Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
kakdwip

মৎস্যজীবীদের ঋণের ভর্তুকির কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে একই ধরনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ ওঠার পরেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে সোমবার।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:৫০
Share: Save:

প্রান্তিক মৎস্যজীবীদের ঋণের ভর্তুকির কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল একটি মৎস্যজীবী সমবার সমিতির বিরুদ্ধে। ২০১৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমার বহু প্রান্তিক মৎস্যজীবীর ঋণের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের। এই আর্থিক তছরুপের ঘটনায় কাকদ্বীপ মেরিন কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছেন মৎস্যজীবীদের একাংশ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে একই ধরনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ ওঠার পরেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে সোমবার। দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠকের পর। মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে খবর, কাকদ্বীপ মহকুমায় প্রায় এক লক্ষ মৎস্যজীবী রয়েছেন। অধিকাংশই প্রান্তিক মৎস্যজীবী। তাঁদের নৌকার জন্য জাতীয় সমবায় নিগম ঋণ দিয়েছিল। বেনফিসের মাধ্যমে সেই ঋণের টাকা দেওয়া হয় কাকদ্বীপ মেরিন কোআপারেভিভ সোসাইটি লিমিটেডকে। মৎস্যজীবীদের একাংশের অভিযোগ, সমবায় সমিতির সম্পাদকের ঘনিষ্ঠ শৈবাল দাস নামে এক ব্যক্তি মৎস্যজীবীদের দিয়ে ব্যাঙ্কের চেকে সই করিয়েছিলেন। শৈবাল স্থানীয় রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য। তাই, তাঁর উপর ভরসার জায়গা থেকেই চেকে সই করে দেন মৎস্যজীবীরা। পরে তাঁরা জানতে পারেন, ভর্তুকির টাকা রেখে বাকি ঋণের সব টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।

মৎস্যজীবীদের আরও অভিযোগ, কাকদ্বীপ মেরিন কো-অপারেভিভ সোসাইটি লিমিটেডের সহযোগিতায় শৈবালই সেই টাকা হাতিয়েছে। বিষয়টি প্রশাসন ও মৎস্য দফতরকে জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। মৎস্যজীবী অজয় দাস বলেন, ‘‘আমাদের ঋণের টাকা এই ভাবে আত্মসাৎ করে নেওয়া হল। উল্টে টাকার কথা জিজ্ঞেস করায় মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।’’ দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিলন দাস বলেন, ‘‘বিভিন্ন জায়গাতেই জাল-নৌকার জন্য ঋণের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। বহু দফতরেই সেই দুর্নীতি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছিল। আশা করি, হাই কোর্টে এ বার সুবিচার পাওয়া যাবে।’’

এই বিষয়ে জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, ‘‘এমন কোনও খবর নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ এই বিষয়ে সহ-মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) পিয়ার সর্দার বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের আওতাধীন নয়। তাই বলতে পারব না।’’ এই বিষয়ে বেনফিসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

অন্য বিষয়গুলি:

kakdwip Fishermen
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE