ছবি ইনস্টাগ্রাম।
একজনের আস্তানা জলে। আরেক জনও জলে স্বচ্ছন্দে বিচরণ করতে পারে। পেল্লায় চেহারা দু’জনেরই। জল-জঙ্গলে ত্রাস হিসাবে তাদের ‘সুখ্যাতি’ও কম নয়! এক জন ইয়া বড় আকারের কুমির। আর অন্য জন অ্যানাকোন্ডা। এই দুই ভয়ঙ্কর প্রাণীই সঙ্ঘর্ষে জড়াল।
ব্রাজিলের বিশালাকার কুমিরের গলা পেঁচিয়ে ধরেছে হলদে রঙের অ্যানাকোন্ডা। অ্যানাকোন্ডা এমন ভাবে তার গলায় জড়িয়ে রয়েছে যে, কুমির বেচারার প্রাণ একেবারে ওষ্ঠাগত। শ্বাস নিতেও যেন সমস্যা হচ্ছে। মাঝেমধ্যে মুখ খুলছে সে। কিন্তু কোনও ভাবেই অ্যানাকোন্ডার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। একেবারে জিভ বেরিয়ে যাওয়ার অবস্থা কুমিরের। এমনই এক ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এই দৃশ্যটি গত সেপ্টেম্বর মাসে ক্যামেরাবন্দি করেছেন কিম সুলিভান নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানার এক মহিলা। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ৪০ মিনিট ধরে কুমিরটির গলা জড়িয়ে ছিল অ্যানাকোন্ডাটি।
চিত্রগ্রাহক জানিয়েছেন, নিজেকে বাঁচাতে জলের মধ্যে ডুব দেয় কুমিরটি। কিছু ক্ষণ পর আবার যেই জলের উপর মুখটা তুলল কুমির, বুঝল দৈত্যাকার চেহারার সাপটি তখনও তার গলা ছাড়েনি। তার পর আবার জলে অনেকক্ষণ ধরে ডুবে থাকে কুমিরটি। তার পরই অ্যানাকোন্ডার হাত থেকে মুক্তি পেল সে। অ্যানাকোন্ডাটিও কুমিরকে ছেড়ে গর্তের মধ্যে ঢুকে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy