Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

ত্রাণ না পেয়ে বিক্ষোভ পঞ্চায়েতে

ত্রাণ না পেয়ে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাল পঞ্চায়েতে। প্রধান ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে মারপিট বাধে বলেও অভিযোগ। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং ২ ব্লকের আঠারোবাঁকি পঞ্চায়েতে। এ দিন সকালে আঠারোবাঁকি পঞ্চায়েতের লম্বা পাড়া, গাইনপাড়া ও কুমিরমারি এলাকার লোকজন তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতে আসেন ত্রাণের দাবি নিয়ে। অভিযোগ, প্রধানের লোকজন তাঁদের পঞ্চায়েতে ঢুকতে বাধা দেয়।

জলে নেমে চলছে বিক্ষোভ। ছবি: সামসুল হুদা।

জলে নেমে চলছে বিক্ষোভ। ছবি: সামসুল হুদা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৫ ০১:০৮
Share: Save:

ত্রাণ না পেয়ে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাল পঞ্চায়েতে। প্রধান ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে মারপিট বাধে বলেও অভিযোগ।
সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং ২ ব্লকের আঠারোবাঁকি পঞ্চায়েতে। এ দিন সকালে আঠারোবাঁকি পঞ্চায়েতের লম্বা পাড়া, গাইনপাড়া ও কুমিরমারি এলাকার লোকজন তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতে আসেন ত্রাণের দাবি নিয়ে। অভিযোগ, প্রধানের লোকজন তাঁদের পঞ্চায়েতে ঢুকতে বাধা দেয়। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েতে তালা লাগিয়ে জীবনতলা-বাসন্তী রোডে অবরোধ শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ পরে পঞ্চায়েতে হাজির হন প্রধান জালাল সর্দার।
অভিযোগ, তাঁকে পঞ্চায়েতে ঢুকতে বাধা দেন গ্রামবাসীদের একাংশ। প্রধানের লোকজনের সঙ্গে মারপিট বেধে যায় তাঁদের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধানের লোকজন গ্রামবাসীদের জুতোপেটা করেছেন। ধাক্কাধাক্কি করা হয় মহিলাদেরও। অভিযোগ, ধাক্কাধাক্কিতে প্রধানের পোশাক ছিঁড়ে যায়। প্রধানের অনুগামীরা তালা ভেঙে প্রধানকে পঞ্চায়েতের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন।
জালাল বলেন, ‘‘আমার কাছে যা ত্রাণ ছিল, তা পঞ্চায়েত এলাকায় ভাগ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরেও ওঁরা কোনও কথা শুনতে চাইলেন না। উল্টে পঞ্চায়েতে হামলা করলেন। আমাকে মারধরও করা হল।’’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ক্যানিং-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সওকত মোল্লা। তিনি গ্রামবাসীদের জানান, কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা অবশ্যই বলতে পারেন। কিন্তু প্রধানকে মারধর করা ঠিক হয়নি। প্রধানকে তিনি নির্দেশ দেন, যেখানে যেখানে ত্রাণ যায়নি, সেখানে যেন ত্রাণ পাঠানো হয়।

সওকত বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে ওই এলাকায় কোনও রাস্তা হয়নি। কোনও উন্নয়নও হয়নি। তাই মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পঞ্চায়েতে গিয়ে। এই এলাকার বিধায়ক সুভাষ নস্কর মন্ত্রী থাকাকালীন কোনও কাজ করেননি।’’ তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বাসন্তীর বিধায়ক সুভাষ নস্কর বলেন, ‘‘আঠারোবাঁকি তথা বাসন্তীতে মানুষ এখনও যেখানে যত রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটছেন, সবটাই আমাদের আমলে, আমার প্রস্তাবিত রাস্তা।’’ তাঁর অভিযোগ, মানুষ ত্রাণ পাচ্ছেন না। রাজনৈতিক রং দেখে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।’’ সুভাষবাবুর আরও অভিযোগ, আশপাশের ব্লকগুলির তুলনায় বাসন্তী ব্লকের ত্রাণের বরাদ্দ কম। তা ছাড়া, এমন বহু ত্রাণ শিবিরের কথা শোনা যাচ্ছে, কাগজে-কলমে যাদের অস্তিত্ব থাকলেও বাস্তবে আছে কিনা প্রশাসনের তা তদন্ত করা উচিত।

অন্য বিষয়গুলি:

Panchayat office Agitation caning subhas naskar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE