রত্নতমা দে বালা। — নিজস্ব চিত্র।
ছুরি দিয়ে স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত। দেহটি উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
বাগদার হেলেঞ্চা পঞ্চায়েতের মণ্ডবঘটা গ্রামের বাসিন্দা অরিন্দম বালা। বছর আটাশের ওই যুবক পেশায় চিকিৎসক। অরিন্দম পিজিতে এমডি পাঠরত। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে নীলগঞ্জের রত্নতমা দে (২৫) নামে এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। অরিন্দমের পরিবার এবং প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকে তাঁদের মধ্যে বনিবনা ছিল না। প্রায়ই দু’জনের মধ্যে অশান্তি হত। এর ফলে মাস আষ্টেক আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন রত্নতমা। শনিবার রাতে অরিন্দম রত্নতমাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। অরিন্দমের বাবা বিবেকানন্দ বালা এবং ভাই অনির্বাণ বালাকে খেতে বলে তাঁরা দোতলায় চলে যান। রবিবার সকালে অরিন্দম দোতলা থেকে নেমে এসে বাবা এবং ভাইকে জানান যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন।
অনির্বাণ বলেন, ‘‘দু’বছর হল ওদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বৌদি আট মাস হল এখানে থাকে না। সকালে দাদা দোতলা থেকে নেমে এসে বলে, ‘একটা খারাপ কাজ করে ফেলেছি। তোর বৌদির গলায় ছুরি মেরেছি।’ বৌদি এখানে থাকলে গন্ডগোল হত। তবে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি।’’ এর পর অরিন্দম বাগদা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশও। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। রুজু হয়েছে খুনের মামলা।
রত্নতমা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। অরিন্দমের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার পর তাঁরা বিয়ে করেছিলেন। অরিন্দমের বাবা বিবেকানন্দ বলেন, ‘‘আমরা ভোরে জানতে পেরেছি। বড় ছেলে নীচে এসে জানাল যে, ‘ছুরি দিয়ে রত্নতমাকে খুন করেছি।’ বৌমা ছেলের উপর অত্যাচার করত। মেরে খাট থেকে ফেলে দিত। ছেলে কাঁদত আমার কাছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy