পারমাদনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। নিজস্ব চিত্র।
বাগদা থানার অন্তর্গত পারমাদন গ্রামে রবিবার রাতেই ফিরেছিল নদিয়ার হাঁসখালিতে দুর্ঘটনার শ্মশান যাত্রীদের দেহ। রবিবার আট জনের দেহ মারমাদনে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরিবার সূত্র জানা গিয়েছে, আটজনের মধ্যে সোমবার রাতেই ছ’জনকে দাহ করা হয়েছে। তাঁদের দেহ নবদ্বীপেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সৎকারের জন্য। বাকি দু’ঝনের দেহ সোমবার দাহ করা হবে। ওই দু’জনের ছেলেরা বিদেশে থাকেন। তাঁরা ফিরলে সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।
রবিবার রাতেই পারমাদনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করেছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পারমাদনে মৃত ৮ জনের পরিবারের লোকের প্রত্যেকের হাতে ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মৃত ১৮ জনের মধ্যে ৮ জনের বাড়ি পারমাদনে। বাকিদের বাড়ি নদিয়ার বিভিন্ন এলাকায়। সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন ২ লক্ষ করে টাকার চেক তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। দুর্ঘটনায় স্তম্ভিত জ্যোতিপ্রিয় বলেছেন, ‘‘নিজের মন্ত্রিত্বকালে এ রকম দুর্ঘটনা দেখিনি। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ মতো দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের পাশে আছি।’’ যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানকার রাস্তা চওড়া বলেই জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, চালক মত্ত অবস্থায় থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আলোরানী সরকার-সহ স্থানীয় নেতৃত্বরা গিয়েছিলেন ওই বাড়িতে। নবদ্বীপে দাহ করতে নিয়ে যাওয়া বলেই কাল হল মনে করছেন স্থানীয়রা।
শনিবার রাতে পারমাদন থেকে নবদ্বীপে দেহ সৎকার করতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শ্মশানযাত্রীদের গাড়ি। সেই ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছিলেন ৫ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy