বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ। — নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের আগের দিন দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন গ্রামসভায় বিজেপির প্রার্থী। একইসঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গেরুয়াশিবিরের কয়েক জন নেতাও। শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর নফরগঞ্জ এলাকায়। তৃণমূলের দাবি, ওই সব বিজেপি প্রার্থীরা উন্নয়নের শরিক হতে দলত্যাগ করেছেন। তবে বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থী এবং কর্মীদের ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগদান করতে বাধ্য করানো হচ্ছে।
বাসন্তীর নফরগঞ্জ পঞ্চায়েতের ২৩৫ নম্বর বুথে এ বার প্রার্থী হয়েছেন সন্ধ্যা মণ্ডল নামে ওই এলাকার বাসিন্দা। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট শনিবার। তার আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সন্ধ্যা। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গত বিধানসভা নির্বাচনে বাসন্তীর বিজেপি প্রার্থী রমেশ মাঝিও। সেইসঙ্গে কয়েক জন বিজেপি কর্মীও ভোটের আগের দিন দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। নফরগঞ্জের তৃণমূল নেতা দিলীপ মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘বহু কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আরও অনেকেই যোগাযোগ করছেন। নফরগঞ্জের ৫০ শতাংশ বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেবেন। কারণ ওঁরা বুঝতে পেরেছেন এলাকার উন্নয়ন করতে গেলে তৃণমূলের পাশে দাঁড়াতে হবে।’’
একই সুর সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া রমেশেরও। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করছে। এ ভাবে কোনও দল ক্ষমতায় আসতে পারে না। তাই আমি বিভাজনের রাজনীতি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের নানা উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ যে উপকৃত তা বোঝা যাচ্ছে।’’
বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দার অবশ্য বলেন, ‘‘যে ভাবে তৃণমূলের হার্মাদরা পুলিশ-প্রশাসনকে নিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। যত রকম চাপ দেওয়া যায় তা দিচ্ছে। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেকে হার স্বীকার করে নিচ্ছেন। এক মাঘে শীত যায় না। এই ঘটনা গণতন্ত্রের লজ্জা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy