অগ্নিগ্রাসে: চটকলের আগুন নেভানোর চেষ্টায় দমকলকর্মী। শুক্রবার রাতে, টিটাগড়ে। ছবি: মাসুম আখতার
ফের আগুন লাগল টিটাগড়ের একটি চটকলে। শুক্রবার রাতের ওই অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেল টিটাগড়ের সানবিম চটকলের একটি বিভাগ। তিন মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এই চটকলে আগুন লাগল।
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে গত তিন মাসে এই নিয়ে পঞ্চম বার কোনও চটকলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। এর আগে আগুন লাগার ঘটনায় একটি চটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েন প্রায় তিন হাজার শ্রমিক। অগ্নিকাণ্ডের জেরে শনিবার সানবিম চটকলেও কাজ হয়নি। ফলে সব মিলিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সেখানকার শ্রমিকদের মধ্যে।
দমকল ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ ওই চটকলের ব্যাচিং বিভাগে আগুন লাগে। সেখানে কাঁচা পাট এবং পাটজাত পণ্য মজুত করা ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। টিটাগড় থানা এবং দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে কাজ শুরু করলেও প্রথমে আগুন আয়ত্তে আনা যায়নি। পরে আরও তিনটি ইঞ্জিন এসে ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সেই সময়ে ওই চটকলে রাতের শিফটের কাজ চলছিল। ফলে আগুন লাগার খবরে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে দমকলের প্রচেষ্টায় আগুন কারখানার অন্য বিভাগে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। তবে ওই চটকল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন দমকল কর্তৃপক্ষ। দমকলের এক আধিকারিক বলেন, “চটকলের মধ্যে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা যতটা থাকার কথা, ততটা নেই। কিছু দিন আগেও এই চটকলে আগুন লেগেছিল। তাদের চিঠিও পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে আগুন লাগল, তা বিস্তারিত তদন্ত ছাড়া বোঝা সম্ভব নয়।” যদিও চটকল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত ৫ নভেম্বর টিটাগড়ের কেলভিন চটকলের পাটঘরে আগুন লাগে। দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন সারা রাত ধরে চেষ্টা করে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিল। তার কিছু দিন পরে আগুন লাগে এই সানবিম চটকলে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল কাঁকিনাড়ার দু’টি চটকলে। তবে সানবিম চটকলে বার বার আগুন লাগার পিছনে অন্তর্ঘাত থাকতে পারে বলে অভিযোগ করছেন শ্রমিকেরা। এই চটকল দ্রুত চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy