ভীত বেড়ালটি তখনও সম্ভবত বিশ্বাসই করতে পারছে না, সে বেঁচে গিয়েছে। ছবি : টুইটার থেকে।
ভিডিয়ো দেখে টুইটারে একজন লিখেছেন, ‘‘যাক, মনুষ্যত্ব এখনও অটুট। দেখে ভরসা হয়!’’ তবে যে ভিডিয়ো দেখে তিনি এই মন্তব্য করেছেন, সেটি এক না-মানুষের। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে একটি বিড়াল ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। ব্যস্ত রাস্তায় তীব্র গতিতে ছুটছে গাড়ি। দাঁড়াবার সময় নেই কারও। ছোট্ট বেড়ালটি সম্ভবত রাস্তা পার হতে গিয়ে শেষমেশ আর না পেরে দেওয়ালে সিঁটিয়ে গিয়েছে। চলন্ত গাড়ি দেখে তার এতটাই ভয় হয়েছে যে, সে দু’হাতে রাস্তার কংক্রিটের ডিভাইডারে ভর দিয়ে মুখ-সহ গোটা শরীরটাই লেপ্টে রেখেছে সেখানে। যাতে গাড়ির ধাক্কা গায়ে না লাগে। যাতে ছুটন্ত গাড়িগুলোকে তাকে দেখতে না হয়।
এমন পরিস্থিতিতে খানিক দেবদূতের মতোই সেখানে হাজির হন এক যুবক। গাড়ি বাঁচিয়ে ডিভাইডারের কাছে পৌঁছে দু’হাতে বুকের কাছে তুলে নেন তিনি বেড়ালটিকে। কিন্তু ভীত বেড়ালটি তখনও সম্ভবত বিশ্বাসই করতে পারছে না, সে বেঁচে গিয়েছে। হাতের আঁজলায় শুয়ে তখনও থরথরিয়ে কাঁপছে সে। বিস্ফারিত দু’চোখে তাকিয়ে রয়েছে তার উদ্ধারকর্তার দিকে। তারা সাদা শরীরে তখনও ঝুলের মতো লেগে রয়েছে রাস্তার ধুলোকাদা।
ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই ১৫ লক্ষ বার দেখা হয়ে গিয়েছে। অনেকেই জানতে চেয়েছেন, ‘‘বেড়ালটি এখন কেমন আছে?’’ উদ্ধারকারীকে ধন্যবাদও দিয়েছেন অনেকে।
Respect pic.twitter.com/nX1GJ3vgww
— No Cats No Life (@Cattuspersonata) March 30, 2023
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy