খন্দপথ: এসএন মজুমদার রোডে। নিজস্ব চিত্র
টানা বৃষ্টি কিছুটা ধরেছে। কিন্তু এখনও বসিরহাটের কিছু রাস্তায় জল জমে।
নালা উপচে নোংরা জল মিশছে জমা জলের সঙ্গে। এই জল পেরিয়েই স্কুল-কলেজের পড়ুয়া, সাধারণ মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঘরের মধ্যেও জল ঢুকে রয়েছে। এক কলেজ ছাত্রী জানালেন, রোজ রোজ জল ভেঙে যেতে যেতে পায়ে চুলকানি হচ্ছে। এক মহিলার কথায়, ‘‘বাড়িতে জল জমায় রান্নাবান্না এক রকম বন্ধ। এটা ওটা কিনে খাচ্ছি। বাচ্চাদের খাটের উপরে বসিয়ে রাখতে হচ্ছে।’’
টানা বৃষ্টিতে বসিরহাটের রাস্তাগুলিরও ক্ষতি হয়েছে। পিচ উঠে গিয়ে ইট বেরিয়ে পড়েছে। প্রায়ই সেখানে পড়ে গিয়ে হাত পা কাটছে সাধারণ মানুষের। দিন কয়েক আগেই নিকাশি নালা পরিষ্কার হয়েছে। কিছু রাস্তায় পিচ পড়েছে। সকলে ভেবেছিলেন, এ বার বর্ষাটা ভালয় ভালয় কাটবে। কিন্তু কয়েক দিনের বৃষ্টিতেই এই হাল।
পুরপ্রধান তপন সরকার বলেন, ‘‘পুর এলাকার ৪৯টি রাস্তা মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার অনুমোদন মিলেছে। অর্ধেকের বেশি টাকা হাতে এসেছে। অধিকাংশ রাস্তার টেন্ডারের কাজ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।’’ নিকাশি নালা এবং খাল পরিষ্কারের জন্য আরও ১ কোটি ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকার টেন্ডার হয়ে গিয়েছে বলে জানান তিনি।
পুর প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট শহরকে ‘গ্রিন সিটি’ ঘোষণা করা হয়েছে। এ জন্য রাজ্য সরকার বহু টাকা বরাদ্দ করেছে। ওই টাকায় বসিরহাট শহরকে সাজানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রবীণ এক শহরবাসীর কথায়, ‘‘ওই টাকায় কাজ হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু তা আদৌ সঠিক জিনিসপত্র দিয়ে হচ্ছে কিনা, তা দেখা দরকার। কারণ দু’দিন আগে তৈরি রাস্তা বৃষ্টিতে ভেঙে গেল।’’ সাঁইপালা, এসএন মজুমদার রোড, মার্টিনবার্ন রোডে জল জমে ডোবার আকার নিয়েছে। তবে মাটির্নবার্ন এবং টাকি রোডে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। তিন দিন হয়ে গেল এখনও সাঁইপালার বিজয় দাস রোড জলমগ্ন। সেখানকার রাস্তার দু’পাশের অনেক বাড়ির ভিতরে এখনও হাঁটু সমান জল।
পুরপ্রধান বলেন, ‘‘ময়লাখোলা এলাকায় বহু ব্যবসায়ী নিকাশি নালা আটকে দোকান করেছেন। ফলে সেখান দিয়ে জল বেরোতে পারছে না। একটু বৃষ্টিতেই সাঁইপালা ভাসছে।’’ নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হচ্ছে। পাঁচটি খাল সংস্কার করা হচ্ছে। তাঁর আশা খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy