Advertisement
০৭ মে ২০২৪
নোট বাতিলের এক মাস

গৃহশিক্ষকের বেতন বাকি

কর্তা-গিন্নি দু’জনে আয় করেন। আহামরি না হলেও এদ্দিন মোটের উপরে চলে যাচ্ছিল সংসার। কিন্তু দেশ জু়ড়ে নোট বিড়ম্বনা পাল দম্পতির সংসারকে ঘোরতর সমস্যার সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে।

পাল দম্পতি।

পাল দম্পতি।

সীমান্ত মৈত্র
বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩৪
Share: Save:

কর্তা-গিন্নি দু’জনে আয় করেন। আহামরি না হলেও এদ্দিন মোটের উপরে চলে যাচ্ছিল সংসার। কিন্তু দেশ জু়ড়ে নোট বিড়ম্বনা পাল দম্পতির সংসারকে ঘোরতর সমস্যার সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে।

বনগাঁর খয়রামারি এলাকার বাসিন্দা অরুণাভ পাল কেকের ডিস্ট্রিবিউটর। স্ত্রী সীমা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী। একমাত্র মেয়ে ধৃতিপর্ণা পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে।

সীমাদেবীর মাসিক বেতন তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্টে ঢুকেছে ইতিমধ্যেই।কিন্তু ব্যাঙ্কের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখে তিনি এখনও ব্যাঙ্কমুখো হতে পারেননি। বেতনের টাকায় প্রতি মাসে সব্জি, ডিম, চিনি, ছাতুর মতো মালপত্রের দাম মেটান সীমাদেবী। মেয়ের তিনজন গৃহশিক্ষকের খরচও সামলান তিনি। কিন্তু ডিসেম্বর পড়ে গেলেও এখনও টাকা দিতে পারেননি কাউকে। তাঁর কথায়, ‘‘কী যে সমস্যায় পড়েছি, বলে বোঝানো যাবে না। গৃহশিক্ষকের টাকা দিতে না পেরে খুব অশ্বস্তি হচ্ছে।’’

অরুণাভবাবু বিভিন্ন দোকান থেকে ব্যবসার টাকা জোগাড় করে রোজ ব্যাঙ্কে জমা দেন। জানালেন, এখন ব্যাঙ্কে গিয়ে দু’ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোটা এক রকম রোজনামচা হয়ে উঠেছে তাঁর। নোট সমস্যার জন্য মাঝে কিছু দিন ব্যবসা বন্ধ রাখতে হয়েছিল। জানালেন, মুদি দোকানের খরচও দিতে পারেননি এ মাসে।

সমস্যা আছে আরও।

অনেকে খুচরো টাকায় দাম মেটান তাঁকে। ব্যাঙ্ক আবার সেই টাকা জমা নিতে চাইছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

home tutor demonetization
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE