বিয়ের আয়োজন
বিয়ে মানেই বিপুল খরচ। নিমন্ত্রণপত্র থেকে শুরু করে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন, তত্ত্ব পাঠানো, বিয়ের ভোজ এবং সব শেষে মধুচন্দ্রিমা। সব মিলিয়ে খরচের ঠেলা সামলাতে নাস্তানাবুদ হন অনেকেই। তবে প্রথম থেকেই যদি ঠিকঠাক বাজেট তৈরি করে খরচে রাশ টানা যায়, তা হলে কিছুটা হলেও হিমশিম অবস্থা এড়ানো যায়।
খরচের হিসেব: বিয়ের কোন কোন খাতে আনুমানিক কত খরচ হবে, তার একটা তালিকা তৈরি করে ফেলুন। কারণ গোড়াতেই খরচ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন। বাজেট ঠিক করার পরে তার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ টাকা আলাদা করে সরিয়ে রাখুন। কারণ বিয়ের খরচ হিসেবের তুলনায় কিছুটা বেড়েই যায় সাধারণত। তখন ওই টাকা ত্রাতার ভূমিকা নেবে। একান্তই প্রয়োজন না হলে ধার করে খরচ এড়িয়ে চলুন। ঋণের চড়া সুদ পরবর্তীকালে বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে।
নিমন্ত্রণ পত্র: নিমন্ত্রণ পত্রে অতিরিক্ত খরচ থেকে বিরত থাকুন। চমকপ্রদ নিমন্ত্রণ পত্র অবশ্যই আপনাকে প্রশংসার কেন্দ্রবিন্দু করে তুলতে পারে। তবে মনে রাখবেন, তা কিন্তু ক্ষণস্থায়ী। তাই এই খাতে খরচ কমিয়ে পত্রে শুধুমাত্র রুচিশীলতার ছাপ রাখলেই যথেষ্ট।
বিয়ের গয়না: বিয়ে উপলক্ষে প্রচুর টাকা খরচ করে গয়না কিনে ফেলাটা বাধ্যতামূলক নয়। বরং পরিমিত গয়না কিনলে বিয়ের খরচে অনেকটাই সুরাহা মিলবে, আর সাজও থাকবে স্নিগ্ধ। বিয়ের এক দেড় বছর আগে থেকে একটু একটু করে গয়না বানিয়ে নিন। প্রয়োজনে বিয়ের আগে গয়না ভাড়াও নিতে পারেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানস্থল: বিয়ের আসর ঝাঁ-চকচকে না হলে যে বিয়ে মাঠে মারা যাবে, তা কিন্তু নয়। তাই খরচে রাশ টানতে হলে জাঁকজমকপূর্ণ ভেন্যুর পরিবর্তে ছিমছাম সুন্দর অনুষ্ঠানস্থলের পরিকল্পনা রাখুন। জায়গার অসুবিধা না থাকলে নিজেদের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে আপত্তি কোথায়!
অনুষ্ঠান আয়োজনে দুই পক্ষ: বাঙালি বিয়ে মানেই দু'তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান, বাগদান, মেহেন্দি, বিয়ে, বৌভাত ইত্যাদি। তবে ইদানীং বর-কনে দুই তরফ একসঙ্গে অনুষ্ঠান করার চল বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে খরচও ভাগ হয়ে যায় দুই ভাগে। তাই এই বিষয়টি ভেবে দেখুন, খরচ বেশ খানিকটা কমে যাবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy