Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Basirhat College

ভাঙাচোরা হস্টেলেই দিন কাটছে ছাত্রদের

তাদের দাবি, অবিলম্বে খান বাহাদুরের পুরনো বাড়ি ভাঙার পাশাপাশি হস্টেল সংস্কার করা হোক। 

বেহাল: এই অবস্থা হয়েছে হস্টেলের। নিজস্ব চিত্র

বেহাল: এই অবস্থা হয়েছে হস্টেলের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বসিরহাট শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৩৯
Share: Save:

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, মশা-মাছির উপদ্রবের মধ্যেই থাকতে হচ্ছে বসিরহাট কলেজের খান বাহাদুর হস্টেলের আবাসিক ছাত্রদের। তাদের দাবি, অবিলম্বে খান বাহাদুরের পুরনো বাড়ি ভাঙার পাশাপাশি হস্টেল সংস্কার করা হোক।

পুরনো বাড়ি ভেঙে, এবং হস্টেল সংস্কারের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান বসিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ অশোককুমার মণ্ডল। রাস্তা চওড়া করে সেখানে ল’কলেজ, মহিলা কলেজ অথবা বিশ্বাবিদ্যালয় করা যায় কিনা, সে ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কলেজ সূত্রের খবর, ১৯৪৭ সালে বসিরহাটের ইটিন্ডা রাস্তার পাশে টাউনহলে কলেজের শুরু। কিছু দিন সেখানে ক্লাস চলার পরে ১৯৬২ সালে খান বাহাদুরের পৈত্রিক বাড়িতে ক্লাস হত। পড়ুয়াদের সুবিধার জন্য সেখানেই হস্টেল গড়ে তোলা হয়। পরবর্তী সময়ে টাকি রাস্তার ধারে নতুন বাড়িতে কলেজ শুরু হয়।

খান বাহাদুর রোডের পাশে ভগ্নপ্রায় অবস্থায় পড়ে খান বাহাদুরের দোতলা পৈতৃক ভিটে। বট-অশ্বত্থের চারা বেরিয়েছে দেওয়াল থেকে। সাপ, পাখির দল বাঁসা বেঁধেছে। তারই পাশে থাকা একতলা হস্টেলটি ১৯৮৬ সালে নতুন করে গড়ে তোলার পরে উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ অমিয়ভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। হস্টেলের সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘‘ছাত্রবাসে ৮টি ঘরে ২৪টি আসন আছে। বর্তমানে ২০ জন ছাত্র সেখানে থেকে পড়াশোনা করে।’’

হস্টেলে থাকা বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ধনঞ্জয় বিশ্বাস, নিরুপম পাত্র বলেন, ‘‘কয়েক মাস আগেও হস্টেলের ঘরের ছাদ-দেওয়াল ফেটে পলেস্তারা, চাঙড় খসে পড়ত। বর্ষায় ছাদ দিয়ে জল চুঁইয়ে পড়ত। মেরামতি হলেও আজও রং না হওয়ায় বালি খসে পড়ছে।’’ বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌরভ মণ্ডল, বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েছে। রোগবালাইয়ের ভয়ে দিনের বেলাতেও মশারি খাটিয়ে পড়াশোনা করতে হয়।’’ বিষয়গুলি একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনা সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আবাসিকদের।

হস্টেলের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা গোপাল বৈদ্য বলেন, ‘‘দু’টি খেলার মাঠ-সহ প্রায় ১৫ বিঘা জমির উপরে হস্টেল। দেখভালের অভাবে অর্ধেক জমি দখল হয়ে গিয়েছে। খান বাহাদুরের পৈতৃক দোতলা বাড়িটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা আছে। সাফাই কর্মী না থাকায় হস্টেলের ঘর এবং বাইরে পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Basirhat College Hostel
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE