আক্রান্তের বাবা আবু লস্কর জানান, রাত ২টো নাগাদ আততায়ীরা বাড়িতে ঢুকে পড়ে। নিজস্ব চিত্র।
স্ত্রীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছে ভাই। তাই বদলা নিতে ভাড়াটে খুনি লাগিয়ে ভাইকে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক পরিযায়ী শ্রমিকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগরের পাকচি গোবিন্দপুরে ঘটনাটি ঘটে। ঘুমন্ত অবস্থাতেই জাহির লস্কর নামে ওই যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আততায়ীরা। সেই গুলি গিয়ে জাহিরের পাঁজরে লাগে। এর পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত আলাউদ্দিন লস্কর। পুলিশ সূত্রে খবর, আলাউদ্দিন ও জাহির পরস্পর সম্পর্কে তুতো ভাই। দু’জনেরই বাড়ি গোবিন্দপুরে। দু’জনেই কেরলে শ্রমিকের কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে আলাউদ্দিনের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন জাহির। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। মাস ছ’য়েক আগে একসঙ্গে বসে বিষয়টি মিটিয়েও নেওয়া হয়। তার পর থেকে দুই পরিবারের মধ্যে সব ঠিকই চলছিল। এর মধ্যেই কয়েক দিন আগে কেরল থেকে বাড়ি ফিরে আসেন জাহির।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়িতে এসেই আলাউদ্দিনের স্ত্রীর সঙ্গে আবার মেলামেশা শুরু করেন জাহির। সেই খবর কোনও ভাবে পৌঁছয় কেরলে থাকা আলাউদ্দিনের কাছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, এর পরই জাহিরকে খুনের ছক কষা শুরু করেন আলাউদ্দিন। ভাইকে খুন করতে তিনি ভাড়াটে খুনিদের বন্দোবস্ত করেন বলেও অভিযোগ।
আক্রান্তের বাবা আবু লস্কর জানান, রাত ২টো নাগাদ আততায়ীরা বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সেই সময় জাহির ঘুমোচ্ছিলেন। ঘুমের মধ্যেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। জাহিরের বাবা বলেন, ‘‘আমার ছেলের সঙ্গে ভাইপোর স্ত্রীর সম্পর্ক হয়। আর তার জেরেই ভাইপো লোক লাগিয়ে খুন করানোর চেষ্টা করেছে আমার ছেলেকে। একটাই মাত্র গুলির আওয়াজ পাওয়া গিয়েছিল। এর পর জাহির জোরে জোরে চিৎকারে করলে পরিবারের সকলে দৌড়ে যায়।’’ রাতেই জাহিরকে বারুইপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷ আপাতত সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন জাহির।
বারুইপুর পুলিশ জেলার এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কী কারণে এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ জাহির কথা বলার অবস্থাতে এলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy