— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জলের মিটার বসানোর কাজ চলছে প্রতিটি বাড়িতে। অথচ, তীব্র গরমে ঠিক মতো জলই মিলছে না বলে অভিযোগ পানিহাটি জুড়ে। জলের দাবিতে এ বার রাস্তা অবরোধ করে রীতিমতো ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শনিবার সকালে পানিহাটি পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সত্যপ্রিয় পাড়া, ঘোলা হাইস্কুল এলাকার বাসিন্দাদের বড় অংশ এই বিক্ষোভে শামিল হন। বালতি হাতে নিয়ে বেরিয়ে তাঁরা সুনীত ব্যানার্জি রোড অবরোধ করেন। তাঁদের অভিযোগ, গত ১৫ দিনে জলকষ্ট চরম আকার নিয়েছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে বাড়িতে সাবমার্সিবল পাম্প বসাচ্ছেন। এ দিন বিক্ষোভে শামিল স্থানীয় বাসিন্দা দীপালি কুণ্ডু বলেন, ‘‘বাড়িতে এক ফোঁটা জলও পাচ্ছি না। অনেক কষ্টে টাকা জোগাড় করে পাম্প বসানোর ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু, পুরপ্রতিনিধি বলছেন, আগে মিস্ত্রিকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হবে।’’ পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, ভূগর্ভস্থ জল তোলা নিয়ম-বিরুদ্ধ।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনের কোনও কোনও সময়ে জল এলেও তা একেবারে সরু হয়ে পড়ছে। অগত্যা অনেকেই জল কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন। বাসন ধোয়ার জলও না থাকায় কাগজের থালা কিনে তাতেই খাচ্ছেন বাসিন্দারা। রাস্তার ধারে পুরসভার পানীয় জলের কল থাকলেও তা থেকেও জল পড়ছে না বলে অভিযোগ। দিনের পর দিন এমন সমস্যায় জেরবার হওয়ায় এ দিন তাঁরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন বলেই জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। ওই বিক্ষোভে পুরুষ-মহিলা সকলেই শামিল হয়েছিলেন। তাঁদেরই এক জন রত্না মৈসাল বললেন, ‘‘জল নেই, রাস্তাঘাট ভাঙা, জঞ্জাল সাফাই হচ্ছে না। নাগরিক পরিষেবার এমন বেহাল দশা চলতে থাকলে আমরা ভোট বয়কট করব।’’
স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি কাঞ্চন মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘শুধু এই ওয়ার্ড নয়, আরও বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলের সমস্যা চলছে। দুটো পাম্প বসানোর জন্য পুরসভাকে ইতিমধ্যে চিঠিও দিয়েছি।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘জলের গতি বাড়ানোর জন্য পুজোর আগে কাজ হলেও লাভ কিছু হয়নি। আমার যে কিছু করার নেই, তা বাসিন্দারা জানেন।’’ আর পুরপ্রধান মলয় রায়ের কথায়, ‘‘ওই এলাকায় সমস্যা রয়েছে। আরও বেশি করে জলের গাড়ি পাঠানো হবে। ভোট বয়কটের ডাক দেওয়ার কথা শুনেছি। বাসিন্দাদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy