ছোটদের জন্য চালু নতুন হাজিরা পদ্ধতি। ছবি: দিলীপ নস্কর ।
ক্লাস শুরুতেই রোল কলের পাঠ শেষ হতে চলেছে। ছাত্রছাত্রীদের আর ‘ইয়েস স্যার’ বলে হাত তুলে উপস্থিতি জানান দিতে হবে না। ফলতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রীতিমতো কর্পোরেট ধাঁচে হাজিরা নেওয়ার ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। সে জন্য স্কুলে বসানো হয়েছে ‘ফেস রেকগনিশন অ্যাটেনড্যান্স সিস্টেম।’ পড়ুয়ারা ওই মেশিনের সামনে দাঁড়ালেই হাজিরা নথিভুক্ত হয়ে যাবে। বুধবার, সরস্বতী পুজোর দিন থেকে এই প্রযুক্তি চালু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
স্কুল ও স্থানীয় জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ৪৩৯ জন ছাত্রছাত্রী। প্রতি দিন ক্লাস শুরুর আগে রেজিস্ট্রার খাতা দেখে শ্রেণিকক্ষে রোল কল করতে অনেক সময় নষ্ট হয়। নতুন পদ্ধতিতে সেই সমস্যা থাকছে না। তা ছাড়াও, কোনও পড়ুয়া মেশিনের সামনে দাঁড়ালে, কখন ঢুকছে বা বেরোচ্ছে— তা স্বয়ক্রিয় পদ্ধতিতে মেসেজ চলে যাবে অভিভাবকদের মোবাইলেও।
প্রতি দিন স্কুলে মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হিসাব করতে হয়। সেই মতো রান্নার ব্যবস্থা হয়। সেই হ্যাপাও আর পোহাতে হবে না স্কুল কর্তৃপক্ষকে। ইদানীং বেশ কিছু স্কুলে ডিজ়িটাল আই কার্ড চালু হয়েছে। ওই কার্ড মেশিনে ছোঁয়ালেই উপস্থিতি নথিভুক্ত হয়ে যায়। ফলতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিতি জানান দিতে আরও আধুনিক মেশিন বসল।
প্রধান শিক্ষক তিলক নস্কর বলেন, ‘‘এক সপ্তাহ আগে থেকে এর প্রস্তুতি চলছিল। দু’টি মেশিন বসানো হয়ে গিয়েছে। সমস্ত ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মুখের ছবি আপলোড করা হয়েছে। তারা স্কুলে ঢোকার পরে মেশিনের সামনে দাঁড়ালেই কম্পিউটারে সমস্ত তথ্য ভেসে উঠবে। কে ঢুকল তার নাম, মোবাইল নম্বর, ছাত্র না ছাত্রী— সে সবের বিশদ নথি থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy