখেন মালাই বরফ। টিনের চোঙা থেকে বার করে, ছুরির আলতো চাপে টুকরো হয়ে শালপাতার চাঙারিতে উঠে আসে হিমের পরশ। প্রৌঢ় কুলফিপ্রেমীদের দাবি, প্রায় ৫০ বছর হতে চলল, কিশোরীর মালাই বরফের স্বাদে এতটুকুও বদল আসেনি। আদতে দ্বারভাঙার ভূমিপুত্র কিশোরী এখন বর্ধমানে মেমারির বাসিন্দা। সেখান থেকে রোজ ঝাঁকা কাঁধে হুগলি। এই কুলফি বেচেই তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। এখন একার সংসার। বয়স-শরীর কোনওটাই অনুকূলে নয় কিশোরীর। তবুও গ্রীষ্মের তাপদাহে এক টুকরো শীতলতার আশ্বাস দিতে রোজ পথে নামেন বৃদ্ধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy