ছবি: ইনস্টাগ্রাম
দেশজুড়ে শুরু হয়েছে গণেশ বন্দনা। চতুর্থী থেকে শুরু করে চতুর্দশী— টানা ১০ দিনের এই উৎসব এককালে মহারাষ্ট্র বা দক্ষিণ ভারতেই পালন হত বেশি। কিন্তু আজকাল উৎসবপ্রিয় বাঙালিও গণেশ পুজোয় মাতেন। হয়তো এই সর্বজনগ্রাহী বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এ বার বিজ্ঞাপনের মডেলও বানানো হল গণেশকে। একটি বিমান সংস্থা তাদের সমাজ মাধ্যমে গণেশের একটি এআই ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ওই বিমান সংস্থার বিমানের আসনে জানলার পাশের আসনটিতে বসে রয়েছেন গণেশ। তাঁর হাতে রয়েছে তাঁর প্রিয় সব খাবারের ডালি। যা তাঁকে পরিবেশন করা হয়েছে বিমান সংস্থার তরফেই।
বেসরকারি ওই বিমান সংস্থা ছবিটি পোস্ট করেছে তাদের সমাজমাধ্যম-প্রচারের অঙ্গ হিসাবে। এই ধরনের প্রচারে সব সময় সরাসরি পরিষেবার কথা বলে না। এই ছবিতেও বলা হয়নি। সংস্থাটি ওই ছবি পোস্ট করে তাদের সমাজ মাধ্যমে শুধু লিখেছে, ‘‘বাপ্পা ইজ় কামিং হোম!’’ গণেশকে দক্ষিণ ভারতে বিশেষত মহারাষ্ট্রে গণপতি বাপ্পা বলে সম্বোধন করেন ভক্তরা। বাপ্পা বলতে গণেশকেই বুঝিয়ে ওই বিমান সংস্থা জানিয়েছে, গণেশ ঘরে আসছেন।
গণেশকে সিদ্ধিদাতা বলা হয়। অভীষ্ট লক্ষ্যে সিদ্ধিলাভ করতেই গণেশের আরাধনা করেন ভক্তরা। তাঁকে ঘরে প্রতিষ্ঠা করে দশদিন ধরে চলে বন্দনা। মহারাষ্ট্রে অনন্ত চতুর্দশীর দিন শোভাযাত্রা করে বিসর্জন দেওয়া হয় গণেশের মূর্তিকে। তবে তার আগে চতুর্থীর দিন মর্ত্যের আগমন হয় স্বর্গের বাসিন্দা গণেশের। বিমান সংস্থা ওই ছবি দেখে ধরে নেওয়া যেতে পারে, তারা বলতে চেয়েছে, গণেশও আকাশ পথে ভরসা করেন ওই বিমান সংস্থাকেই। সেখানে তাঁকে তাঁর প্রিয় খাবারও সরবরাহ করা হয়।
তবে সংস্থাটি যা-ই বলুক, গণেশের ভক্তদের ছবিটি পছন্দ হয়েছে। অনেকে আবার এমন দাবিও তুলেছে যে, এখন থেকে ওই বিমান সংস্থার মেনুতে মোদক বাধ্যতামূলক ভাবে রাখা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy