প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা নিয়ে সামনে চলে এল বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দল। বোলপুরে প্রকাশ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল বিজেপি-র দুই গোষ্ঠী। প্রথমে তর্কাতর্কি, হাতাহাতি হলেও তা গড়ায় ধস্তাধস্তিতে। শেষমেশ নিরাপত্তারক্ষীর প্রহরায় ঘটনাস্থল থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হল মন্ত্রীকে। ঘটনার জেরে কেউ গুরুতর আহত না হলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই এ নিয়ে মুখ পুড়ল রাজ্য বিজেপি-র।
রবিবার বোলপুর গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী বিজয় সাম্পলা। তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইতে রাজ্যে দলীয় সংগঠন মজবুত করতেই তাঁর এ দিনের সফর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই রাজ্যের প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে যাবেন দলের মন্ত্রী-সাংসদরা। চলতি মাসের ৬ তারিখে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত তা পালন করবেন বিজেপি মন্ত্রী-সাংসদেরা। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, নিজের কেন্দ্রের বাইরেও অন্য একটি কেন্দ্র পরিদর্শনের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
ভোটার প্রতি ৪০০০ টাকা করে ঘুষ! স্থগিত হয়ে যেতে পারে নির্বাচন
বোলপুরে একটি বেসরকারি হোটেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজয় সাম্পলা। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
এ দিন সে কর্মসূচি অনুযায়ী বোলপুরে একটি বেসরকারি হোটেলে ওঠেন তিনি। সকাল ১১টা নাগাদ ওই হোটেলের কনফারেন্স রুমে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিজেপি-র বোলপুর টাউন সভাপতি দিলীপ ঘোষও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সে সময়ই উজ্জ্বল মজুমদার নামে এক বিজেপি কর্মী বিজয় সাম্পলার সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু, তাঁকে বাধা দেন দিলীপ ঘোষের অনুগামীরা। উজ্জ্বল মজুমদারের সঙ্গী-সাথীরা তাতে ক্ষেপে ওঠেন। মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান বলে অনড় থাকেন তাঁরা। এর পর দিলীপবাবু ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে উজ্জ্বলবাবুদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। উত্তেজিত দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। হাতাহাতিতে কনফারেন্স রুমের দিকে যাওয়ার একটি কাচের পাল্লা দরজা থেকে খুলে পড়ে দু’টুকরো হয়ে ভেঙে যায়। কিছু ক্ষণ হাতাহাতির পর অবশ্য দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা থেমে যায়।
আরও পড়ুন
এই ঘটনায় কোনও পক্ষই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেনি। দিলীপ ঘোষ ও উজ্জ্বল মজুমদার— দু’জনেই গোষ্ঠী কোন্দলের দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন। উজ্জ্বলবাবু বলেন, “গোষ্ঠী সংঘর্ষ নয়। মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। সে সময় কর্মীদের দিলীপ ঘোষ বাধা দিয়েছেন।” গোষ্ঠী কোন্দলের তত্ত্ব উড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, “গোটা ঘটনায় একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে জোর করে দেখা করতে চাওয়ায় অনেককে বাধা দেওয়া হয়েছে। এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy