Advertisement
১৮ মে ২০২৪

তিন অতিথি শিক্ষককে নিয়ে চলছে জুনিয়র স্কুল

স্কুল আছে। কিন্তু স্থায়ী শিক্ষক নেই— এই উদাহরণ মাঝেমধ্যেই পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে পার্শ্বশিক্ষিক এবং অতিথি শিক্ষক মিলে স্কুল চালান। কিন্তু অভিভাবকদের থেকে চাঁদা নিয়ে শুধুমাত্র তিন জন অতিথি শিক্ষক দিয়ে চলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের দক্ষিণ চক্রের অন্তর্গত পশ্চিম বাণীরধল জুনিয়র হাইস্কুল।

পড়ুয়ারা: শিক্ষকের অপেক্ষায় নিজস্ব চিত্র

পড়ুয়ারা: শিক্ষকের অপেক্ষায় নিজস্ব চিত্র

দিলীপ নস্কর
কুলতলি শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৭ ০২:১৭
Share: Save:

স্কুল আছে। কিন্তু স্থায়ী শিক্ষক নেই— এই উদাহরণ মাঝেমধ্যেই পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে পার্শ্বশিক্ষিক এবং অতিথি শিক্ষক মিলে স্কুল চালান। কিন্তু অভিভাবকদের থেকে চাঁদা নিয়ে শুধুমাত্র তিন জন অতিথি শিক্ষক দিয়ে চলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের দক্ষিণ চক্রের অন্তর্গত পশ্চিম বাণীরধল জুনিয়র হাইস্কুল।

স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় চুপড়িঝাড়া পঞ্চায়েতের পশ্চিম বানিরধল স্কুলটিকে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয়। ২০১১ সালে স্কুলটি সরকারি অনুমোদন পেয়েছিল। বর্তমানে স্কুলটিকে ১২০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। সরকারি তহবিলে তৈরি হয়েছে দোতলা বাড়ি।

কিন্তু বাড়ি হলেই তো হল না, স্কুলে পড়াবে কে?

বর্তমানে ওই স্কুলে কোনও শিক্ষক এবং পার্শ্বশিক্ষক নেই। স্কুল চালাচ্ছেন তিন অতিথি শিক্ষক। তাঁরা অন্যত্র কাজ করেন, তাই নিয়মিত স্কুলে আসতে পারেন না।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা স্কুল পরিদর্শক বাদল মাইতি বলেন, ‘‘ওই স্কুলে খাতায় কলমে একজন শিক্ষক এবং একজন শিক্ষিকা রয়েছেন। শিক্ষিকা বিএড পড়তে গিয়েছেন। শিক্ষক অসুস্থতার জন্য ছুটি নিয়েছেন। স্কুলটির সমস্যা নিয়ে স্থানীয় স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে কথা বলব।’’

শিক্ষা দফতরের একটি সূত্রে খবর, বিএড করতে যাওয়া শিক্ষিকা ইতিমধ্যেই বদলির নির্দেশ পেয়ে গিয়েছেন। ফলে বিএড শেষ হলেও তিনি চুপড়িঝাড়ার স্কুলে ফিরবেন না। আরেক শিক্ষক সুস্থ হয়ে কবে স্কুলে আসবেন সেটা কেউ বলতে পারেননি।

ওই জুনিয়র স্কুলের পাশেই রয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল। পরিস্থিতি সামলাতে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাধাকান্ত সরকার মাঝে মধ্যে জুনিয়র হাইস্কুলে ক্লাস নেন। রাধাকান্তবাবু বলেন, ‘‘অভিভাবকেরা চাঁদায় তিন জন অতিথি শিক্ষক রাখা হয়েছে। স্কুলটি ঠিকভাবে চালাতে গেলে আরও অতিথি শিক্ষক দরকার।’’

কুলতলি দক্ষিণ চক্রের স্কুল পরিদর্শক সুজয় মোহন্ত বিএড করতে যাওয়া শিক্ষিকার বদলির নির্দেশে তিনি ক্ষুব্ধ।

তিনি বলেন, ‘‘পদাধিকার বলে আমি ওই স্কুলের পরিচালন সমিতি সম্পাদক। কিন্তু আমার সম্মতি ছাড়া কী ভাবে ওই বদলির নির্দেশ হল জানতেই পারলাম না। ওই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে আবেদন করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Junior School Guest Teachers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE