Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Food delivery order for Bhaang on Holi

দোলের দুপুরে জোম্যাটোতে ভাঙের গুলির নাছোড় আবদার! সমস্যা জানাতেই জবাব দিল পুলিশ

এক গ্রাহক একই খাবারের বায়না করে চলেছেন জানিয়ে টুইটারের দ্বারস্থ হয়েছিল খাবার সরবরাহ সংস্থা জোম্যাটো। গ্রাহকের নাম জানিয়ে মজা করেই লিখেছিল, ‘ওকে কেউ থামতে বলুন!’

customer is continuously asking them for bhang ki goli on the day of holi

একটু বেশিই উতলা হয়ে পড়েছিলেন শুভম। ছবি: শাটারস্টক

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩ ১৬:৩৫
Share: Save:

দোলের দুপুর। রঙের খেলায় তখনও বুঁদ হয়ে রয়েছেন অনেকে। ঠিক এমন সময়ই জনৈক শুভমের মনে হল, উৎসব জমাতে তাঁর এখন একটি জিনিস চাই-ই চাই। সেই চাওয়া আর তা পাওয়ার জন্য তাঁর আকুল চেষ্টা নিয়েই হোলির দুপুরে আড্ডা জমল টুইটারে। তাতে যোগ দিল পুলিশও।

দিল্লির ঘটনা। যে শুভমকে নিয়ে আলোচনার শুরু, তিনি গুরুগ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে অনলাইনে খাবার সরবরাহের সংস্থা জোম্যাটো। টুইটারে তারা জানিয়েছে, শুভম তাদের কাছে ভাঙের গুলি চেয়ে নাছোড় আবদার জুড়েছে। দুপুর পর্যন্ত টানা ১৪ বার ভাঙের গুলি চেয়ে জোম্যোটোর সঙ্গে যোগাযোগ করে ফেলেছে। তাই টুইটারে জোম্যাটোর অনুরোধ, ‘‘কেউ দয়া করে শুভমকে থামতে বলুন। উনি ইতিমধ্যেই ভাঙের গুলি চেয়ে ১৪ বার আমাদের ডাকাডাকি করেছেন। ওকে বলুন, আমরা ভাঙের গুলি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করি না।’’

‘‘ভাঙ কা রং জমা হো চকাচক...’’— ডন ছবিতে গেয়েছিলেন কিশোর কুমার।

‘‘ভাঙ কা রং জমা হো চকাচক...’’— ডন ছবিতে গেয়েছিলেন কিশোর কুমার। ছবি: শাটারস্টক

হোলির উদ্‌যাপনে ভাঙের গুলির সঙ্গত নতুন নয়। সিনেমাতেও বহু নায়ককে রং খেলার দৃশ্যে ভাঙের শরবৎ খেতে দেখা গিয়েছে। এমনকি সিনেমার গানের কথাতেও অমর হয়েছে ভাঙ। ডন ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের নাচের দৃশ্য কিশোর কুমারের গেয়েছিলেন ‘‘ভাঙ কা রং জমা হো চকাচক...’’।

তবে জোম্যাটোর কথা মানলে গুরুগ্রামের শুভম একটু বেশিই উতলা হয়ে পড়েছিলেন রঙের উৎসব জমাতে। তাই জোম্যাটোর কাছে জুড়েছিলেন বায়না। জোম্যাটো সেই বায়নার কথা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিতেই ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে পোস্ট। অনেকেই নানা মন্তব্য করতে শুরু করেন সেখানে। তবে যে মন্তব্যটি সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে, সেটি করেছিল দিল্লি পুলিশ। টুইটারে জোম্যাটোর পোস্টের নীচে তারা লেখে, ‘‘যদি শুভমের সঙ্গে কারও দেখা হয়, তাকে এটাও জানিয়ে দিন, তিনি যদি ভাঙ খেয়ে থাকেন, তবে যেন গাড়ি না চালান।’’

ভাঙ নেশার বস্তু। এতে স্নায়ু দৌর্বল্য আসতে পারে। ঘটতে পারে দুর্ঘটনাও। তবে উৎসবের পরিবেশেও দিল্লি পুলিশের এই সতর্কবাণীতে মজা পেয়েছেন অনেকে। হাসির রোল উঠেছে টুইটারে।

নানা জনে নানা মন্তব্যও করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘‘শুভম অবশ্য অনলাইন গাড়ি পরিষেবার অ্যাপ উব্‌রও ব্যবহার করতে পারেন।’’

কেউ আবার লিখেছেন, ‘‘শুভম সব কথা শুনবেন, কিন্তু ভাঙ হাতে পেলে যা মনে হবে সেটাই করবেন।’’

কেউ মজা করে দিল্লিপুলিশকেই লিখেছেন, ‘‘চিন্তা করবেন না, শুভমের সঙ্গে দেখা হলেই পাতায় লিখে আপনাদের পরামর্শ জানিয়ে দেব।’’

শুভমকে ভাঙ খাওয়া অবস্থায় দেখতে পেলে দিল্লি পুলিশ কোনও ডেলিভারি চার্জ ছাড়াই তাকে জেলে পাঠিয়ে দেবে বলেও মজা করেছেন এক টুইটার ব্যবহারকারী।

দোলের দিন নেশায় বুঁদ থাকলে অবশ্য এই সমস্ত পরামর্শের কোনওটাই কাজে আসবে না, তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন এক জন। মজাচ্ছলে তিনি লিখেছেন, ‘‘শুভম মোটেই গাড়ি খেয়ে ভাঙ চালাবে না।’’

শুভম নাম যাঁদের, এই আড্ডায় যোগ দিয়েছেন তাঁরাও। এক শুভম লিখেছেন, ‘‘জোম্যাটো প্লিজ বোঝার চেষ্টা করো, দোলের দিন ভাঙ খাওয়া আমাদের রীতি রেওয়াজের অঙ্গ। তা ছাড়া একই দিনে আমার জন্মদিনও। তাই মজাটা মাটি কোরো না।’’

তবে এর পাশাপাশি দিল্লি পুলিশকে লক্ষ্য করে এসেছে কটাক্ষও। এক টুইটার গ্রাহক লিখেছেন, ‘‘দেশের অপরাধের রাজধানী বলে যে শহরের বদনাম ছড়াচ্ছে, সেই শহরের পুলিশ এখন সব ছেড়ে এক ভাঙখোড়ের পিছনে পড়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE