Advertisement
২৬ মে ২০২৪

বধূকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ, ধৃত

দাবিমতো যৌতুক না-মেলায় বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে তাঁর স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ।শুক্রবার বিকেলে বাদুড়িয়ার শুকপুকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা লাবণি কাহার (২০) নামে ওই বধূকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রথমে ধান্যকুড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

গ্রেফতার: শ্বশুর, স্বামী ও শাশুড়ি। নিজস্ব চিত্র

গ্রেফতার: শ্বশুর, স্বামী ও শাশুড়ি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাদুড়িয়া শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৭ ০২:৪১
Share: Save:

দাবিমতো যৌতুক না-মেলায় বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে তাঁর স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে বাদুড়িয়ার শুকপুকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা লাবণি কাহার (২০) নামে ওই বধূকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রথমে ধান্যকুড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। শনিবার সকালে সেখানে তিনি মারা যান।

সন্ধ্যায় লাবণির মা মৌসুমীদেবী থানায় মেয়েক খুনের অভিযোগ করায় রাতেই পুলিশ লাবণির স্বামী সুমন, শ্বশুর প্রহ্লাদ এবং শাশুড়ি পাপিয়া কাহারকে ধরে। ধৃতদের রবিবার বসিরহাট এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের চোদ্দো দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে বসিরহাটের মেরুদন্ডি গ্রামের বাসিন্দা লাবণিকে বিয়ে করে সুমন। সে আলমারি তৈরির কারখানায় কাজ করত। মৌসুমিদেবী জানান, বিয়েতে সাধ্যমতো সব দেওয়া হয়েছিল। যৌতুকের দাবিতে মেয়েকে মারধর করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। খেতেও দিত না। এ নিয়ে সালিশি হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। বিবাদের জন্য লাবণিদেবী বাপের বাড়ি ছিলেন। দিন কয়েক আগে সুমন সেখানে গিয়ে আর অত্যাচার করা হবে না, এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Husband Wife Burn To Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE