জামিন পেয়ে কাজে যোগ দিলেন যৌন নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। বুধবার ছিল হাবরার ওই স্কুলে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। দ্বাদশ শ্রেণির যে ছাত্রকে ওই প্রধান শিক্ষক যৌন নিগ্রহ করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল, সেই ছাত্রও পরীক্ষায় বসেছিল।
শুক্রবার মাঝরাতে বিরাটির বাড়ি থেকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে পর দিন হাতকড়া পরিয়ে বারাসত আদালতে আনে হাবরা থানার পুলিশ। পুলিশের এই অতি সক্রিয়তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে নানা মহলে। চার দিন জেলহাজতে থাকার পরে মঙ্গলবারই জামিন পেয়েছেন প্রধান শিক্ষক। বারাসত আদালতে দাঁড়িয়ে তদন্তে অসঙ্গতি ও পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলেন প্রধান শিক্ষকের আইনজীবীরা। যার প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি বলরাম পালের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতা আছে। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে নানা বিষয়ে তাঁর আকচাআকচির জন্যই ওই শিক্ষককে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ। ঘটনাচক্রে প্রধান শিক্ষক নিজেও এবিটিএ-র নেতা। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘স্কুলে ঢোকার মুখে কিছু ছাত্র হাততালি দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে। কয়েকজন অভিভাবক এসে ভরসা জুগিয়েছেন।’’ সারা দিন স্বাভাবিক কাজকর্ম করেছেন তিনি।
অন্য দিকে, প্রধান শিক্ষকের স্কুলে যোগদান প্রসঙ্গে বলরামবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার পরিচালন সমিতি বৈঠকে বসবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy