প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: বিজন
৬ বছরে হাজার হাজার ইমেল, টুইট, চিঠির পরও কাজ হয়নি। ২০১৮ সালে চাকরি পেয়েও এখনও নিয়োগের দাবি নিয়ে রাস্তায় বসে চাকরিপ্রার্থীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন তাঁদের দাবি মেনে নিচ্ছেন না? রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কাছে কী বার্তা পৌঁছতে ব্যর্থ হচ্ছে ভারতীয় ডাক বিভাগ? প্রতিবাদে তাই মাথায় গামছা বেঁধে হাতে হ্যারিকেন নিয়ে রানার সেজে মিছিলে চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর নিজের দফতরেই ৬ বছর ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই লণ্ঠন মিছিল করছেন তাঁরা। আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে হরিশ মুখার্জি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট ধরে মিছিলের পরিকল্পনা করেছিলেন। সন্ধ্যায় লণ্ঠন মিছিলের আর্জি জানিয়ে আদালতে মামলাও হয়। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা সেখানে শর্তসাপেক্ষ সম্মতিও দেন। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। পরে কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, সন্ধ্যার পরিবর্তে মিছিল করতে হবে ১২টা থেকে ৪টে— এই সময়ের মধ্যে। আশুতোষ মুখার্জি রোড ধরে মিছিল হবে এবং তা শেষ করতে হবে কালীঘাট থানার সামনে— এই নির্দেশকে মাথায় রেখেই বুধবার মিছিল করেন চাকরিপ্রার্থীরা। কাঠফাটা রোদের মধ্যে সেই মিছিল করতে গিয়ে অসুস্থ অন্তত ৪। এদের মধ্যে দৃষ্টিহীন এক চাকরিপ্রার্থীকে পুলিশের গাড়িতেই তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে কালীঘাট পর্যন্ত না গিয়ে যতীন দাস পার্কের সামনেই বসে পড়েন তাঁরা। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy