Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Crime

লাগাতার ‘যৌন অত্যাচারের’ শিকার কিশোরী, ধৃত প্রৌঢ়

গত ১৪ নভেম্বর অভিযুক্ত স্বপন সরকারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তার পরেই তাকে গ্রেফতার করে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। আদালত স্বপনকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৪১
Share: Save:

মা-হারা বছর বারোর কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তারই পড়শি এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির নির্দেশে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে আপাতত একটি হোমে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ব্যারাকপুরশিল্পাঞ্চলের একটি থানা এলাকায়। পুলিশ জানায়, গত ১৪ নভেম্বর অভিযুক্ত স্বপন সরকারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তার পরেই তাকে গ্রেফতার করে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। আদালত স্বপনকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।

পুলিশ এবং ওই কিশোরীর স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটি স্কুলে অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এর পরেই গত ১৪ নভেম্বর উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সমাজকল্যাণ দফতরে চিঠি লেখেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত মিত্র। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রীটির কাউন্সেলিং করে জানতে পারি, সে বহু দিন যাবৎ তার প্রতিবেশীর যৌন লালসার শিকার। মেয়েটি জানিয়েছে, ওকে ভয় দেখিয়ে, প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে। ওর চোখে-মুখে ভয়ের ছাপ ছিল স্পষ্ট। মেয়েটি মা-হারা। বাবাও অন্যত্র থাকেন। দাদুর কাছে থাকে ওই ছাত্রী। তিনিও অনেক রাতে বাড়ি ফেরেন। মেয়েটি কার্যত অনাথ অবস্থায় অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছিল।’’

স্কুলের আর এক শিক্ষক পলাশ পাল বলেন, ‘‘যে পরিবেশে মেয়েটি থাকে, তা একা থাকা যে কোনও মহিলার পক্ষেই বিপজ্জনক। ডাকার পরেও এক দিন না যাওয়ায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি মেয়েটির গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে ওকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়েছিল। মেয়েটির বাবা বা দাদু— কেউই ঘটনার ভয়াবহতা বুঝতে চাইছেন না। ওঁদের কথা শুনে মনে হয়েছে, মেয়েটি ওঁদের কাছে বোঝা। এই অবস্থায় ওকে বাড়িতে ফেরানো ঠিক হবে না।’’

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন মহুয়া শূররায় বলেন, ‘‘ঘটনাটি জানার পরেই পুলিশকে বলা হয় মেয়েটিকে দ্রুত উদ্ধার করার জন্য। ওকে দেখাশোনা করার কেউ নেই। তাই আপাতত তাকে হোমে রাখা হয়েছে।’’ যে থানা এলাকায়ঘটনাটি ঘটেছে, সেই থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নির্যাতিতা এবং অভিযুক্তের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (৩) এবং পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE